জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্সের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড শুরু
Published: 8th, May 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত ও প্রাইভেট) প্রোগ্রামে ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ নিচের করণীয় ও সময়সূচি অনুসরণ করে ইস্যু করা রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম১.
২. যেসব কলেজ রেজিস্ট্রেশন কার্ড Download করার জন্য Password সংগ্রহ করে নাই, তাদের কলেজ কোড, কলেজের নাম, ঠিকানা, নিবন্ধিত মুঠোফোন নম্বর ও সঠিক ই-মেইল অ্যাড্রেসসহ ডিন দপ্তরের অফিশিয়াল ই-মেইল ([email protected]) এ আবেদনপত্র প্রেরণ করতে হবে। পরবর্তী সময় সংশ্লিষ্ট কলেজের ই-মেইলে User ID ও Password প্রেরণ করা হবে। পরবর্তী সময় সংশ্লিষ্ট কলেজের ই-মেইলে User ID ও Password প্রেরণ করা হবে। উল্লেখ্য যে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত ও প্রাইভেট) প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোতে যে User ID ও Password দেওয়া হয়েছে, তা বহাল থাকবে।
৩. ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে অথবা তার আগে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত ও প্রাইভেট) ভর্তি কার্যক্রম সম্পর্কিত কোনো ফি বকেয়া থাকলে সংশ্লিষ্ট কলেজে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু করা হবে না।
আরও পড়ুনজাপানের স্টাডি সাপোর্ট স্কলারশিপ, ইংরেজি ও জাপানিজ দুই ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন৮ ঘণ্টা আগে৪. মাস্টার্স (নিয়মিত/প্রাইভেট) অথবা প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত/প্রাইভেট) অথবা মাস্টার্স (প্রফেশনাল) প্রোগ্রামে (যে শিক্ষাবর্ষে হোক না কেন) বর্তমানে অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত ও প্রাইভেট) প্রোগ্রামের অধীন ভর্তি হয়ে থাকলে তাঁর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু করা হবে না। এখানে উল্লেখ্য, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত ও প্রাইভেট) প্রোগ্রামে ভর্তি করা কোনো শিক্ষার্থী নিজ ছবি ব্যতীত অন্যের ছবি দিয়ে ভর্তি হয়ে থাকলে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে ছবি পরিবর্তনের জন্য আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫. জেনে রাখুন: ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত ও প্রাইভেট) প্রোগ্রামে ইস্যু করা রেজিস্ট্রেশন কার্ডে শিক্ষার্থীর নিজের নাম/মাতা–পিতার নামে কোনো ভুল থাকলে কার্ড ইস্যুর পরবর্তী এক মাসের মধ্যে তা সংশোধনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
* বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট:
আরও পড়ুনজাপানের স্টাডি সাপোর্ট স্কলারশিপ, ইংরেজি ও জাপানিজ দুই ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের রুটিন প্রকাশ, পরীক্ষা ৮ জুলাই শুরু, প্রতিদিন ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারার পরামর্শ পরীক্ষার্থীদের০৬ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স শ ল ষ ট কল জ পরবর ত কল জ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পর্কে পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলোই পরবর্তী সময়ে বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না তো?
পিঙ্ক ফ্ল্যাগ কী
সম্পর্কে রেড ফ্ল্যাগগুলো নিয়ে আমরা সবাই কমবেশি সচেতন হয়ে উঠছি। সঙ্গীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অসম্মান, মূল্যায়ন না করা, সারাক্ষণ সন্দেহ করতে থাকা, চাপে রাখা—এসবকে এককথায় রেড ফ্ল্যাগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আবার আপনি ঠিক যেমন সম্পর্ক আশা করেন, সম্পর্কে যা যা চান, তা মিলে যাওয়াকে বলে গ্রিন ফ্ল্যাগ। তবে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেসব ঠিক রেড বা লাল নয়, আবার গ্রিন বা সবুজও নয়, মাঝামাঝি বলা চলে। আপাতদৃষ্টে প্রাথমিকভাবে সেসবকে ‘পাত্তা দেওয়ার মতো’ বড় সমস্যা মনে না হলেও সময়ে বা পরিস্থিতিতে সেসব রেড ফ্ল্যাগের মতোই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এমনকি হতে পারে বিচ্ছেদের কারণও। রোমান্টিক বা দাম্পত্য সম্পর্কে সেই পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলো কী?
১. দুজনের ‘লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ’ ভিন্নএকজনের কাছে হয়তো সম্পর্কে শারীরিক আকর্ষণটা মুখ্য, অন্যজনের কাছে ভালোবাসা হলো সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, নানান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা, সঙ্গীর জন্য নানান কিছু করা বা হতে পারে ভালো ভালো রেঁধে খাওয়ানো। এখন একজন যদি অন্যজনের ভালোবাসার ভাষাকে মূল্যায়ন না করেন, তাহলে সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যায় পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুনকেন শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করবেন২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫২. দুজনের জীবনের লক্ষ্য ভিন্ন হওয়াধরুন, দুজনার একজন সন্তান চাইছেন। আরেকজন সন্তানের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত নন। এই দ্বিমত সম্পর্ক ভেঙে ফেলার জন্য যথেষ্ট।
৩. ঝগড়া এড়িয়ে চলাসম্পর্কে দুটি মানুষের দ্বিমত, ভিন্নমত, মান-অভিমান থাকাটাই স্বাভাবিক। ‘আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয় না’—এর মানে দুজনের কোনো একজন অথবা দুজনই ঝগড়া এড়িয়ে যাচ্ছেন, চেপে যাচ্ছেন, নীরবে সইছেন, নিজেকে প্রকাশ করছেন না বা চুপচাপ সবকিছু মেনে নিচ্ছেন। এ রকম ছোট ছোট অমীমাংসিত ইস্যু একসময় এত বড় আকার ধারণ করবে যে সেটা আর কোনোভাবেই সমাধান করা সম্ভব হবে না। আর ঠিক এ কারণেই ‘আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই’ মানে সেই জুটির বড় কোনো সমস্যা আছে! কেননা কোনো একজন অথবা দুজন সমস্যা প্রকাশই করছেন না বা করাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না।
৪. প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বআপনি যদি প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চালিয়ে যান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনার সঙ্গী বাহ্যিক উদারতা দেখিয়ে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে মেনে নিতে পারেন না। আর সেটা অন্যভাবে প্রকাশ পেতে থাকে। তাই সম্পর্কবিশেষজ্ঞরা প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখাটাকেই শ্রেয় মনে করেন।
আরও পড়ুনপ্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কি বুদ্ধিমানের কাজ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৫. অর্থনৈতিক বিষয়ে দ্বিমতধরুন, আপনি ‘একটু কম খেয়ে কম পরে’ টাকা জমিয়ে আগে একটা বাড়ি কিনতে বা বানাতে চান। আর আপনার সঙ্গী ‘ইউ অনলি লিভ ওয়ান্স’ মতবাদে বিশ্বাসী। তিনি তাঁর সব ছোটখাটো শখ-আহ্লাদ পূরণ করে বাঁচতে চান। তিনি বাড়ি–গাড়ি চান না। বিশ্ব ঘুরে দেখাই তাঁর ইচ্ছা। প্রাথমিকভাবে এটিকে বড় সমস্যা মনে না হলেও পরবর্তী সময়ে তা জটিল আকার ধারণ করে সম্পর্কে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৬. মনের ভাব সঠিকভাবে প্রকাশ না করাআপনি যদি সঙ্গীর সঙ্গে নিজের অনুভূতি যথাযথভাবে প্রকাশ না করেন, তখন শুরু হয় ‘গেসিং গেম’। এর ফলে সম্পর্কে ভুল–বোঝাবুঝির অবকাশ তৈরি হয়।
কী করবেনএসব ক্ষেত্রে পিঙ্ক ফ্ল্যাগগুলো জমে জমে গাঢ় হয়ে রেড ফ্ল্যাগ হয়ে ওঠার আগেই সেসবের মোকাবিলা করতে হবে। সম্পর্কটাকে যদি দুজনেই সবার আগে প্রাধান্য দেন, তাহলে দুজনকেই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে হবে। তবে সবার আগে নিজের মনের গভীরের কথা শোনার কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় আপনার মন আপনাকে বারবার সতর্ক করে দেয়। কিন্তু আপনি প্রেমে পড়ার প্রাথমিক আবেগে বা শারীরবৃত্তীয় রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার প্রভাবে সেসবে পাত্তা দেন না। বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের মনের কথা শুনুন। নিশ্চিত হয়ে তবেই আগান।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
আরও পড়ুনএই ১০ রেড ফ্ল্যাগের কয়টি আপনার মধ্যে আছে০১ মে ২০২৫