দমন পীড়ন ও নির্যাতন বন্ধ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুতের ভুক্তভোগী কর্মকর্তা–কর্মচারী সমিতি।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা এবং যৌথ বাহিনী দ্বারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেধড়ক মারধর ও ধরপাকড় করা হয়েছে।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে সরকারের নিকট ৫টি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন সমিতির নেতারা। তাদের প্রত্যাশাগুলো হচ্ছে, মামলা প্রত্যাহারপূর্বক সব কর্মকর্তা–কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা। দ্বৈতনীতি পরিহারপূর্বক আরইবি–পবিস একীভূতকরণ। অবশিষ্ট চুক্তিভিত্তিক অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করণ করা। বিগত সময়ে আরইবি’র দুর্নীতিবাজদের শাস্তির জন্য নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা।

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা আরও বলেন, দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলে প্রায় ১৪ কোটি মানুষের বিদ্যুৎ সেবায় নিয়োজিত ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। নিয়ন্ত্রক সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সীমাহীন দুর্নীতি, নিম্নমানের মালামাল ক্রয় ও নন-স্ট্যান্ডার্ড লাইন নির্মাণের কারণে সৃষ্ট গ্রাহক ভোগান্তি। মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সব ধরনের পলিসি প্রণয়নসহ আরইবি-পবিস দ্বৈত ব্যবস্থাপনা নিরসনে গত বছর জানুয়ারি থেকে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং জরুরি সেবায় নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক, অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা হয়।

এসময় সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে স্মারকলিপি প্রেরণ, বিভিন্ন দফায় গ্রাহক সেবা চালু রেখে কর্মবিরতি, লং মার্চ টু আরইবি, সারাদেশে একযোগে মানববন্ধন ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা হয়। এ অবস্থায় যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে সরকারের পক্ষ থেকে গত বছর আগস্টে বিদ্যুৎ বিভাগ, আরইবি এবং পবিসের সমন্বয়ে ০৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়।

কিন্তু সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সহযোগিতা না করে বিদ্যমান কাঠামো বহাল রাখার বিষয়ে মতামত দেয় আরইবি। পরবর্তীতে উক্ত কমিটি বিলুপ্ত করে সরকারের পক্ষ থেকে পুনরায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। প্রায় সাড়ে ০৩ মাস অতিবাহিত হলেও কমিটির প্রতিবেদন সম্পন্ন হয়নি। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসএফের থেকে ২ বাংলাদেশিকে ফেরত আনল বিজিবি

ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

বিজিবি জানায়, গত বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বেতনা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৬৬/১-এস-এর বিপরীতে ভারতের কাদেরগঞ্জ ক্যাম্পের টহলদল দুই বাংলাদেশিকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, রানীশংকৈল উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামের দুলাল শীলের ছেলে বিকাশ শীল (২২) ও মদন নাথের ছেলে পূর্ণ নাথ (২৬)।

বিএসএফ জানায়, ওই সময় আরও তিনজন বাংলাদেশি পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেন। পরে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে এবং আটকদের ফেরত আনার জন্য সমন্বয় করে। বৃহস্পতিবার সীমান্ত পিলার ৩৬৬/২-এস-এর কাছে ভারতের মানিকখাড়ী এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

পরে বিজিবি আটক দুই ব্যক্তিকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হরিপুর থানায় সোপর্দ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ