‘নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই সিদ্ধান্ত নেবেন দেশ কোন দিকে এগোবে’
Published: 14th, May 2025 GMT
ছবি: প্রথম আলো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর এগিয়ে গেলে এগিয়ে যাবে দেশ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। এই হৃৎপিণ্ড যদি দুর্বল হয়, কোনো ডাক্তারই তা আর ভালো করতে পারে না। তাই চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের করতে হবে। এ জন্য বিশ্বের খ্যাতিসম্পন্ন বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বন্দরের ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতি নির্ভরশীল। বন্দর এগিয়ে গেলে এগিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বৈশ্বিক পর্যায়ের শীর্ষ কোম্পানিগুলোকে আগেও ডাকা হয়েছিল; কিন্তু কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে একটি সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অর্থনীতির এই হৃৎপিণ্ডকে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এ জন্য আমি নেপাল ও ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের কথা বলেছি। যদি তারা এতে যুক্ত হয়, তারা উপকৃত হবে, আমরাও হব। যারা যুক্ত হবে না, তারা পিছিয়ে পড়বে।’
চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক বন্দরে উন্নীত করতে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের আশা। এটি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে নিজের শৈশব স্মৃতির কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘এই সফরের জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। চট্টগ্রাম বন্দর আমার জন্য নতুন কিছু নয়। আমি শৈশব থেকেই এর সঙ্গে পরিচিত। এটি অনেক বদলেছে, দুঃখের বিষয় হলো, পরিবর্তন ধীরগতির। আমি যখন সুযোগ পেলাম, তখন থেকেই ভেবেছি কী করা যায়।’
প্রধান উপদেষ্টার বন্দর উন্নয়নের আগ্রহের প্রশংসা করে সভায় নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের আশপাশে একাধিক টার্মিনাল নির্মাণ কনটেইনার জট কমাতে সাহায্য করবে। আমি আশা করি, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বন্দরের আধুনিকায়নের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য এবং তার ৯৮ শতাংশ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রাকৃতিক কারণে ২০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে না। বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, এ কারণে বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রায় ১ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।’