ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি ইসলামী আন্দোলনের
Published: 14th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার নিহত হন। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান কাজই হলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মানুষ রাষ্ট্রকে এ জন্যই কর দেন। কিন্তু বাংলাদেশের ভাগ্যাহত মানুষের নিরাপত্তা কোনো কালেই নিশ্চিত হয়নি। পতিত ফ্যাসিবাদের আমলের কথা বাদ দিলেও অভ্যুত্থান–পরবর্তী সরকারের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।
পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে প্রতিদিন গড়ে নয়জন মানুষ খুন হয়েছেন। পরের মাসগুলোর পরিসংখ্যানও একই রকম হবে। একটি স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ দেশে এভাবে মানুষ খুন হওয়া মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুনশাহরিয়ার ও তাঁর দুই বন্ধুর ওপর হামলা চালায় ১০–১২ জনের একটি দল৩ ঘণ্টা আগেইউনুস আহমেদ বলেন, ‘ঢাকার কেন্দ্রে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও এখন নিরাপদ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলমে ঘটনা আমাদের ব্যথিত ও বিস্মিত করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত দৃশ্যমান উন্নতি করতে হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ নম্বর
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা প্রাপ্তির জন্য আপডেটেড নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আপডেটেড নম্বরসমূহে যোগাযোগ করুন:
১। গাজীপুর, কোনাবাড়ী, পূবাইল, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গি, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, কাশিমপুর, শ্রীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও এবং গজারিয়া।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯০৯৫২৫০, ০১৭৬৯০৯১০২০
২। ডেমরা, ওয়ারী, রমনা, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, শাহজাহানপুর, কোতোয়ালী, বংশাল, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর এবং কদমতলী।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৯২৪২৮, ০১৭৬৯০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯০৯১০২০
৩। সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, হেমায়েতপুর, বাইপাইল, দোহার, গাজীপুর, মৌচাক এবং মানিকগঞ্জ।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৯৫২০৯, ০১৭৬৯০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯০৯৫২৫০, ০১৭৬৯০৯১০২০
৪। ফরিদপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৯৩৫০৯, ০১৭৬৯০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯০৯৫২৫০, ০১৭৬৯০৯১০২০
৫। বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, দক্ষিন খান, উত্তরখান, উত্তরা পূর্ব।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০২৫৭৬৬, ০১৭৬৯০২৫৭৬৯, ০১৭৬৯০২৫৮৬৫, ০১৭৬৯০২৫৭৬৭
৬। মিরপুর মডেল থানা, মিরপুর-২, ৬, ৭, ১০, দুয়ারীপাড়া, রুপনগর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মনিপুর।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৫০৭১০, ০১৭৬৯০৫০৬৯৩, ০১৭৬৯০৫০৬৯৫, ০১৭৬৯০৫০৬৯৬
৭। উত্তরা তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানা।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৮২৮৩৬, ০১৩১৮৩৭১৫৫৪, ০১৩১৮৩৭১৫৫৫
৮। দারুসসালাম থানা এবং শাহআলী থানা।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৩৩৭০০, ০১৭৬৯০৩৩৭০২, ০১৭৬৯০৩৩৭০৪
৯। গুলশান, বনানী, ভাটারা এবং বাড্ডা থানা।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৫০২৮৩, ০১৭৬৯০১১৫৫৯
১০। খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৫৩১৪৪
১১। রামপুরা, সবুজবাগ এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৫৩১৬৮
১২। ক্যান্টনমেন্ট, কাফরুল, ভাসানটেক।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০৫১৮২৫, ০১৭৬৯০১৯০৭৩, ০১৭৬৯০১৩২৩৬
১৩। হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান এবং নিউমার্কেট থানা।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৮৯৭৯১৪৮৬২, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৩, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৪, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৫, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯
১৪। শের-ই-বাংলা নগর, আদাবর এবং মোহাম্মদপুর থানা।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৮১৫৭৯৫৯৫১, ০১৭৬৯০৫৯৮৮৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯
১৫। তেজগাঁও থানা।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০১৯৪০৯, ০১৭৬৯০১৯৪১৫, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯
১৬। লালবাগ, চকবাজার এবং কামরাঙ্গীরচর থানা।
যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৬৯০১৩৪৩৯, ০১৬১৯৮৩২০৬৯, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।