কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে উত্তেজনার জেরে নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। যেটার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও।

এ নিয়ে কাল উদ্বিগ্নতার কথা জানিয়েছে বিসিবি। কারণ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা যে পিএসএলে খেলতে এই মুহূর্তে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন!

বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনেও প্রশ্ন জেগেছিল, পাকিস্তানে রিশাদ ও নাহিদ কেমন আছেন। তবে আজ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিশাদ যে দুটি পোস্ট দিয়েছেন, তা দেখার পর সবার স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার কথা।

রিশাদ ঘণ্টা তিনেক আগে নিজের দুটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সব ঠিকঠাক চলছে! প্রতিটি আনন্দের মুহূর্ত উপভোগ করছি।’ এক ঘণ্টা আগে রাওয়ালপিন্ডির জিমে নাহিদকে নিয়েও ছবি দিয়েছেন রিশাদ। যার ক্যাপশন, ‘ভ্রাতৃত্ব’। এই ছবিগুলো থেকেই স্পষ্ট, পাকিস্তানে নিরাপদেই আছেন তাঁরা।

ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের আঁচ লাগেনি রিশাদ–নাহিদের জীবনযাত্রায়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বেহাল ৫ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলে ঝুঁকি

হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সংযোগ সড়ক পানিউমদা-শমশেরনগর সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত এ সড়কে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 
স্থানীয়দের অভিযোগ, নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা বাজার থেকে মৌলভীবাজার জেলার শমশেরনগর পর্যন্ত সড়কে গত ১০ বছরেরও কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন নিয়মিত মাপজোক করে সংস্কারের আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ সড়কে চলাচলে কষ্টের শেষ থাকে না। 
সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কে ছোট-বড় খানাখন্দে ভরপুর। কয়েকটি গর্ত বেশ গভীর। যার মধ্যে দুই ও তিন চাকার যান উল্টে যেতে পারে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এ সড়কে চলাচল করতে তাদের কষ্টের পাশাপাশি সবসময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তাড়া করে বেড়ায়। 
নবীগঞ্জ উপজেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনু আহমদের ভাষ্য, গত এক মাসে মৌলভীবাজার-শমশেরনগর টু নবীগঞ্জ পানিউমদা সড়কে ২০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। বিশেষ করে সড়কের টঙ্গিটিলা, ভেড়ামারা, মোকামবাজার, পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা, শমশেরনগর লেবু বাগান এলাকায় সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। বর্ষা মৌসুমে খানাখন্দে পানি জমলে গাড়ি চালানো সম্ভব হয় না। 
পানিউমদা গ্রামের ব্যবসায়ী অনু আহমদ জানান, এই সড়কের গুরুত্ব শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়। এটি হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম সড়ক। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষের যাতায়াত এই পথেই। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। 
স্থানীয় এক বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর চলাচলের এটিই একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। ক’দিন পরপর মাপজোক হয়; কিন্তু সংস্কার আর হয় না। 
অটোরিকশা চালক কুদ্দুছ মিয়া জানান, রাস্তায় বড় বড় গর্ত হওয়ায় যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। এতে তাদের আয়-রোজগারও কমে গেছে।
পানিউমদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান বলেন, বেহাল সড়কটি এলাকাবাসীর দুঃখকষ্টের অন্যতম কারণ। তিনি মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় সড়কটি সংস্কারের কথা অসংখ্যবার বলেছেন। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
নবীগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. জোনায়েদ আলম বলেন, গুরুত্ব বিবেচনা করে পানিউমদা-শমশেরনগর সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ