দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না জবি শিক্ষার্থীরা। চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আজ বুধবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক সংগঠনের প্লাটফর্ম ‘জবি ঐক্যের’ মতামতের ভিত্তিতে তিনি এ ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা কাকরাইল এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।

এ সময় তিনি জবিয়ানদের চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। সারারাত এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবো। এখানে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, সেই দায় সরকারকে নিতে হবে। আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবো। দুপুরের ন্যায় যদি আবার হামলা চালানো হয়; আমরা তা মেনে নেব না। 

তিনি বলেন, কোনোভাবে জবি শিক্ষার্থীদের ওপর রক্তচক্ষু দিয়ে তাকাবেন না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই জায়গা ছেড়ে কোথাও যাবো না।  বোতল নিক্ষেপের বিষয়টি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এই ঘটনার দায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের হতে পারে না। তথ্য উপদেষ্টা তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বোতল নিক্ষেপের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে দোষী করা আপনার উচিত হয়নি।

এর আগে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা নিশ্চিত, বাজেট বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লংমার্চ করেছে জবি শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন তারা। মিছিলটি কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হন কয়েকজন।

রাত ১০টার দিকে সমঝোতা করতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়ে হাজির হন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ। এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি চক্র তার ওপরে আক্রমণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন উপদেষ্টা মাহফুজ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একটি পক্ষ ঢুকে আন্দোলনকে স্যাবোটাজ করার চেষ্টা করছে, তারা কারা তাদের নাম বলতে চাই না।

উপদেষ্টা মাহফুজ আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে দ্রুতই প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবে। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবির বিষয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনের বিষয়ে সরকার কথা শুনবে। কিছু হলেই যমুনায় চল, এমন আর হবে না। সরকার কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—

১.

আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।

২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।

৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

ঢাকা/রায়হান/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট অবস থ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

৯ কোটি টাকা সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৩২ চলচ্চিত্র

৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৯ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এই অনুদান দেওয়া হবে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি।

মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ৭৫ লাখ টাকা। আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ২০ লাখ টাকা করে।

অনুদানের জন্য মনোনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান, মায়ের ডাক, জুলাই, রূহের কাফেলা, পরোটার স্বাদ, খোঁয়ারি, জীবন অপেরা, জলযুদ্ধ, কবির মুখ দ্য টাইম কিপার, কফিনের ডানা, নওয়াব ফুজুন্নেসা ও জুঁই।

অনুদানের জন্য মনোনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—মন্দ-ভালো, ফেলানী, ঝুঁকির মাত্রা, জীবনের গান, হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই, ভরা বাদর, ১২৩০, বৃন্দারাণীর আঙুল, একটি সিনেমার জন্য, দাফন, সাঁতার, মাংস কম, গগন, অতিথি, বোবা, অদ্বৈত, আশার আলো, গর্জনপুরের বাঘা, হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস এবং অপসময়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ