কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় ও রাজগঞ্জ বাজারে মৌসুমী ফলের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও জেলা প্রশাসন।
আজ বুধবার (১৪ মে) পরিচালিত এই যৌথ অভিযানে বিভিন্ন মৌসুমী ফলে ক্ষতিকর কেমিকেল আছে কি-না তা পরীক্ষা করা হয়। তবে কোনো ফলে ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
বিএসটিআই কুমিল্লা জেলা অফিস সূত্র জানায়, অভিযানে আম, লিচু, মাল্টা, আঙুর ও আপেলসহ মৌসুমী ফলের তাৎক্ষণিক রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়। ফলগুলোতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো কেমিকেল শনাক্ত হয়নি।
আরো পড়ুন:
শক্ত অবস্থানে বিএসটিআই
আমদানি করা অর্ধেক কসমেটিকস পণ্যই ভেজাল ও মানহীন
মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্যপণ্য নিলামে বিক্রির অভিযোগ
একই সময় খাদ্যপণ্যের মোড়কে অনুমোদনহীনভাবে মানচিহ্ন (স্ট্যান্ডার্ড মার্ক) ব্যবহার এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে মেসার্স বিক্রমপুর শশী ভান্ডার, দেশওয়ালী পট্টি, কুমিল্লাকে ২৫ হাজার টাকা, মেসার্স নিউ প্রিমিয়াম সুইটস, রাজগঞ্জ বাজারকে ১০ হাজার টাকা এবং বিক্রমপুর ঘি স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন আক্তার শিফা, সালমান ফারসি এবং সহকারী কমিশনার মো.
এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন আক্তার বলেন, জনস্বার্থে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ উপাচার্যের তিনজনেরই অনাকাঙ্ক্ষিত বিদায়
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগ হয় চার বছর মেয়াদের জন্য। সে হিসাবে ১৪ বছর বয়সী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) এ পর্যন্ত চারজন ভিসির দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু ববিতে মঙ্গলবার রাতে ষষ্ঠ ভিসি নিযুক্ত হয়েছেন। আগের পাঁচজনের তিনজনকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বিদায় নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সবার অগোচরে ক্যাম্পাস ছাড়তে হয় তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, তিন ভিসির অনাকাঙ্ক্ষিত বিদায়ের মূল কারণ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি ও তাদের বিশেষ সুযোগ প্রদান। এ ক্ষেত্রে বঞ্চিতরা সুযোগ খুঁজতে থাকেন। তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন উস্কে দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মেয়াদ শেষ করতে না পারা ভিসিরা হলেন– আট মাস দায়িত্ব পালনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শুচিতা শারমিন, ১০ মাস দায়িত্বে থাকা ঢাবির অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং মেয়াদের শেষের দিকে থাকা দ্বিতীয় ভিসি ড. এস এম ইমামুল হক।
জানা গেছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করতে ইমামুল হক দুঃখ প্রকাশ এবং বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ক্ষমা প্রার্থনা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে অব্যাহতি পাওয়া ভিসি শুচিতা শারমিন বিদায়ের আগের দিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ইমামুল হকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বরিশালের রাজনীতিতে প্রভাবশালী বঙ্গবন্ধুর ভাগনে পরিবারের ইন্ধন ছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে। বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হন। ড. শুচিতার সঙ্গে প্রো-ভিসি ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ মামুন অর রশিদের বিরোধ আন্দোলনের সূত্রপাতের অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে। ভিসির সঙ্গে তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চার বছরের পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা দু’জন হলেন– প্রথম ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ এবং চতুর্থ ভিসি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দীন বলেন, যখন ভিসি স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেন, সবাইকে দিয়ে নয়, কোনো একটা গোষ্ঠীকে নিয়ে চলতে থাকেন– তখনই সমস্যা হয়।
এদিকে নবনিযুক্ত উপাচার্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম আজ যোগদান করবেন। তিনি সমকালকে বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সুষ্ঠুভাবে পালনে সচেষ্ট থাকব। আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব।