Samakal:
2025-05-06@00:34:16 GMT

হাঁটু ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা

Published: 5th, May 2025 GMT

হাঁটু ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা

ব্যথা কোনো রোগ নয়, ব্যথা বিভিন্ন লক্ষণ মাত্র। ব্যথা হচ্ছে এক প্রকার অনুভূতি, যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি আমাদের শরীরের কোনো একটি অংশ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে না। ব্যথা মানব শরীরের বিভিন্ন অংশ হতে পারে। যেমন জোড়াগুলোতে ও মাংশপেশিতে। তবে জোড়ার ব্যথায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়। এসব জোড়ার ব্যথার মধ্যে হাঁটুর ব্যথা বয়স্ক লোকদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বয়স হলে হাঁটুর ব্যথা নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। এ বয়সে কাউকে না পেলে একাই চলতে হয়। এ একা চলার পথকে ধরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে। এই একলা চলার পথের সঙ্গী হচ্ছে আমাদের হাঁটু। হাঁটা ছাড়া আমরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারি না। ব্যথা সব বয়সেই হয়, তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় অস্টিও-আর্থ্রাইটিস।
কী কী সমস্যা হতে পারে
l বসা থেকে উঠতে কষ্টবোধ করা 
l বেশিক্ষণ হাঁটতে না পারা 
l নামাজ পড়তে গিয়ে হাঁটু যখন তখন টন টন করে 
l কখনও কখনও হাঁটুতে শব্দ হয়
l হাঁটু নড়াচড়া করলে বা ভাঁজ করলে কষ্ট বাড়ে
l তীব্র ব্যথা হলে ফুলে যায় বা লাল হয়ে যায় 
এমন ব্যথার কারণ
l আঘাতের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে
l লিগামেন্ট বা মিনিসকাস-এর ইনজুরির কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে
l খেলাধুলা বা দাঁড়ানোর সময় হঠাৎ পড়ে গিয়ে হাঁটু মচকে গিয়ে ব্যথা হতে পারে 
l বারসা বা টেনডনের আঘাতের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে 
l লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে
হাঁটু মজবুত রাখার উপায়
হাড়ের মূল উপাদান আমিষ কোজেন এবং ক্যালিসিয়াম। প্রাকৃতিক নিয়মে ৩০ বছরের পর থেকে হাড়ের ঘনত্ব ও পরিমাণ কমতে থাকে। হাঁটু দুর্বল ও ভঙ্গুরও হতে থাকে। ৫০ থেকে ৬০ বছরের দিকে হাড় অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য হাড়কে মজবুত রাখতে হলে আমিষ কোলাজেন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে।
হাঁটু ব্যথা প্রতিরোধে উপায়
v হাঁটু ভাঁজ করে বেশিক্ষণ বসে কাজ করবেন না।
l অতিরিক্ত ওজন পরিহার করুন এবং স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখুন 
l এক জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না
l ভারী বস্তা বহন করবেন না
l হাই কমোড ব্যবহার করুন 
l খাওয়ার সময় চেয়ারে বসে খান
l সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার সময় সিঁড়ির রেলিং ব্যবহার করুন
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
হাঁটু ব্যথার চিকিৎসা করে পুরোপুরি সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়। কারণ সমস্যা সঠিকভাবে নিরূপণ করে, সঠিক চিকিৎসা দিলে অবশ্যই ভালো হবে। ব্যথা যখন খুব বেশি হয়, তখন অনেকে ব্যথানাশক ওষুধ, মালিশ ও গরম শেক দিয়ে ব্যথা কিছুটা কমায়। কারণ তারা না বুঝে নিজেদের চিকিৎসা নিজেরাই করে। এভাবে চলে দীর্ঘ দিন। যখন এগুলোও কাজ করে না, তখন ব্যথা তাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে যায়। যদি প্রথম পর্যায়ে এসব রোগী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিত এবং নিয়মকানুন মেনে চলত, তাহলে এ রোগের পরিপূর্ণ চিকিৎসা করা সম্ভব এবং অস্টিও আর্থ্রাইটিস নামক রোগটিও হতো না। এ রোগটি পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত। ফলে এ রোগ থেকে তাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করা যেত। জীবন অনেক সুন্দর। সুন্দরভাবে বাঁচতে বা ব্যথামুক্তভাবে জীবন-যাপন করতে হলে এ অবস্থায় দৈনন্দিন জীবন-যাপনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। সঠিক ও মানসম্মত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে। v

[বাত-ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, প্যারালাইসিস ও ব্যাক পেইন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ও কনসালট্যান্ট, আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেড] 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনয় থেকে দূরে প্রিয়দর্শিনী

একটা সময় ছিল, যখন তাঁর একটুখানি হাসি, চোখের দৃষ্টি কিংবা নিঃশব্দে ঘুরে যাওয়া চুলের ভঙ্গিমাও মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিত। নাম তাঁর মৌসুমী। ‘প্রিয়দর্শিনী’– এ নামটা যেন তাঁর জন্যই সৃষ্টি। শুধু অভিনয় দিয়ে নয়; নিজের ব্যক্তিত্ব, সৌন্দর্য এবং কোমল আচরণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন কোটি ভক্তের হৃদয়ের রানী। 

মৌসুমী এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। দুই বছর ধরে সেখানেই। মায়ের অসুস্থতা আর মেয়ের পড়াশোনার কারণে পরিবারকে সময় দিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে পর্দায় দেখা মিলছে না তাঁর। ফলে ক্যামেরার ঝলক, শুটিং সেটের কোলাহল কিংবা মেকআপ রুমের আয়নায় প্রতিফলিত হয় না প্রিয়দর্শিনীর মুখ। তিনি আছেন শুধুই আপনজনের সঙ্গে– নীরবে, নিশ্চুপে। ওমর সানী– যিনি একসময় ছিলেন পর্দার নায়ক, বাস্তবে আছেন তাঁর জীবনসঙ্গী হয়ে। সম্প্রতি তিনি বললেন এক গভীর বিষাদের কথা, ‘মৌসুমী ভুলে যেতে চাইছে, সে কখনও মৌসুমী ছিল।’

ওমর সানীর এই কথায় আছে তীব্র এক নীরবতা। যে অভিনেত্রী একসময় সিনেমা হলের অন্ধকার ভেঙে আলো হয়ে উঠতেন, তিনিই আজ নিজেকে পেছনে সরিয়ে রাখছেন সময়ের গহ্বরে। সিনেমাকে ভালোবেসে এক জীবন কাটিয়ে দেওয়া সেই মৌসুমী কি তবে বিদায় নিতে চাইছেন? কারণ? একটা সময় আসে, যখন মানুষ নিজেকেই প্রশ্ন করে– আর কতদূর? কী পেলাম? আর কী চাই? মেয়ের পড়াশোনা, অসুস্থ মা, পরিবার– এসব হয়তো ‘উত্তর’ নয়, তবে ব্যাখ্যা। 

তবু প্রশ্ন থাকে, এত সহজে কি বিদায় বলা যায়? একজন মৌসুমী কি হারিয়ে যেতে পারেন? তিনি তো শুধু একজন অভিনেত্রী নন; একসময়ের আবেগ, এক প্রজন্মের ভালোবাসা। নতুন প্রজন্ম হয়তো তাঁর নাম জানে, ছবিগুলো চেনে, কিন্তু অনুভব করে না তাঁর পর্দার উপস্থিতি। সেই সৌজন্যবোধ, সেই মায়া– সব যেন ধীরে ধীরে আটকে যাচ্ছে সময়ের ফ্রেমে। একজন বলেছিলেন, ‘যদি কোনো অভিনেতা তাঁর চরিত্রের চেয়েও বড় হয়ে ওঠেন, তবে সে-ই সত্যিকারের কিংবদন্তি।’ মৌসুমী ঠিক তেমনই একজন। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে যাঁর যাত্রা শুরু, তা থেমে থেমে নয়; বরং গানে, গল্পে, কান্নায় আর ভালোবাসায় ছিল পূর্ণ। সেই সিনেমায় সালমান শাহর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি এক নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন।

এখন প্রশ্ন মৌসুমী কি কখনও চলে যেতে পারেন? তিনি তো আমাদের স্বপ্নের মতো সুন্দর। যারা মৌসুমীর সিনেমা দেখে বড় হয়েছেন, যারা আজও তাঁর পুরোনো ছবির গান শুনে একা রাতে জানালার বাইরে মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাদের জন্য খবরটা যেন হারিয়ে যাওয়ার গল্প– একটা সময়ের, একটা আবেগের, একটা ভালোবাসার। 

হয়তো এ বিরতিটা তাঁর প্রয়োজন ছিল। হয়তো তিনি আর ফিরবেন না। অথবা একদিন, হঠাৎ করেই আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে বলে উঠবেন– ‘আমি ফিরেছি।’ যদি না-ই ফেরেন, তাহলেও মৌসুমী ঠিক যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। স্মৃতির মণিকোঠায়, আলো-ছায়ার কল্পনায় আর কোটি ভক্তের ভালোবাসায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছোঁয়াচে ‘স্ক্যাবিস’ রোগের উপসর্গ
  • রঙিন ছাতা
  • বিতর্ক এড়াতেই কি হৃদয়কে নেতৃত্ব থেকে আড়াল করা 
  •  বিতর্ক এড়াতেই কি হৃদয়কে নেতৃত্ব থেকে আড়াল করা 
  • রংতুলিতে আঁকা এক সকাল
  • অভিনয় থেকে দূরে প্রিয়দর্শিনী
  • এবার মানুষের রক্ত থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী বিষনাশক
  • ‘বিপজ্জনক’ অটোরিকশা নিরাপদ করা সম্ভব
  • ১৮ বছর সাপের কামড় খাওয়া ব্যক্তির রক্তে অ্যান্টিভেনম