শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, বোনাসসহ সব পাওনা বিশ রমজানের মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিশোধ করতে হবে। একইস‌ঙ্গে শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতনের কমপক্ষে পনেরো দিনের বেতন মালিকপক্ষকে তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী ‌দি‌তে হ‌বে।

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর পূর্ববর্তী শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং শিল্প সেক্টরের শ্রমিকগণের বেতন বোনাস ও ছুটি সংক্রান্ত বুধবার রা‌তে রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনে অনু‌ষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৮৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের সদস্য হিসেবে শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সরকার পক্ষ, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকপক্ষ কর্তৃক শ্রমিকদের সকল বকেয়া, বেতন ও বোনাস পরিশোধ, ঈদে শ্রমিকদের ছুটি, শ্রমঘন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শ্রমঘন এলাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক টিসিভি পণ্য  বিতরণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় ৭টি বিষয়ে যৌথ সিদ্ধান্ত হয়। তা হ‌লো

১। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর এর পূর্বে কোন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত বা ছাঁটাই করা যাবে না।
২। কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক প্রতিনিধিগণ আলোচনা করে শ্রম আইন অনুযায়ী দ্রুত ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি কখন থেকে শুরু হবে তা নির্ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী কারখানার সাথে সামঞ্জস্যতা রক্ষা করা বাঞ্ছনীয়।
৩। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, বোনাসসহ সব পাওনা বিশ রমজানের মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতনের কমপক্ষে পনেরো দিনের বেতন মালিকপক্ষ তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রদান করবে।
৪। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএসহ মালিক পক্ষের ক্যাশ ইনসেটিভ বাবদ সরকারের নিকট পাওনা পরিশোধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হবে।
৫। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ, ছুটি সংক্রান্ত বিষয়সহ সার্বিক পরিস্থিতির উপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় সজাগ দৃষ্টি রাখবে।

৬। সার্বিক পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং এর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গঠিত কমিটির পাশাপাশি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) এর নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। উক্ত কমিটিতে শ্রমিক-মালিক পক্ষের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থার প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
৭। বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমঘন এলাকায় ২৯ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখতে হবে।

নঈমুদ্দীন//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল কপক ষ পর স থ ত কর ত ক পর শ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

কম্বোডিয়ার সীমান্তে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা নতুন সংঘর্ষের পর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল। একইসঙ্গে তিনি ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।

শুক্রবার প্রকাশিত এক রাজকীয় ডিক্রিতে প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল তিন মাস আগে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তার সংখ্যালঘু সরকার যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে লড়াই করছে তার মধ্যে মারাত্মক সীমান্ত বিরোধের কথা উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেছেন, “সঠিক সমাধান হল পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া... যা জনগণের কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার একটি উপায়।”

ব্যবসায়ী আনুতিন ২০২৩ সালের আগস্টের পর থাইল্যান্ডের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। সেপ্টেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণের সময় জানিয়েছিলেন, তিনি জানুয়ারির শেষের দিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন। তবে, এখন অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়ে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেছেন।

গত মাসে দক্ষিণ থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলার জন্য অনুতিন এবং তার ভুমজাইথাই দল তীব্র সমালোচিত হয়েছিল। বন্যার ফলে কমপক্ষে ১৭৬ জন নিহত হয়েছিল। কম্বোডিয়ার সাথে নতুন করে সংঘটিত লড়াইয়ের কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

 থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন অনুমোদিত ডিক্রিতে অনুতিন লিখেছেন, “দেশকে ঘিরে থাকা জরুরি সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য সরকার জনপ্রশাসনের সকল উপায় অবলম্বন করেছে... তবে দেশ পরিচালনার জন্য স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী