সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
Published: 14th, May 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস অ্যান্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী। বুধবার (১৪ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতাবনগর ও ঝাউচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ সময় কারখানা দুটির অবৈধ গ্যাস সংযোগে ব্যবহৃত পাইপ, রাইজার রেগুলেটর জব্দ করে বেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাশেদ খান।
তিতাস গ্যাস মেঘনাঘাট অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সুরজিত কুমার সাহা বলেন, উপজেলার প্রতাবনগর ও ঝাউচর এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ সংযোগ চালিয়ে আসছে। এতে বৈধ গ্রাহকরা গ্যাস সংকটে ভুগছিল।
বুধবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে দুটি চুনা কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ অব ধ গ য স স য গ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’