গহনা কিনতে জুয়েলারি দোকানে ঢোকে ৫ নারী, সুযোগ বুঝে ‘শতাধিক ভরি’ স্বর্ণ চুরি
Published: 14th, May 2025 GMT
রংপুর শহরের বেতপট্রি এলাকায় লক্ষ্মী জুয়েলার্স নামের একটি জুয়েলারির দোকান থেকে স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটেছে। দোকানের কর্মচারীদের গহনা দেখানোর কথা বলে ও কৌশলে ব্যস্ত রাখে পাঁচজন নারী। পরে সুযোগ বুঝে শতাধিক ভরির একটি স্বর্ণের বাক্স নিয়ে তারা পালিয়ে যায় দাবি করেছেন দোকানিমালিক। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। আজ বুধবার দুপুরে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান।
দোকানমালিক অভিযোগ করেন, দুপুর সাড়ে ১২টার পর দু’জন এবং কিছুক্ষণ পর আরও তিনজন নারী লক্ষ্মী জুয়েলার্স নামের একটি জুয়েলারির দোকানে ঢোকে। সেখানে গহনা দেখার নামে তারা সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। তারা কয়েকবার গহনা ওয়াশের জন্য কর্মচারীদের বাইরে পাঠায়। একপর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে এক কর্মচারীকে গহনা ওয়াশের জন্য বাইরে পাঠিয়ে। আর অন্য কর্মচারীকে ব্যস্ত রাখে গহনা দেখানোতে। এর একপর্যায়ে ক্যাশের পাশে থাকা স্বর্ণের একটি বক্সটি নিয়ে বের হয়ে যায় তাদের একজন। পরে বাকিরাও চলে যায়। বিকেল ৩টার দিকে বিষয়টি টের পান দোকানমালিক। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে চুরির ঘটনাটি বুঝতে পারেন তিনি।
লক্ষ্মী জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী অনিন্দ বসাক বলেন, একদল নারী দোকানের কর্মচারীদের ব্যস্ত রেখে স্বর্ণের বক্সটি নিয়ে যায়। যেখানে শতাধিক ভরি স্বর্ণ ছিল, যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ পাঠানো হয় সেখানে। একজন অফিসার বিষয়টি দেখছেন। নগরীর অন্যান্য সিসি ক্যামেরা চেক করে স্বর্ণ চোরদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে কতটুকু স্বর্ণ চুরি হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স বর ণ চ র র অভ য গ স বর ণ চ র র একট ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
নারীরা তাদের স্বামীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারেন, সম্পর্কের বির্বতন নিয়ে অনুপম
১৯৮৪ সালে মহেশ ভাটের ‘সারাংশ’ সিনেমা দিয়ে রুপালি জগতে পদচারণা শুরু বলিউড অভিনেতা অনুপম খেরের। তারপর কেটে গেছে চার দশক। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে সাড়ে ৫০০ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হননি, হিন্দি সিনেমার এমন দর্শক খুব কমই আছেন। ৬৯ বছর বয়সি অনুপমের যশ-খ্যাতিও কম নেই।
অভিনয় ক্যারিয়ারের বাইরে অন্য সবার মতো তারও ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। তার প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদের জার্নি নেহায়াত ছোট নয়। ইন্ডিয়া টুডেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অনুপম। এ আলাপচারিতায় বিশ্বব্যাপী সম্পর্কের বিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
অনুপম খের বলেন, “সবখানে অদ্ভুত মানুষ রয়েছে। এই সমস্যা কেবল ভারতে নয়, এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও অদ্ভুত ঘটনা রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
কাদা ছোড়াছুড়ির পর ‘হেরা ফেরি থ্রি’ সিনেমায় ফিরছেন পরেশ
নতুন রূপে বক্স অফিসে কতটা সাড়া ফেললেন কাজল?
পর্যবেক্ষণের আলোকে অন্ধকার বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতেও দ্বিধা করেননি অনুপম খের। এ অভিনেতা বলেন, “আপনি কি কল্পনা করতে পারেন, আজকাল নারীরাও তাদের স্বামীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে! আমি এটিকে অতিরঞ্জিত করতে চাই না। কিন্তু এটা ভীতিকর। পরিস্থিতি এত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে যে, মাঝে মাঝে এটি বোঝা কঠিন।”
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেম কী সাহচর্যে রূপান্তরিত হয়? এ প্রশ্নের জবাবে অনুপম খের বলেন, “উভয় ব্যক্তি যদি সক্ষম হন এবং পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন, তাহলে সহানুভূতি দেখানো কি দোষের! অথবা গভীর আসক্তি কেন নয়?”
হলিউডের আইকনিক অভিনেতা আল পাচিনোর উদাহরণ টেনে অনুপম খের বলেন, “মিস্টার আল পাচিনো ৮২ বছর বয়সে সন্তানের বাবা হয়েছেন। আর এই সন্তানের মা কম বয়সি একজন নারী। এখানে আবেগ থাকতে পারে। আবেগে সম্ভব। আপনার বয়স যাই হোক না কেন, যদি আপনি একজন পুরুষকে আকর্ষণীয় মনে করেন, তাহলে কি এতে আবেগের উপাদান থাকবে না? অবশ্যই, থাকবে।”
সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক তুলে ধরে অনুপম খের বলেন, “প্রশংসা করা এবং আকাঙ্ক্ষা করার মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা সকলেই প্রশংসিত হতে চাই, আবার আকাঙ্ক্ষিতও হতে চাই। সমস্যা হলো, কখনো কখনো মানুষ কেবল আপনার প্রশংসাই করেন। কিন্তু আপনাকে চান না।”
১৯৫৫ সালের ৭ মার্চ সিমলায় জন্মগ্রহণ করেন অনুপম খের। তার বাবা পুশকর নাথ খের ছিলেন বন বিভাগের ক্লার্ক। তার মা দুলারি খের ছিলেন গৃহিণী। ১৯৭৮ সালে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেন।
১৯৭৯ সালে অভিনেত্রী মধুমালতিকে বিয়ে করেন অনুপম খের। বিয়ের কয়েক বছর পরই আলাদা হয়ে যান তারা। এ সংসারে তাদের কোনো সন্তান নেই। ১৯৮৫ সালে অভিনেত্রী কিরণ খেরকে বিয়ে করেন অনুপম। এ সংসারেও তাদের কোনো সন্তান নেই।
অনুপম খের অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ‘তেজাব’, ‘চালবাজ’, ‘বিজয়’, ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘ড্যাডি’, ‘দিল’, ‘সওদাগর’, ‘খেল’ প্রভৃতি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন ‘পদ্মশ্রী’, ‘পদ্মভূষণ’সহ অসংখ্য পুরস্কার।
ঢাকা/শান্ত