সংস্কার বিষয়ে যেসব বিষয় তুলে ধরলেন এনসিপি নেতারা
Published: 6th, May 2025 GMT
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজ ও জেলা কাউন্সিলের নির্বাচনমণ্ডলীর অংশগ্রহণ ও নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়াসহ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর সোয়া ২টায় এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির সংস্কার সমন্বয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর সরোয়ার তুষার এ কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কার সমন্বয় কমিটির সদস্য এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন ও কেন্দ্রীয় সংগঠক আরমান হোসেন।
আরো পড়ুন:
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার মতো ঘটনায় ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা
এনসিপির সংস্কার সমন্বয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর সরোয়ার তুষার বলেন, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইলেক্টোরাল কলেজ ও দ্বিকক্ষ নির্বাচনের পর ৬৪টি জেলা কাউন্সিলের ভোট ও এই নির্বাচনমণ্ডলীর বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত হয়েছি। পাশাপাশি নির্বাচকমণ্ডলীর আওতা বাড়াতে সিটি কর্পোরেশনসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আনতে চেয়ে আমরা মতামত জানিয়েছি।”
তিনি বলেন, “সংসদের স্থিতিশীলতা ও সংসদ সদস্যদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, অর্থাৎ অর্থবিল ও অনাস্থা ভোট বাদে যেকোনো বিষয়ে দলের বিরুদ্ধে ভোট প্রদান করার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।পাশাপাশি সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে ৭০ অনুচ্ছেদ (দলীয় সিদ্ধান্তের বিপরীতে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার সীমিতকরণ) কার্যকর করা যায় কিনা সেটা আমাদের ভেবে দেখার জন্য কমিশন অনুরোধ করেছেন। আমরা তাদেরকে জানিয়েছি, এখানে আমরা আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি, আমরা চাই দলের বিরুদ্ধে চাইলে কেউ ভোট দিতে পারবেন।”
পাশাপাশি ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সুপারিশের স্প্রেডশিট অনুযায়ী একমত হয়ে তারা কিছু বিষয়ে অধিকতর মতামত দিয়েছেন বলে জানান তিনি। এসব বিষয়ে আছে- প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু জ্যেষ্ঠতম ব্যক্তিকে নির্বাচন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ও এর কাজের আওতার পরিধি, মেয়াদ পূরণের পর নির্বাচন কমিশন এর দুর্নীতি বা সাংবিধানিক দায়িত্ব লঙ্ঘন বা অনিয়মের ক্ষেত্রে, জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে সংসদীয় কমিটি নয় বরং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত ও জুডিশিয়াল রিভিউ, রাষ্ট্রের মূলনীতি ও প্রস্তাবনাসহ নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে দুইকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের পর গণভোটের বিধান।
এ সময় তিনি বলেন, “ফরিদপুর এবং কুমিল্লাকে পৃথক দুটি বিভাগে পরিণত করার বিষয়ে কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে এনসিপি একমত হয়েছে।”
তুষার বলেন, “এর বাইরে কিছু বিষয়ে আমরা একমত হতে পারিনি যেমন, প্রাদেশিক সরকার। আমরা মনে করি এই মুহূর্তে প্রাদেশিক সরকার দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বরং স্থানীয় সরকারকে আরো দক্ষ ও শক্তিশালী করতে পারলে সেটি আমাদের জন্য লাভজনক হবে। এছাড়া, কিছু-কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় যেমন-স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি ও ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংসদের স্থায়ী কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব একজন বিরোধীদলীয় নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মামলা গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বিচার বিভাগের কাছেই বিচারিক ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন বলে আমরা জানিয়েছি। জেলা পরিষদ বাতিল ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ বিলুপ্তকরণ বিষয়ে আমরা দ্বিমত পোষণ করেছি। সেই সঙ্গে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার নয়, বরং সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে মত দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিলের জন্য দাবি জানিয়েছি। আমরা মনে করি, প্রতীক দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচনকালে সহিংসতার একটি অন্যতম কারণ এটি বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রণীত একটি বিষয় ছিল। সাংস্কৃতিক বিপর্যয় এড়াতে ও স্থানীয় ব্যক্তিদের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।”
সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রতি আয়কর বর্ষেই সম্পদের হিসাব সরকারকে দেওয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব জানিয়েছে দলটি। এছাড়া নিম্ন কক্ষে ১০০ আসনে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন, উচ্চ কক্ষে ১০০ আসনের ২৫ শতাংশ নারী আসনের জন্য তারা একমত হয়েছেন বলে তিনি জানান।
১৯ এপ্রিল প্রথম বৈঠকের পর মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড.
বৈঠকের শুরুতে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেরসহ সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের হাতে সংস্কার প্রস্তাবনা হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশন সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এনসিপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম-আহবায়ক সরোয়ার তুষার ও জাবেদ রাসিন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট প রস ত ব এনস প র য় কম ট কম ট র র জন য সদস য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ কী
জাতির সামনে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ উপস্থাপন করবে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্যদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ব্যস্ত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করার কাজে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত দুটি বিষয় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’। এ দুটি বিষয় একই বা কাছাকাছি মনে হলেও আসলে তা নয়। ঘোষণাপত্র ও সনদ দুটি পুরোপুরি আলাদা বিষয়।
সহজভাবে বলা যায়, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের একটি দলিল। যার মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। অন্যদিকে জুলাই জাতীয় সনদ হলো—রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে ঐকমত্যের একটি রাজনৈতিক দলিল।
গত বছরের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শুরু হওয়া আন্দোলন এক পর্যায়ে রূপ নেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ও দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর থেকেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্র, তরুণেরা অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা বলে আসছেন। তাঁরা একাধিকবার নিজেরা এ ঘোষণাপত্র দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। একপর্যায়ে সরকার বিষয়টি নিয়ে সব দলের সঙ্গে বৈঠক করে এবং সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শুরু থেকেই এই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে সোচ্চার। দলটির নেতারা বিভিন্ন সময় বলেছেন, এই ঘোষণাপত্র না হলে ভবিষ্যতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ‘অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল’ হিসেবে দেখিয়ে এতে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা বা এর মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই জায়গা থেকে এ অভ্যুত্থানের একটি স্বীকৃতি দরকার। এ কাজটিই জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
জুলাই ঘোষণাপত্রে কী থাকছেজুলাই ঘোষণাপত্রে কী কী থাকছে তার একটি খসড়া সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে। খসড়ায় মোট ২৬টি দফার উল্লেখ আছে। এর মধ্যে প্রথম ২১টিতে সংক্ষেপে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে সংবিধান সংশোধন করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েমের সমালোচনা করা হয়েছে। ‘পিলখানা ট্র্যাজেডি’ ‘শাপলা চত্বরে গণহত্যা’র বিষয়েও এখানে উল্লেখ আছে।
খসড়া ঘোষণাপত্রের একটি দফায় বলা হয়েছে, জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
বাকি দফাগুলোতে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-খুন, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়েছে।
খসড়ার একটি দফায় বলা হয়েছে,‘ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪—এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে। বিশেষত, সংবিধানের প্রস্তাবনায় এর উল্লেখ থাকবে এবং তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সংযুক্ত থাকবে।’
খসড়ায় যেভাবে বলা আছে সেভাবে এটি গৃহীত হলে জুলাই ঘোষণাপত্র ভবিষ্যতে সংবিধানের অংশ হবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে বিএনপির কিছুটা ভিন্নমত আছে। তারা জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের প্রস্তাবনায় না রেখে চতুর্থ তফসিলে রাখার পক্ষে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এই ঘোষণাপত্র ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর বলে ধরে নেওয়া হবে।
জুলাই সনদ কীগণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে গঠন করা ছয়টি সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে। যেসব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো নিয়ে তৈরি করা হবে একটি সনদ। এটিই ‘জুলাই জাতীয় সনদ’। এই সনদেরও একটি খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
মোটাদাগে, জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় তিনটি ভাগ আছে। প্রথম অংশে আছে এই সনদের পটভূমি। দ্বিতীয় অংশে কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার উল্লেখ। আর তৃতীয় অংশে থাকছে, সনদ তথা সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার। সেখানে বলা আছে, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে দলগুলো।
তবে এই অঙ্গীকারের বিষয়ে কোনো কোনো দলের আপত্তি আছে। শুধু এ ধরনের অঙ্গীকার করা হলে শেষ পর্যন্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন কতটা হবে, তা নিয়ে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ অনেকের শঙ্কা আছে। তারা চায় জুলাই জাতীয় সনদকে একটি আইনি ভিত্তি দেওয়া হোক।
সংস্কার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া কী হবে, সে বিষয়ে এখন আবার রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপর চূড়ান্ত করা হবে জুলাই জাতীয় সনদ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশ নেয়। সনদে এই দলগুলোর সই করার কথা রয়েছে। আগামী দিনের সংবিধান কেমন হবে, তার রূপরেখা থাকবে এই জাতীয় সনদে।