চিকিৎসাধীন মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে দেখতে রাজধানীর পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি মায়ের শয্যাপাশে কিছু সময় কাটান।

সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু অসুস্থ অবস্থায় কয়েক দিন ধরে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের স্ত্রী ও সমাজসেবী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু বার্ধক্যের নানা জটিলতায় ভুগছেন।

সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ‘সুরভী ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে আসছেন। তিনি ‘স্বাধীনতা পদক’ পেয়েছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় জানান, জুবাইদা রহমান তাঁর মাকে দেখতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে আসেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। বহুদিন পর মায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাঁকে খুবই উচ্ছ্বসিত দেখা যায়।

এর আগে গতকাল সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান।

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান। এখন দেশে ফিরে বাবার ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডে অবস্থিত বাসায় থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তাঁর সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান ও জুবাইদা রহমানের মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় একটি মামলা করে দুদক। এই মামলায় জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের ওই সাজা স্থগিত হয়।

আরও পড়ুন১৭ বছর পর যে বাড়িতে উঠতে পারেন জোবাইদা রহমান০৫ মে ২০২৫আরও পড়ুনজুবাইদার ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ২০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইকব ল ম ন দ ব ন রহম ন র

এছাড়াও পড়ুন:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ সংগীত উৎসব

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের আয়োজনে চতুর্থ সংগীত উৎসব–২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বুধবার বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-পরবর্তী সময়ে দেশে যে মুক্ত ও সৃজনশীল পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় এ উৎসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের সমৃদ্ধ দেশি সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি। সংগীত শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি জাতির প্রেরণার উৎস। মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং জুলাই বিপ্লবে সংগীতের শক্তিই আমাদের উদ্বুদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ করেছে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আজ আমরা প্রত্যাশা মজুমদারকে স্মরণ করছি। এমন সম্ভাবনাময় প্রাণের অকালপ্রয়াণ আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করে। এ ঘটনা শিক্ষা দেয় যে আমাদের মানবিক হতে হবে। কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে যেন অন্ধকার পথে পা না বাড়াই।’

গত ২৯ এপ্রিল আত্মহত্যা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী প্রত্যাশা মজুমদার। তাঁকে উৎসর্গ করে এবারের সংগীত উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।

উৎসবের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় সকাল ১০টায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে। সেখানে ‘সার্বিক স্বরূপ সমীক্ষণ: সংগীত ও সংবিৎ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উৎসবের দ্বিতীয় অধিবেশন বেলা তিনটায় বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে শিল্পী শাহীন সামাদকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

উৎসবের তৃতীয় অধিবেশনে বিকেল চারটা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন। সভাপতিত্ব করেন চতুর্থ সংগীত উৎসব উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ। সঞ্চালনা করেন সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদুল হাসান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ