টেনিস তারকা গ্রিগরি দিমিত্রভের প্রেমে পড়েছেন অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী এইজা গঞ্জালেজ। হলিউডের বাতাসে এখন এ গুঞ্জনই ভেসে বেড়াচ্ছে। কয়েক মাস আগেও মডেল গাই বিনসের সঙ্গে ‘বেবি ড্রাইভার’-খ্যাত অভিনেত্রী এইজাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। যে কারণে বিনসের সঙ্গে বিচ্ছেদ এবং টেনিস তারকার সঙ্গে এইজার প্রেম নিয়ে অনুরাগীদের মনে নানা কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে প্রেমে পড়ার বিষয়টি যে নিছক গুজব নয়, তা নিশ্চিত করেছে এম স্পোর্টস।
এ সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, বুলগেরিয়ান টেনিস সেনসেশন গ্রিগর দিমিত্রভ এখন খেলার বদলে সংবাদ শিরোনামে বেশি আসছেন তাঁর নতুন প্রেমকে কেন্দ্র করে। ৩৩ বছর বয়সী এ ক্রীড়াবিদকে সম্প্রতি মাদ্রিদে এইজা গঞ্জালেজের সঙ্গে দেখা গেছে, যা দু’জনের মধ্যে একটি উদীয়মান সম্পর্কের গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে। মাদ্রিদের রাস্তায় হাতে হাত রেখে তাদের হেঁটে বেড়ানোর ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
অন্যদিকে ইনস্টাগ্রামে দিমিত্রভ কোনো প্রকার রাখঢাক না রেখেই এইজা গঞ্জালেজের প্রশংসায় মেতেছেন। পোস্টে ‘তুমি কি আমার সঙ্গে মজা করছ’ বলে হৃদয়গ্রাহী ইমোজিসহ একটি ফ্লার্টেটিং মেসেজ দিয়েছেন দিমত্রভ। এ ছাড়া মায়ামিতে ডেভিড ইয়ুরম্যানের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও এই জুটিকে এক সঙ্গে দেখা গেছে। যা থেকে উপস্থিত অতিথিদের তাদের সম্পর্কের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
এদিকে প্রেমের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়ে উঠেছে ক’দিন আগে একটি ম্যাচ চলাকালীন সময়ে। সেদিন দর্শক বক্স এইজার উপস্থিতি এবং তাকে দেখে দিমিত্রভকে উল্লাসে মেতে ওঠা অনুরাগীদের জল্পনা-কল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুর মাথাব্যথা হলে করণীয়
বড়দের মতো শিশুরও মাথাব্যথা হতে পারে। এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। তবে শিশু এবং বয়স্কদের মাথাব্যথায় কিছুটা পার্থক্য আছে। শিশুর মাথাব্যথা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয় না। কোনো কোনো সময় এক-আধ ঘণ্টার মধ্যে সেরে যায়। শিশুর মাথাব্যথার সঙ্গে বমি ও বমি ভাব বয়স্কদের তুলনায় বেশি পরিলক্ষিত হয়।
সাধারণত গরমে, বদহজমজনিত কারণ বা অস্বস্তি, ঘুম কম হলে, সারাক্ষণ ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকলে এবং এমনকি স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা থেকেও শিশু মাথাব্যথার শিকার হয়ে থাকে। অনেকে আবার স্কুল ফাঁকি দেওয়ার ফন্দি হিসেবে মাথাব্যথার আশ্রয় নিয়ে থাকে। খুব অল্প কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর অসুখের কারণে শিশুর মাথাব্যথা হয়ে থাকে।
অনেক সময় শিশুর চোখের সমস্যাজনিত কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। মাথাব্যথার সঙ্গে যদি চোখে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, পড়ার সময় যদি চোখ দিয়ে পানি বের হয়, বই চোখের কাছে টেনে নেয়– তাহলে এর সহজ সমাধান হচ্ছে চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
বেশির ভাগ শিশু রোদ সহ্য করতে পারে না। কখনও এমন হয়, স্কুলে পিটি করার সময় বা অ্যাসেমব্লির সময় হঠাৎ করে শিশুর মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে শিশুকে ছাতা, ক্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে অভিভাবকদের স্কুলে গিয়ে শ্রেণিশিক্ষক বা পিটি শিক্ষকের সঙ্গে শিশুর রোদজনিত সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় করতে হবে।
শিশুর যদি মাইগ্রেনের সমস্যা হয় এবং মাথাব্যথার কারণ যদি বংশগত হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় শিশুর সাইনোসাইটিস, ব্রেইন টিউমারের কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যথা তীব্রতর নাও হতে পারে। অনেক সময় মাথাব্যথা বমির পর হালকা হয়ে যায়। শিশুর মৃগীরোগ বা এপিলেপ্সি রোগ হলেও মাথাব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে খিঁচুনির সমস্যা নাও থাকতে পারে।
মাথাব্যথা হলে প্যারাসিটামল সেবনের জন্য কেউ আর আজকাল চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল বা ব্যথার ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। শিশুর মাথাব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে শিশুর রোগের কারণ অনুযায়ী চক্ষুবিশেষজ্ঞ, নাক-কান-গলা রোগবিশেষজ্ঞ বা নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হোন।
লেখক: অধ্যাপক, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, ঢাকা