পাঁচ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি, সভাপতি খালেদ, সম্পাদক সিরাজুল
Published: 9th, May 2025 GMT
পাঁচ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে খালেদ হোসেনকে (মাহবুব) সভাপতি ও সিরাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
খালেদ হোসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে একাধিকবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। সিরাজুল ইসলাম আগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন।
জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জেলায় বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কমিটি নিয়ে নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত ছিলোন। দীর্ঘ জটিলতার পর জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হলো। ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ৩২ জনকে উপদেষ্টা, ১৮ জনকে সহসভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ৪ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৬৮ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হককে নতুন কমিটিতে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, সাবেক সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লাকে নতুন কমিটিতে এক নম্বর সদস্য এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কবির আহমদ ভূঁইয়াকে দুই নম্বর সদস্য করা হয়েছে। কবির আহমদ লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রহমানের বড় ভাই। আগের কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মান্নানকে তিন নম্বর সদস্য করা হয়েছে।
পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য হারুন-আল রশিদ, সাবেক সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল খালেকসহ ৩২ জনকে উপদেষ্টা করা হয়েছে।
নতুন কমিটিতে মো.
কমিটিতে মো. আলী আজমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক; বেলাল উদ্দিন সরকার, নূরে আলম সিদ্দিকী, মো. আজিম, মো. মনির হোসেন, মাইনুল হোসেন, মো. জামাল হোসেন ও মো. নাজমুল হুদা খন্দকারকে যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে। মো. মিজানুর রহমানকে কোষাধ্যক্ষ, মো. আসাদুজ্জামান, তানিম শাহেদ, জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শামীম মোল্লা ও আবুল মনসুরকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মো. সামসুজ্জামানকে দপ্তর সম্পাদক, মো. মাহিনকে প্রচার সম্পাদক, মো. ফারুক মিয়াকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক, মো. আলমগীর হোসেনকে প্রকাশনা সম্পাদক করা হয়েছে।
এ ছাড়া নুরুজ্জামান লস্করকে আইনবিষয়ক সম্পাদক, শামসুন্নাহারকে মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, মো. নিয়ামুল হককে যুববিষয়ক সম্পাদক, মো. রাশেদ কবির আখন্দকে ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক, মো. মোস্তফা মিয়াকে শ্রম সম্পাদক, এইচ এম আবুল বাশারকে স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক, মো. নুরুল হুদা সরকারকে প্রশিক্ষণ সম্পাদক, আরমান উদ্দিনকে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, অধ্যাপক মোতাহের হোসেনকে প্রবাসীকল্যাণ সম্পাদক, কাজী নাজমুল হোসেনকে অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক, মো. সাব্বির হোসেনকে ধর্ম সম্পাদক, মো. ইসহাক মিয়াকে মানবাধিকার সম্পাদক, সুপ্রিয় রায়কে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক, মজিবুর রহমানকে পরিবেশ সম্পাদক, এ কে এম নুরুল হাসান আলমকে শিশু সম্পাদক, মো. কাওছার কমিশনারকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক, মো. মহসিন মিয়াকে ক্ষুদ্রঋণ ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক, মাইনুল হোসেনকে ক্রীড়া সম্পাদক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর জিল্লুর রহমানকে আহ্বায়ক করে জেলা বিএনপির ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২৯ মে জিল্লুর রহমানের মৃত্যু হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট জেলা বিএনপির পাঁচ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ওই পাঁচ সদস্যের কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। বিরোধ না মিটিয়েই ২০২৪ সালের ২ নভেম্বর আবার ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে দুই পক্ষ পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছিল।
নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলা বিএনপি পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে। সব বিরোধ ও বিভেদ দূর হবে। তাঁরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে রাজনীতির মাঠে এগিয়ে যাবেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম সদস য র র রহম ন ব এনপ র র কম ট কম ট ত
এছাড়াও পড়ুন:
রিমান্ড শেষে কারাগারে কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর
২০২৩ সালে বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীমকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাফর আলমকে ৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের উপপরিদর্শক ফেরদৌস আলম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মো. রোকনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৫ মে জাফর আলমের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল জাফর আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত। তার আগে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাফর আলম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন অংশ নিয়ে হেরে যান তিনি। জাফর আলম ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ২০১৪ সালে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন।