ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী বর্তমানে ধারে খেলছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে। এবার তার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে, কারণ প্রিমিয়ার লিগে ফেরার এক ধাপ দূরে আছে শেফিল্ড।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হামজার দল বৃহস্পতিবার রাতে চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রিস্টল সিটিকে। এই জয়ে ফাইনালে ওঠা অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে ক্রিস ওয়াইল্ডারের শিষ্যরা। প্রিমিয়ার লিগে ওঠার লড়াইয়ে ২৪ মে ওয়েম্বলিতে মুখোমুখি হবে সান্দারল্যান্ড বা কভেন্ট্রি সিটির।

গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ থেকে নামা শেফিল্ড এবার চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করে প্লে-অফে জায়গা করে নেয়। সরাসরি প্রমোশন পেয়েছে লিডস ইউনাইটেড ও বার্নলি। শীর্ষ স্তরে ফেরার লড়াইয়ে এবার প্লে-অফই শেফিল্ডের শেষ আশ্রয়।

শেফিল্ড যদি শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে উঠতে পারে, তাহলে হামজার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। লেস্টারে এখনো তার চুক্তি থাকলেও, নিয়মিত খেলার সুযোগ না পাওয়ায় ধারে পাঠানো হয় তাকে। লেস্টারের হয়ে ১৩১ ম্যাচ খেলেছেন হামজা, যার মধ্যে ৯১টি ম্যাচ ছিল ইপিএলে। ছয় মৌসুমে ইপিএলে তার মোট খেলার সময় ২৫৯৩ মিনিট।

শেফিল্ড যদি প্রিমিয়ার লিগে ফিরে যায়, সেক্ষেত্রে তারা হামজাকে স্থায়ীভাবে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরের মৌসুমে ইংলিশ লিগের সর্বোচ্চ মঞ্চে আরও বেশি সময় মাঠে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের প্রিয় তারকাকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।

৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।

আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ