নদীপথে সিলেটের লোভাছড়ার লোভনীয় সৌন্দর্যের খোঁজে
Published: 22nd, June 2025 GMT
পূর্ব বাজার থেকে কালক্রমে পুববাজার হয়ে ওঠা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার খেয়াঘাট থেকে আমাদের দেড় হাজার টাকায় ভাড়া করা ‘ছাতকী নৌকা’ যাত্রা শুরু করে। উদ্দেশ্য সীমান্তবর্তী লোভাছড়ায় যাওয়া। বার কয়েক লোভাছড়ায় গেলেও বর্ষায় কখনো এদিকটায় যাওয়া হয়নি। তবে পরিচিতজনদের মুখে বর্ষায় লোভাছড়ার অনিন্দ্য সৌন্দর্যের বয়ান আমাদের অনেক আগেই লোভাতুর করে তুলেছিল।
গত শুক্রবার পুরো একটা বিকেল রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভেসে বেড়াই লোভাছড়ার মায়াবী জলে। ভারতের মেঘালয়ের ঘন সবুজ-শ্যামল পাহাড়ের পাদদেশে থই থই পানিতে ভাসমান নৌকায় বসে বৃষ্টিতে স্নাত হই। কী অপূর্ব এক অনুভূতি!
কানাইঘাট উপজেলা সদরের সুরমা নদীর পুববাজার খেয়াঘাট থেকে বেলা পৌনে দুইটার দিকে আমাদের ইঞ্জিনচালিত নৌকা নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর আগে খেয়াঘাটে থাকা একাধিক মাঝির সঙ্গে দরদাম শেষে একজনের সঙ্গে বনিবনা হওয়ায় তাঁর ছইবিহীন ‘ছাতকী নৌকা’ ভাড়া করা হয়। একপর্যায়ে নদীতীরের দুই পাশের গাছগাছালি আর গাঁওগেরাম দেখতে দেখতে আমাদের যাত্রা চলে। তীব্র ভাঙনে নদীতীরবর্তী বাঁ পাশের গ্রামগুলো অনেকটাই ক্ষত-বিক্ষত!
নদীতীরের দুই পাশের গাছগাছালি আর গাঁওগেরাম দেখতে দেখতে যাত্রা চলে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ল ১০ হাজার কোটি টাকা
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়েছে উপদেষ্ট পরিষদ।
রবিবার (২২ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে গত ২ জুন টেলিভিশন ভাষণের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা। প্রস্তাবিত বাজেটের তিনটি জায়গায় পরিবর্তন করে বাজেট পাশ করা হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।
আরো পড়ুন:
বাজেটের ত্রুটি সংশোধনের আহ্বান
নির্দেশনামূলক বাজেট দিতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ: এবি পার্টি
তিনি বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ৮১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৯১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা করে বাজেট পাশ করা হয়েছে। এতে এই খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।”
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমরা জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষমাত্রা মাত্রা ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ধরেছি। আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।”
এর আগে গত ২ জুন সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অর্থ উপদেষ্টা যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থান করেন সেখানে অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা। ৪ হাজার কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধারা হয়।
এই ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশি ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৯ হাজার কোটি টাকা। এতে নীট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯৬ হাজার কোটি টাকা।
আর অভ্যান্তরীণ ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২১ হাজার কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ১ লাখ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২২ হাজার কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যাতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে আবর্তক ব্যয় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। আর দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এবার মূলধন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।
বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্কিমে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। এডিপি বহির্ভূত বিশেষ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (এডিপি বহির্ভূত) ও স্থানান্তরে ২ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ