Samakal:
2025-09-19@10:02:34 GMT

হাঁটু ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা

Published: 5th, May 2025 GMT

হাঁটু ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা

ব্যথা কোনো রোগ নয়, ব্যথা বিভিন্ন লক্ষণ মাত্র। ব্যথা হচ্ছে এক প্রকার অনুভূতি, যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি আমাদের শরীরের কোনো একটি অংশ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে না। ব্যথা মানব শরীরের বিভিন্ন অংশ হতে পারে। যেমন জোড়াগুলোতে ও মাংশপেশিতে। তবে জোড়ার ব্যথায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়। এসব জোড়ার ব্যথার মধ্যে হাঁটুর ব্যথা বয়স্ক লোকদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বয়স হলে হাঁটুর ব্যথা নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। এ বয়সে কাউকে না পেলে একাই চলতে হয়। এ একা চলার পথকে ধরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে। এই একলা চলার পথের সঙ্গী হচ্ছে আমাদের হাঁটু। হাঁটা ছাড়া আমরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারি না। ব্যথা সব বয়সেই হয়, তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় অস্টিও-আর্থ্রাইটিস।
কী কী সমস্যা হতে পারে
l বসা থেকে উঠতে কষ্টবোধ করা 
l বেশিক্ষণ হাঁটতে না পারা 
l নামাজ পড়তে গিয়ে হাঁটু যখন তখন টন টন করে 
l কখনও কখনও হাঁটুতে শব্দ হয়
l হাঁটু নড়াচড়া করলে বা ভাঁজ করলে কষ্ট বাড়ে
l তীব্র ব্যথা হলে ফুলে যায় বা লাল হয়ে যায় 
এমন ব্যথার কারণ
l আঘাতের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে
l লিগামেন্ট বা মিনিসকাস-এর ইনজুরির কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে
l খেলাধুলা বা দাঁড়ানোর সময় হঠাৎ পড়ে গিয়ে হাঁটু মচকে গিয়ে ব্যথা হতে পারে 
l বারসা বা টেনডনের আঘাতের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে 
l লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে
হাঁটু মজবুত রাখার উপায়
হাড়ের মূল উপাদান আমিষ কোজেন এবং ক্যালিসিয়াম। প্রাকৃতিক নিয়মে ৩০ বছরের পর থেকে হাড়ের ঘনত্ব ও পরিমাণ কমতে থাকে। হাঁটু দুর্বল ও ভঙ্গুরও হতে থাকে। ৫০ থেকে ৬০ বছরের দিকে হাড় অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য হাড়কে মজবুত রাখতে হলে আমিষ কোলাজেন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে।
হাঁটু ব্যথা প্রতিরোধে উপায়
v হাঁটু ভাঁজ করে বেশিক্ষণ বসে কাজ করবেন না।
l অতিরিক্ত ওজন পরিহার করুন এবং স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখুন 
l এক জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না
l ভারী বস্তা বহন করবেন না
l হাই কমোড ব্যবহার করুন 
l খাওয়ার সময় চেয়ারে বসে খান
l সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার সময় সিঁড়ির রেলিং ব্যবহার করুন
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
হাঁটু ব্যথার চিকিৎসা করে পুরোপুরি সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়। কারণ সমস্যা সঠিকভাবে নিরূপণ করে, সঠিক চিকিৎসা দিলে অবশ্যই ভালো হবে। ব্যথা যখন খুব বেশি হয়, তখন অনেকে ব্যথানাশক ওষুধ, মালিশ ও গরম শেক দিয়ে ব্যথা কিছুটা কমায়। কারণ তারা না বুঝে নিজেদের চিকিৎসা নিজেরাই করে। এভাবে চলে দীর্ঘ দিন। যখন এগুলোও কাজ করে না, তখন ব্যথা তাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে যায়। যদি প্রথম পর্যায়ে এসব রোগী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিত এবং নিয়মকানুন মেনে চলত, তাহলে এ রোগের পরিপূর্ণ চিকিৎসা করা সম্ভব এবং অস্টিও আর্থ্রাইটিস নামক রোগটিও হতো না। এ রোগটি পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত। ফলে এ রোগ থেকে তাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করা যেত। জীবন অনেক সুন্দর। সুন্দরভাবে বাঁচতে বা ব্যথামুক্তভাবে জীবন-যাপন করতে হলে এ অবস্থায় দৈনন্দিন জীবন-যাপনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। সঠিক ও মানসম্মত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে। v

[বাত-ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, প্যারালাইসিস ও ব্যাক পেইন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ও কনসালট্যান্ট, আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেড] 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন

মুখে লোম হলে কখনও থ্রেডিং করান, আবার কখনও ওয়াক্স করান? কিন্তু এই পদ্ধতিতে লোম দূর করতে হরে মুখে ব্যথা লাগে। কেউ কেউ ব্যথা এড়াতে রেজারের সাহায্য নেন। কিন্তু যা-ই করুন, এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। ত্বকে দেখা দেয় র‌্যাশ আর চামড়া সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে নারীদের দুই গালে লোমের ঘনত্ব বাড়ে। 

নারীদের মুখে অবাঞ্ছিত লোক কেন হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘ শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে দেখা দিলে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে মুখে লোমের ঘনত্ব বাড়ে।’’

আরো পড়ুন:

‘ন্যানো বানানা এআই শাড়ি’ ট্রেন্ড, কীভাবে বানাবেন পছন্দের ছবি

পোশাক উৎপাদনের ফলে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

সমস্যা এড়াতে করণীয়
মুখের লোম দূর করতে প্রতিবার তোলার তোলার দরকার নেই। বরং, ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনুন। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো ডায়েটে যোগ করলে মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর হতে পারে। 

পুদিনা পাতার চা
শরীরে টেস্টোস্টেরন ও অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমাতে দিনে দুই বার পুদিনা পাতার চা খান। এই হারবাল টি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে রোমের ঘনত্ব কমাবে। পাশাপাশি পিসিওএস-এ অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা কমাবে।

সাইট্রাস ফল
মুখের লোম দূর করার জন্য কমলালেবু, পাতিলেবু, মুসাম্বি লেবুর মতো সাইট্রাস ফল খেতে পারেন। লেবুজাতীয় ফল দেহে ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা বজায় রাখে এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমায়। সাইট্রাস ফল যেমন ত্বকের সমস্যা কমায়, তেমনই ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে।

দারুচিনি ভেজানো পানি
রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে দারুচিনি ভেজানো পানি। খাবার খাওয়ার পরে এই পানি পান করলে মেটাবলিজমও বাড়ে। এই পানীয়ও নিয়মিত খেলে কমে যাবে অবাঞ্ছিত রোমের সমস্যা।

মেথি ভেজানো পানি
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দূর করতে মেথি ভেজানো পানিও পান করতে পারেন। এই পানীয় ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং অবাঞ্ছিত রোমের সমস্যা দূর করে। রোজ সকালে খালি পেটে এই পানীয়তে চুমুক দিতে পারেন।

হলুদ
দুইগালে হলুদ মেখেও রোম তুলতে পারেন। কিন্তু প্রতিদিন মুখে হলুদ মাখলে ত্বকের উপর হলদেটে দাগ দেখা দিতে পারে। এর চেয়ে প্রতিদিনের ডায়েটে হলুদ রাখুন। কাঁচা হলুদ খেলেও উপকার পাবেন। হলুদ খেলে ব্রণ, দাগছোপ, ত্বকের প্রদাহও কমাতে পারবেন।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ প্রথম প্রেম দিবস
  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন