মহিলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ চার নেতা গ্রেপ্তার
Published: 7th, May 2025 GMT
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমত আরা হ্যাপি, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আজিম মো.
ডিবি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধানমন্ডি এলাকা থেকে ইসমত আরাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির ওয়ারী বিভাগের একটি দল। অন্যদিকে ডিবির লালবাগ বিভাগের একটি দল রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালি এলাকা থেকে মাহবুব আলমকে গ্রেপ্তার করে। এর ঘণ্টাখানেক পর ইসলামপুর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিবির সাইবার বিভাগের একটি দল। এর আগে বিকেলে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগের একটি দল বসিলা এলাকা থেকে তানজিম রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
ডিবির ভাষ্য, গ্রেপ্তারকৃতরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ গ র প ত র কর ব ভ গ র একট
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান, অস্ত্র-মাদকসহ আটক ৫
কুষ্টিয়ায় একটি তিনতলা বাড়ি থেকে সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার আইলচারা বাজার সংলগ্ন একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এসময় একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনটি অপরাধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। তারা বাড়িটিকে একটি টর্চার সেল বা নির্যাতন কেন্দ্রে রূপান্তর করেছিল। যেখানে চাঁদাবাজি ও অপহরণের জন্য ধরে আনা ব্যক্তিদের নির্যাতন করা হতো। পরে অপহৃতদের পরিবার থেকে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ।
আটকরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান খান মানিক, বড় আইলচারা এলাকার মৃত মোজাম ডাক্তারের ছেলে রনি, মিরপুর থানার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার বাসিন্দা সজীব, একই ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের রাব্বি ও একই গ্রামের শাকিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মানিকের নেতৃত্বে এই চক্রটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয় ও ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছিল তাদের নিত্য কাজ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, “আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অপহরণ সংক্রান্ত ধারায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/এস