বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাফিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী সোমা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে দুজন বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দুদক। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল দুদক থেকে চিঠি দিয়ে তাঁদের উপস্থিত হতে বলা হয়।

দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সাফিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যাচাই করা হচ্ছে।

দুদক সূত্র জানায়, সাবেক এই কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

মেজর জেনারেল (অব.

) মো. সাফিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বিজিবির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ পদে ছিলেন।

চলতি বছরের এপ্রিলে দুদকের আবেদনের পর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন সাফিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা ৫৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

আরও পড়ুনবিজিবির সাবেক ডিজি সাফিনুল ও তাঁর স্ত্রীর ৫৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ২৩ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ফ ন ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

রাজধানীর ভাটারা নূরেরচালা এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারীসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দগ্ধরা হলেন– গৃহকর্তা হালিম শেখ (৫০), তাঁর স্ত্রী শিউলি বেগম (৪৫) ও ছেলে হানিফ শেখ (২৮) এবং হালিম শেখের বোন রহিমা খাতুন (৫০)। তাদের মধ্যে হালিমের শরীরের ৩৩ শতাংশ, হানিফের ৯০ শতাংশ, শিউলির ১ শতাংশ ও রহিমার ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

হালিমের ভাগনে সাগর জানান, সন্ধ্যা ৭টায় রাতের রান্না করতে চুলা জ্বালালে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে পরিবারে সবাই দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি। তারা ভাটারা থানার আবুল কালাম খন্দকারের টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ