সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর-রতনমার্কেট রাস্তার প্রশস্ত করণ  কাজের পরিদর্শন করেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান। এসময় তিনি রাস্তার দুই পাশের জমির মালিকদের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।

পরে ইউএনও সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন কাজের তদারকি করেন এবং সেবার মান ভালো হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রমজান আলী প্রধানকে ধন্যবাদ জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রমজান আলী প্রধান, সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশল আলমগীর চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল আলম তালুকদার, মেসার্স এহসান এন্টারপ্রাইজ এর পক্ষে গোলাম সারোয়ার বাদল,  নুর উদ্দিন আহমেদ, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী সেলিম সরকার, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আমির হোসেন, রফিকুল ইসলাম সরকার, সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল হক, সাদিপুর ইউনিয়ন জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমূখ। 

মেসার্স এহসান এন্টারপ্রাইজ এর পক্ষে গোলাম সারোয়ার বাদল বলেন, রাস্তার দুই পাশে স্থাপনা থাকায় প্রশস্ত করন কাজে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ইউএনও স্যার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন এবং দুই পাশের স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার থেকেই দুই পাশের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

চেয়ারম্যান রমজান আলী প্রধান জানান, ইউএনও নির্দেশনায় রাস্তার প্রশস্ত করন কাজে যা যা সহযোগিতা করার দরকার পরিষদের পক্ষ থেকে সবই করা হবে। এই সড়কটি প্রশস্ত করনের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থানীয়দের।

ইউএনও ফারজানা রহমান বলেন, সড়কের দুই পাশে যেসব স্থাপনা রয়েছে দুই দিনের মধ্যে ঐ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। যদি কেউ উচ্ছেদ কাজে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ইউএনও প রশস ত রশস ত ক স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি শরীয়তপুরবাসীর

প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার দাবিতে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘জাগো শরীয়তপুর’ নামে একটি সংগঠন। তারা জানান, সরকার এ ধরনের কোনো চিন্তা বা চেষ্টা করে থাকলে, সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বের হয়ে চৌরঙ্গীর মোড়ে গিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, শরীয়তপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব কম, ফরিদপুরের দূরত্ব বেশি। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, দাপ্তরিকসহ সব কার্যক্রম ঢাকার সঙ্গে। তাই শরীয়তপুরের সঙ্গে ঢাকার মেলবন্ধন। সেই বন্ধনেই অটুট থাকতে চায় শরীয়তপুরবাসী। তাই জেলা ফরিদপুর বিভাগে যুক্ত হতে চান না। 

প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি তাদের। তাদের এই দাবি মানা না হলে আগামীতে কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারী দিয়ে তারা বলেন, অন্তর্বতী সরকার যদি টালবাহানা করে তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। দাবি না মানা হলে পদ্মা সেতু ব্লকেড কর্মসূচিও দেওযা হবে।

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, “শরীয়তপুরের মানুষদের কোনোভাবেই জোরপূর্বক প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না। যদি সরকার এ ধরনের কোনো চিন্তা বা চেষ্টা করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।” 

তিনি জানান, ৫ তারিখে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে গণসমাবেশও হবে। এরপরও যদি সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা পদ্মা সেতু অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

জাগো শরীয়তপুরের সদস্য জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকির হাওলাদার বলেন, “প্রতিদিন হাজারো মানুষ পড়াশোনা, চাকরি কিংবা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যায়। ফরিদপুরের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই, তাই শরীয়তপুরকে ফরিদপুর বিভাগে যুক্ত করার প্রশ্নই আসে না। প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের নামে জনগণকে বঞ্চিত করা যাবে না। যদি শরীয়তপুরকে জোর করে ফরিদপুর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা হয়, তবে শরীয়তপুরের মানুষ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”

জাগো শরীয়তপুরের আহ্বায়ক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, “আজকের এই রৌদ্রের তাপে দাঁড়িয়ে যারা রাস্তা অবরোধ কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন, আমি তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে এই কর্মসূচি করছি। তবে স্পষ্ট করে বলতে চাই যদি শরীয়তপুরকে ঢাকার সঙ্গে না রেখে জোরপূর্বক ফরিদপুরের সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে এই আন্দোলন আর শান্তিপূর্ণ থাকবে না।”

তিনি আরো বলেন, “আগামী ৫ অক্টোবর আমরা জেলার সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশাল জেলা-ভিত্তিক মহাসমাবেশের আয়োজন করছি। যদি তাতেও সরকার আমাদের দাবি অগ্রাহ্য করে এবং আওয়ামী লীগের একতরফা চিন্তাধারা চাপিয়ে দিতে চায়, তবে আমরা ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো জেলাকে অচল করে দেব। আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সবকিছু ঢাকার সঙ্গে মিশে আছে। তাই আমরা ঢাকাতেই থাকতে চাই ফরিদপুরের সাথে যেতে চাই না।”

এসময় শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামি ছাত্র শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ও সচেতন নাগরিক সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আকাশ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্যান্সার আক্রান্ত ছরোয়ারের পাশে থাকার আশ্বাস প্রশাসনের
  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • রূপগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
  • ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  
  • ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ আদৌ ফল দেবে কি
  • কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে বাবা-মার মৃত্যু, এতিম হলো ৪ সন্তান 
  • আড়াইহাজারে পূজার নিরাপত্তায় ৩১ মন্ডপে রাতভর নির্ঘুম পরিদর্শন ইউএনও’র
  • জাকির খানের নির্দেশে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে পানি বিতরণ
  • সরকারের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি শরীয়তপুরবাসীর
  • যেভাবে একীভূত হবে ইসলামি ধারার পাঁচ ব্যাংক