জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের সংশোধিত রুটিন প্রকাশ
Published: 14th, May 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। পরিবর্তিত সূচি অনুসারে আগামী ৮ ও ১৩ জুলাইয়ের পরীক্ষা দুটি অপরিবর্তিত থাকলেও অন্য পরীক্ষাগুলোর তারিখ বদলে গেছে। নতুন সূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা শেষ হবে ১২ আগস্ট। পরীক্ষা প্রতিদিন বেলা দুইটায় পরীক্ষা শুরু হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী শেষ হবে পরীক্ষা।
আজ বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ পরীক্ষার এ সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষার প্রথম দিনে (৮ জুলাই) বিএ, বিএসএস, বিবিএ, বিএসসিতে ভিন্ন ভিন্ন ৩১টি কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ১৩ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে যেকোনো সময়ই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবেন। সময়সূচি অনুযায়ী সব তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্রের ট্রাংক উত্তোলন বা গ্রহণ করা যাবে না।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি যথাসময়ে জানানো হবে। পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ কলেজে যোগাযোগ করে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় জেনে নিতে হবে।
পরীক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য ও নির্দেশনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট– এ পাওয়া যাবে। পরীক্ষাসংক্রান্ত জরুরি তথ্যের জন্য পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লিখিত ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য বলা হয়েছে।
*অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার রুটিন দেখুন এখানে
আরও পড়ুনকম খরচ এবং সহজে ভিসার কারণে উচ্চশিক্ষায় বেছে নিতে পারেন এই ৫ দেশ০৮ মে ২০২৫আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সিমন্স ডিসটিংগুইশড স্কলার অ্যাওয়ার্ড, জিপিএ ৩.৩ হলে আবেদন০৬ মে ২০২৫
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২২ মে থেকে বাজারে আসছে নওগাঁর আম
নওগাঁয় জাতভেদে গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আম সংগ্রহের সময়সূচি নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল এই সময়সূচি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ২২ মে থেকে গুটি আম বাজারজাত করা যাবে। এরপর পর্যায়ক্রমে উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোপালভোগ ৩০ মে, হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ২ জুন থেকে থেকে পাড়া যাবে। এছাড়াও নাক ফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া-হাড়িভাঙা ১০ জুন, আম্রপালি ১৮ জুন, ফজলি ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো ২৫ জুন থেকে পাড়তে পারবেন চাষিরা। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে আশ্বিনা, বারি-৪ ও গৌড়মতি।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, সারাদেশে নওগাঁর আমের বিশেষ সুনাম রয়েছে। ইতিমধ্যে এ জেলার নাক ফজলি আম জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। সারাদেশে নওগাঁর আম্রপালির বিশেষ চাহিদা রয়েছে। আম অপরিপক্ব অবস্থায় কেউ যেন বাজারজাত করতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে। তবে কোনো আম নির্ধারিত তারিখের আগে পরিপক্ব হলে স্থানীয় কৃষি অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ছাড়পত্র নিয়ে বাজারজাত করতে পারবে। এর আগে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
সভায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। যা থেকে ৩ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আম বেচা-কেনার আশা করা হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা।
সভায় বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, কৃষি কর্মকর্তা ও আম চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।