সকাল ১০টা বাজতেই শুরু হয়ে যায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ২০ মিনিট পর কেন্দ্রে প্রবেশ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় পরীক্ষার্থীদের কেউ গাইড বই খুলে, কেউ মুঠোফোনে চ্যাটিজিপিটি ব্যবহার করে খাতায় উত্তর লিখছিল। পরে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে আট পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গফরগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমির সালমান উপজেলার মহিলা কলেজকেন্দ্র অভিযানে গিয়ে এ পদক্ষেপ নেন।

আমির সালমান প্রথম আলোকে বলেন, গফরগাঁও মহিলা কলেজকেন্দ্রে এসএসসি ভোকেশনালের ট্রেড দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি কেন্দ্রে ঢুকে দেখেন, গাইড বই নিয়ে পরীক্ষার খাতায় লিখছে শিক্ষার্থীরা। ওই অবস্থায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে তিনটি কক্ষ থেকে আট পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তারা সবাই ছেলে শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ছয়জনের হাতে গাইড বই ও দুজনের কাছে মুঠোফোন পাওয়া যায়। তিনি বলেন, শিক্ষকেরা থাকার পরেও কীভাবে পরীক্ষার্থীরা গাইড বই বা মুঠোফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারে। এ ঘটনায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও তাঁদের ভর্ৎসনা করা হয়েছে।

অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ আল মামুন জেএম কামিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে মুঠোফোন রাখার দায়ে দুজন কক্ষ পরিদর্শককে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। এ ছাড়া ইসলামিয়া সরকারি স্কুলকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা মুজিবুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের মুঠোফোন রাখা ও বোর্ডের নীতিমালা ভঙ্গ করে নিজের মেয়ে পরীক্ষার্থী হওয়ার পরেও পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করায় পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও এনএম আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন না করার জন্য অভিভাবকদের সহযোগিতা চাই। নকলের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। 

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।

ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। 

এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  • গর্ভাবস্থায় চোখের যত্ন
  • আড়াইহাজারে পূজার নিরাপত্তায় ৩১ মন্ডপে রাতভর নির্ঘুম পরিদর্শন ইউএনও’র
  • ‘ওরা আমার নতুন বইও পুড়িয়ে দিল’