ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার নিহত হন। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।

বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান কাজই হলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মানুষ রাষ্ট্রকে এ জন্যই কর দেন। কিন্তু বাংলাদেশের ভাগ্যাহত মানুষের নিরাপত্তা কোনো কালেই নিশ্চিত হয়নি। পতিত ফ্যাসিবাদের আমলের কথা বাদ দিলেও অভ্যুত্থান–পরবর্তী সরকারের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।

পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে প্রতিদিন গড়ে নয়জন মানুষ খুন হয়েছেন। পরের মাসগুলোর পরিসংখ্যানও একই রকম হবে। একটি স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ দেশে এভাবে মানুষ খুন হওয়া মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুনশাহরিয়ার ও তাঁর দুই বন্ধুর ওপর হামলা চালায় ১০–১২ জনের একটি দল৩ ঘণ্টা আগে

ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘ঢাকার কেন্দ্রে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও এখন নিরাপদ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলমে ঘটনা আমাদের ব্যথিত ও বিস্মিত করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত দৃশ্যমান উন্নতি করতে হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান, পরে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ

জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ না পাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে তাঁরা যমুনার বিপরীত পাশে রমনা পার্কের অরুণোদয় গেটের সামনে অবস্থান নেন। বিকেলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আন্দোলনকারীরা ঘোষণাপত্রের দাবিতে রমনা পার্কের পাশে অবস্থান নেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আর কোনো টালবাহানা চলবে না বলে উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীরা। বলেন, তাঁরা শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করেছিলেন, তখন বলা হয়েছিল ঘোষণা দেওয়া হবে। সর্বশেষ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি।

এ বিষয়ে রাত আটটার দিকে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার কাছে কিছু ব্যক্তি বেআইনি সমাবেশের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের সরিয়ে দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উল্লেখ্য, জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে, যা এখনো বলবৎ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি আসামিদের
  • নতুন ঘটনা নেই, নজরদারিতে শিথিলতা 
  • নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ
  • জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান, পরে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
  • ‘এটা জাস্ট একটা ভুল’, উপদেষ্টা আসিফের ম্যাগাজিন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলাম’
  • আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • সোহাগ পাটোয়ারী নামে আরও ১ জনকে গ্রেপ্তার করল দুদক
  • সোহাগ পাটোয়ারী নামে আরও ১ প্রতারককে গ্রেপ্তার করল দুদক
  • দেশের নারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে: মহিলা পরিষদের বিবৃতি