চাক দে! ইন্ডিয়া: শাহরুখের সেরা সিনেমা, মসলার বাইরে সাহসী বলিউড
Published: 12th, May 2025 GMT
অপবাদ ও অপমান মাথায় নিয়ে খেলা ছাড়ার সাত বছর পর আবার হকিতে ফেরেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কবির খান। দায়িত্ব নেন ভারতীয় নারী হকি দলের কোচের। এই দলে ডাক পাওয়া খেলোয়াড়েরা এমন যে পেশাদারির সঙ্গে তাঁদের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় এসেছেন দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে। যাঁদের কেউ কেউ রেলওয়ের চাকরির অংশ হিসেবে খেলেন, আবার কেউ খেলেন নিছক খেয়েপরে বাঁচার জন্য। এমনকি কেউ কেউ হিন্দিতে কথাও বলতে পারেন না।
দলটার কাছে কারও কোনো প্রত্যাশা নেই, দলটির ভবিষ্যৎও দেখেন না কেউ। আর সে কারণেই কবির খানের ঘাড়ে এই বোঝা চাপিয়ে দেওয়া। বিনা আপত্তিতে কবিরও নিয়ে নেন এই দায়িত্ব। নিজের হারানো সম্মান পুনরুদ্ধার এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের এটাই ছিল তাঁর একমাত্র সুযোগ। আর এরপরই শুরু হয় ভারতীয় নারী হকি দলের সঙ্গে কবিরের অন্য রকম এক যাত্রা। যে যাত্রার নাম ‘চাক দে! ইন্ডিয়া’।
সত্য ঘটনা ছায়া অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিতে ভারতীয় নারী হকি দলের কোচের ভূমিকায় অভিনয় করেন বলিউড বাদশাহখ্যাত শাহরুখ খান। মূলত এটা ভারতের হকি দলের সাবেক গোলরক্ষক মীর রঞ্জন নেগির গল্প। যদিও গল্পটা বলতে গিয়ে মূল ঘটনা এবং চরিত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আরও পড়ুনঅজয় দেবগন কতটা ‘আবদুল রহিম’ হতে পারলেন০৫ মে ২০২৫যেমন নেগি গোলরক্ষক হলেও কবির তথা শাহরুখকে দেখানো হয়েছে দলের স্ট্রাইকার হিসেবে। ‘চাক দে! ইন্ডিয়া’কে শাহরুখের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি বিবেচনা করা হয়। শাহরুখ খান তাঁর চিরাচরিত রোমান্টিক ছাঁচ ভেঙে এক গম্ভীর, রাগী ও একরোখা কোচের ভূমিকায় দারুণ অভিনয় করেছেন। জিতেছেন ফিল্মফেয়ারের সেরা অভিনেতার পুরস্কারও।
নারী দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর কবির বুঝতে পারেন, কাজটা কতটা কঠিন। দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে সামলানো বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল তাঁর জন্য। এর মধ্যে দলের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বিন্দিয়া নায়েকের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বও ছিল স্পষ্ট। বিন্দিয়া তাঁর কাছের খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি দলও তৈরি করেন।
‘চাক দে ইন্ডিয়া’ সিনেমায় শাহরুখ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইন ড য়
এছাড়াও পড়ুন:
অর্ডিন্যান্স জারি এবং কাউন্সিল গঠন দাবি
অযৌক্তিক আদেশ বাতিল ও ইউনানী আয়ুর্বেদিক সিস্টেমের বিদ্যমান সব বৈষম্য দূরীকরণ এবং আগের বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা অর্ডিন্যান্স জারি এবং কাউন্সিল গঠন দাবি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে মেডিকেল অফিসার ইউনানী ও আয়ুর্বেদিকের নিয়োগ যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়। এতে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষার স্বতন্ত্রতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী ও আয়ুবেদিক সিস্টেম অব মেডিসিনের গ্র্যাজুয়েট ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন এবং পরিচালনার শর্তাবলী অমান্য করে। এছাড়া ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাচেলর ডিগ্রিপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের প্র্যাক্টিসের অনুমতি এবং রেজিস্ট্রেশন প্রদানের নীতিমালা লঙ্ঘন করে।
দাবিগুলো না মানা হলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।