শিশু ধর্ষণ মামলায় জামালপুরে একজনের যাবজ্জীবন
Published: 5th, May 2025 GMT
জামালপুরের মাদারগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলায় জিয়াউল হক নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম মামলার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো.
সাজাপ্রাপ্ত জিয়াউল হক মাদারগঞ্জ উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত নুরল মন্ডলের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ঢাবির সাবেক ২ উপাচার্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দুলাভাইকে হত্যা, শ্যালকের যাবজ্জীবন
অ্যাডভোকেট রেজাউল আমিন শামীম জানান, ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর দুপুরে চানাচুর দেওয়ার কথা বলে একটি দোকানে নিয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেন জিয়াউল হক। এই ঘটনায় শিশুটির এক স্বজন বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষা ও ডিএনএ টেস্টে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হয়।
তিনি আরো জানান, মামলায় সাতজন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ বিচারক রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।
ঢাকা/শোভন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বহিরাগতদের নিয়ে রাবি ছাত্রদলের মিছিল, সাইকেল চুরির অভিযোগ
সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবি এবং ক্যাম্পাসে সব ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল। তবে তাদের কর্মসূচিতে অধিকাংশই ছিল স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বহিরাগতরা।
রোববার (৪ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির বুদ্ধিজীবী চত্বর সংলগ্ন ছাত্রদলের দলীয় টেন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন নেতাকর্মীরা। পরে তারা একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছাত্রদলের কর্মসূচিতে রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশগ্রহণ করেন। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে অধিকাংশই কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে তাদের একজন জানান, স্থানীয় ছাত্রদল নেতা রাকিনের নেতৃত্বে এসেছেন। আরেকজন বলেন, ‘বিনোদপুর থেকে বড় ভাইয়ের ডাকে মিছিলে এসেছি।’ কিন্তু কোন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তারা ছাত্রদলের এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন সেটা তারা বলতে পারেননি।
আরো পড়ুন:
রাবিতে স্টুডেন্টস অ্যাচিভমেন্টস ফেয়ার
ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার দাবিতে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া একজন বহিরাগত বলেন, “আমি আমার এক বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে এসেছি। রাকিন ভাই আমাকে ডেকেছে। তাই তার সম্মানের খাতিরে এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।”
এটা ছাত্রদলের কিসের প্রোগ্রাম জানতে চাইলে আরেক বহিরাগত বলেন, “আমি কিছুই জানি না। আমি আসতে চাইনি, আমাকে জোর করে ডেকে আনা হয়েছে। সামনের দিনে ডাকলে আর আসব না।”
এদিকে, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে সাইকেল চুরির অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার তারিফ।
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে তিনি লিখেছেন লিখেছেন, “আজ সকাল থেকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এই বহিরাগত টোকাইরা ছাত্রদলের প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছিল। আমার বন্ধুর সাইকেলটি শহীদুল্লাহ কলা ভবনের গ্যারেজে ছিল। ক্লাস শেষ করে ১২টার দিকে নিচে যেয়ে তার সাইকেলটি আর পায়নি। এর আগেও ছাত্রদলের প্রোগ্রামের দিন ক্যাম্পাস থেকে সাইকেল চুরি হয়েছে। বহিরাগতদের বিষয়ে প্রশাসন কবে সতর্ক হবে?”
বিক্ষোভ সমাবেশে বহিরাগতদের অংশগ্রহণ নিয়ে রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “আমাদের প্রোগ্রামে সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ইউনিট অংশ নেয়, আজও তারা ছিল। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যাদের ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, তারা আমাদের দলের কেউ না। আমাদের বিতর্কিত করার জন্য সবসময় একটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তারা এগুলো করছে।”
কারা বিতর্ক করার জন্য এগুলো করছে বলে মনে করেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা নিষিদ্ধ সংগঠন বা গুপ্ত কোনো সংগঠনের কাজ হতে পারে। তারা এসব বহিরাগতদের হাতে কিছু টাকা দিয়ে আমাদের মিছিলে পাঠিয়ে দিচ্ছে এবং আমাদের বিতর্কিত করছে। ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য রাজনৈতিক কূটকৌশল ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে এটি সাজানো হয়েছে।”
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমি মনে করি এটি অনাকাঙ্ক্ষিত। তাছাড়া সবসময়ই ক্লাস চলাকালে মিছিল-সমাবেশ করতে নিষেধ করে থাকি। কিন্তু ওরা না জানিয়ে মাইক বাজিয়ে এমনটা করেছে। আমাদের সতর্কবার্তা থাকল, পরবর্তীতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাইকেল চুরির বিষয়ে তিনি বলেন, “একজন শিক্ষার্থী অভিযোগ নিয়ে এসেছিল আমার কাছে। তবে সেখানকার সিসিটিভিতে সংযোগ না থাকায় একটু সমস্যা হয়েছে। আমরা সেটা ঠিক করে সমাধানের চেষ্টা করছি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী