Samakal:
2025-11-03@02:04:08 GMT

হাসপাতালে হামলা, লাশের স্তূপ

Published: 15th, May 2025 GMT

হাসপাতালে হামলা, লাশের স্তূপ

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টার মধ্যেই ইসরায়েল হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে অন্তত ৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খান ইউনুসের ইউরোপীয় হাসপাতালের গাড়ি পার্কিংয়ে বোমা হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

হামলার তীব্রতার কারণে কিছু মৃতদেহ হাসপাতাল এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। গত মঙ্গলবার রাতে উত্তর গাজার হাসপাতালেও ভারী বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পূর্ণ শক্তি নিয়ে গাজায় সেনা প্রবেশের ঘোষণা দেওয়ার পরই এসব হামলা চালানো হচ্ছে। দখলদার বাহিনীর দাবি, হাসপাতালে হামলার লক্ষ্য হামাসপ্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যা করা। হামাস জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর হত্যাযজ্ঞ গাজায় ইসরায়েলের পতন ডেকে আনবে। 

বিবিসি জানায়, রাতের হামলায় উত্তর জাবালিয়া এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতের হামলায় উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত হন। জাবালিয়া শহর এবং শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে ২২ শিশু ও ১৫ নারী রয়েছেন। অনলাইনে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে মেঝেতে কমপক্ষে এক ডজন মৃতদেহ দেখা গেছে।  

এদিকে গাজায় মার্কিন-ইসরায়েল বিতর্কিত মানবিক সহায়তা পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ। এর পরিবর্তে ইসরায়েলকে গাজার ওপর থেকে দুই মাসের অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো। যুক্তরাজ্যের জাতিসংঘ দূত বারবারা উডওয়ার্ড ইসরায়েলকে অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ সহায়তা পুনরায় প্রবেশে জাতিসংঘকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং মানবিক সহায়তা নিয়ে বলেন, মানবিক সহায়তাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা জঘন্য মানসিকতার পরিচয়। 

সৌদি আরব সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজায় সংঘাত বন্ধ করার জন্য কাজ করছেন। সব পক্ষের বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু নেতানিয়াহু বলেছেন, এমন অবস্থা তৈরি করা হবে, যাতে যুদ্ধ করার মতো পরিস্থিতি গাজায় আর না থাকে। 

ত্রাণ সহায়তা প্রকল্পের আড়ালে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে এমন তথ্য উঠে এসেছে আলজাজিরার প্রতিবেদনে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি ঘটনায় জানা যায়, ওই সময় গাজায় ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র মিলে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে। এর আগে এক মাস ধরে মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা হয়। পরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত ঠিকাদারের মাধ্যমে আটা সরবরাহের ব্যবস্থা করে এবং জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত মানুষের বুকে গুলি চালানো হয়। ট্যাঙ্কগুলো আহতদের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয়। এতে অন্তত ১১০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ওই ঘটনাটি ‘ময়দার গণহত্যা’ হিসেবে পরিচিতি পায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫২  হাজার ৯০৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন আহত হয়েছেন। এদিকে কাতারের দোহায় যে আলোচনা শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। কাতারের মধ্যস্থতায় এই আলোচনায় ইসরায়েল ও  হামাসের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছে মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এতে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন  ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তিনি যুদ্ধ অবসানের আলোচনায় অগ্রগতির প্রত্যাশা করেছেন।  

অন্যদিকে, গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ট্রাম্পের উপস্থিতিতে জিসিসি নেতাদের বৈঠকে তিনি বলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি ‘নতুন দিগন্ত উন্মোচন’ হবে। 

গাজার জাতিসংঘ সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরায়েলি অবরোধ অব্যাহত থাকায় উপত্যকায় পানি সরবরাহ কমে যাচ্ছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য় ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলের এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টির চেসোঙ্গোচে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাতারাতি ভূমিধস ঘটেছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে পাহাড়ধস: কারণ ও করণীয়

বহু জাতি-সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি না: সন্তু লারমা

শনিবার (১ নভেম্বর) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রসচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতি বলেন, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২৫ জনকে এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টি থেকে চিকিৎসার জন্য এলডোরেট শহরে বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। এ কাজে সামরিক ও পুলিশের হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা রয়েছে।

কেনিয়ার রেড ক্রস পাহাড়ি এলাকা চেসোঙ্গোচের আকাশ থেকে তোলা ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ব্যাপক কাদা ধস ও আকস্মিক বন্যা ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা সমন্বয় করছে, যার মধ্যে আহতদের বিমানযোগে স্থানান্তরও রয়েছে।

রেড ক্রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতি বলেছে, বন্যা ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো খুবই কঠিন।

চেসোঙ্গোচের পাহাড়ি এলাকা আগেও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিল। ২০১০ ও ২০১২ সালে কয়েক ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০২০ সালে প্রচণ্ড বন্যায় একটি শপিং সেন্টার ভেসে গিয়েছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০