‘পাসপোর্ট সময়মতো না আসায়’ ইউরো জেতা হয়নি রাফিনিয়ার
Published: 5th, May 2025 GMT
রাফিনিয়ার জন্ম ব্রাজিলের পোর্তো আলেগ্রেতে। বাবা রাফায়েল দিয়াস বেলোল্লি ইতালিয়ান। সেই সূত্রে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের ইতালিয়ান পাসপোর্টও আছে। ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক ইসাবেলা পাগলিয়ারির চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাফিনিয়া জানিয়েছেন, আর একটু হলেই তিনি ইতালি জাতীয় দলে খেলতেন। পাসপোর্ট সময়মতো না আসায় ইতালি জাতীয় দলে খেলা হয়নি রাফিনিয়ার।
২৮ বছর বয়সী উইঙ্গার জানিয়েছেন, ২০২০ ইউরো সামনে রেখে তাঁকে পরিকল্পনায় রেখেছিল ইতালি ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি)। রাফিনিয়া নিজেও মনে মনে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু কপালে না থাকলে যা হয়! ইতালিয়ান পাসপোর্ট সময়মতো হাতে পাননি। এরপর সেবারের ইউরোয় ইতালি চ্যাম্পিয়ন হলো। মাসখানেক পরই ব্রাজিল জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো ডাক পান রাফিনিয়া।
আরও পড়ুন‘জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিয়ে লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা আরনল্ডের, যাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদে৪ ঘণ্টা আগেরাফিনিয়ার বর্তমান ক্লাব বার্সেলোনার পরিচালক ও ক্লাবটির সাবেক পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ডেকোও ২০২১ সালে জানিয়েছিলেন, রাফিনিয়ার প্রতি সে সময় আগ্রহ দেখিয়েছিল এফআইজিসি, ‘ইতালিয়ান ফেডারেশন থেকে গত বছর (২০২০ সাল) খুব তোড়জোড় করে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছিল।’
বার্সেলোনা উইঙ্গার এ নিয়ে ইসাবেলা পাগলিয়ারির চ্যানেলকে বলেছেন, ‘ইতালি জাতীয় দলের ডাকে সাড়া দেওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম। ইউরোয় খেলার কথা ছিল, যেটা তারা জিতেছে ২০২০ সালে। আমি যেতে প্রস্তুত ছিলাম, পাসপোর্টটি পাইনি।’
বার্সেলোনায় এ মৌসুমে দারুণ সময় কাটছে রাফিনিয়ার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ত য় দল
এছাড়াও পড়ুন:
‘অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা কমপ্লায়েন্স অনুসরণে
অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সময়মত বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন না করার কারণে কমপ্লায়েন্স অনুসরণে ব্যর্থ হন, যেটি তাদের আরজেএসসিতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিল ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘পরিচালনা পর্ষদ সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভার গুরুত্ব এবং লিমিটেড কোম্পানির কমপ্লায়েন্স’ শীষর্ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্ম পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) রেজিস্টার এ. কে. এম নুরুন্নবী কবির এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় ঢাকা চেম্বারের শতাধিক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
নুরুন্নবী কবির বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় পৌনে ৩ লাখ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আরজেএসসিতে নিবন্ধিত রয়েছে। কোম্পানি নিবন্ধনের প্রায় সব প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হয়ে থাকে।’’
তিনি জানান, শুধু কোম্পানির শেয়ার ট্রান্সফারের বিষয়টি আনলাইন সেবার বাইরে আছে। যেটি ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়ী সমাজের জন্য ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘‘অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সময়সমত বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন না করার কারণে কমপ্লায়েন্স অনুসরণে ব্যর্থ হন, যেটি তাদেরকে আরজেএসসিতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।’’
বিশেষ করে সরকারের সকল সেবা প্রাপ্তির পাশাপাশি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কমপ্লায়েন্স মেনে চলার উপর তিনি জোরারোপ করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও শিল্পখাতের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে লিমিটেড কোম্পানি ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসনের গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোম্পানি আইন, গঠনতন্ত্র বা কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত বিষয়ের জটিলতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণার অভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।’’
কর্মশালাটি পরিচালনা পর্ষদ সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা প্রভৃতির গুরুত্ব, সময়মতো এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পদ্ধতি, কোম্পানি আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্স বজায় রাখার কৌশল এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করবে বলে জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
ঢাকা/নাজমুল//