ঈদে সালামির প্রচলন কবে ও কোথা থেকে হলো
Published: 27th, March 2025 GMT
ছোটবেলায় ঈদ সালামির জন্য আপনিও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন নিশ্চয়ই। সালামি মানেই যেন চকচকে নোট আর ইচ্ছামতো খরচ করার স্বাধীনতা। সেই সব দিন পেরিয়ে এখন হয়তো সালামি দেওয়ার পালা আপনার। এরও একটা আলাদা আনন্দ আছে। তবে সালামি পাওয়ার নিখাদ আনন্দটাকে হয়তো এর চেয়ে বেশ এগিয়েই রাখবেন আপনি। কেউ সালামি হিসেবে নগদ অর্থ সরাসরি তুলে দেন হাতে, কেউ আবার সালামি দেন সুন্দর খামে পুরে। এ যুগে আরও আছে ডিজিটাল সালামি। ছোটদের সালামি বা ঈদি দেওয়ার প্রচলন আছে অন্যান্য দেশেও। দেশে দেশে মুসলিম পরিবারগুলোতে শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর এই ঐতিহ্যের প্রচলন বহু বছর ধরেই।
ইতিহাসের খোঁজেঅনেক ইতিহাসবিদ ধারণা করেন, সালামি বা ঈদির প্রচলন হয় ফাতিমীয় খেলাফত যুগে, মিসরে। দশম শতকে। রাজকোষ থেকে রাজ্যের ছোট-বড় সবার জন্যই ঈদের উপহার দেওয়া হতো তখন। সে সময়ের প্রচলিত কারেন্সি বা অর্থ তো বটেই; পোশাক, মিষ্টি কিংবা ফলও দেওয়া হতো শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে।
রাজকোষ থেকে পরিবারেসেই রাজকীয় ঐতিহ্যই ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে পরিবারকেন্দ্রিক এক প্রথার অংশ। ফাতিমীয় খেলাফতের সে সময়েরও মোটামুটি পাঁচ শ বছর পর, যখন অটোমান সাম্রাজ্যকালও শেষ, তখন এটি প্রায় পারিবারিক এক প্রথায় দাঁড়িয়ে গেছে। সেই থেকে বহু দেশেই এ প্রথা ছোটদের জন্য ঈদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে আছে।
দেশে দেশে সালামিআমাদের দেশে ‘সালামি’ শব্দটিই বেশি প্রচলিত। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলা হয় ‘ঈদি’। আরব–শিশুদের কাছে এটিই আবার ‘ঈদিয়াহ’। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় একে বলা হয় ‘রায়া’। নাম যেটিই হোক, সালামি পাওয়ার আনন্দটা সব শিশুর কাছেই এক। টাকাপয়সা ছাড়াও মিষ্টি বা চকলেট দেওয়া হয় কোনো কোনো দেশে।
বড়বেলার সালামিপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাওয়ার পরও যে সালামি জোটে না, তা অবশ্য নয়। অনেক পরিবারের গুরুজনেরাই সন্তানতুল্যদের সালামি দেন নিয়ম করে। সন্তানতুল্য কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলেও যে গুরুজনের কাছে ‘শিশু’ই রয়ে যায়! এমনকি অনেক অফিসেও বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে সালামি আদায় করতে গিয়ে মজার মজার ঘটনা ঘটে থাকে।
ছড়িয়ে যাক ভালোবাসাপরিবারের শিশুদের তো ঈদ সালামি নিশ্চয়ই দেবেন আপনি। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কথাও ভুলে যাবেন না যেন। ঘরের কাজে সহায়তাকারী, নিরাপত্তারক্ষী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সন্তানদের জন্য অবশ্যই ভাবুন। ঈদের আনন্দে শামিল করে নিন সবাইকে, সামান্য কিছু উপহার দিয়ে হলেও। তবেই তো পূর্ণতা পাবে ঈদের আনন্দ।
সূত্র: ইজিপ্ট ইনডিপেন্ডেন্ট, ক্যাশ ম্যাটারস
আরও পড়ুনপ্রথম উপার্জনে কেনা প্রথম ঈদ উপহার১৬ এপ্রিল ২০২৩.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র প রচলন র জন য পর ব র আনন দ উপহ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে হিউম্যান এইড ইন্টা. না’গঞ্জ শাখার শোভাযাত্রা ও সভা
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল- (একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা) প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হলো বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২৫।
হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এড.সাহিদুল ইসলাম টিটু’র সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস,এম,জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর সার্বিক তত্বাবধানে ১০ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৯.৩০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া জিয়া হল প্রাঙ্গণ থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে একটি শোভাযাত্রা নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় এবং শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কে জনবান্ধব রাজনীতির দাবিকে প্রতিবাদ্য করে ৭৭ তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপন করছে হিউম্যান এইড (হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল)
সেই সাথে হিউম্যান এইড এর উদাত্ত আহ্বান, এদেশের মানবাধিকার, সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো যেনো বিভিন্ন এজেন্ডা পালন না করে প্রকৃত মানবাধিকারকর্মী সৃষ্টি করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এবং পথে থাকা মানুষের কথা, ক্ষুধার্ত মানুষের কথা, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর মিছিলের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা বলে।
ধর্ষণের বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হওয়ার দাবি রাখে, দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে আপোষহীন থাকে, ভেজাল ঔষধের বিষয়ে জাতিকে সঠিক বার্তা পৌঁছোতে জাগ্রত থাকে। নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয়, বনাঞ্চল, সমুদ্র, পাহাড় রক্ষায় গণমানুষকে সচেতন করে গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করে, মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার দাবিতে সোচ্চার হয়।
এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক ইনচার্জ এম এ করিম, পঞ্চাশোর্ধ কফি হাউজের সভাপতি মোঃ শাহ আলম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মোঃ শফিকুল ইসলাম আরজু, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সনিয়া দেওয়ান প্রীতি, বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের নারায়ণগঞ্জের সভাপতি ও কবি কাজী আনিসুল হক হীরা, ডেইলি নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক প্রকাশক মনির হোসেন, এন এ এন টিভি জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান সহ হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি কমল চন্দ্র মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মোঃ বশির সরকার, সহ অর্থ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির,সাংস্কৃতিক সম্পাদক জি এ রাজু, প্রচার সম্পাদক মোঃ সোহেল ইসলাম, যুগ্ন প্রচার সম্পাদক রঞ্জন চৌহান, সদস্য মোঃ ফিরোজ খান সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সর্বপরি, হিউম্যান এইড বলতে চায়- দেশের মানুষ এমন একটি বিচার বিভাগ পাওয়ার অধিকার রাখে, যেখানে মানবাধিকার সমুন্নত রেখে বিচারকার্য পরিচালনা করা হবে।