গত ফেব্রুয়ারি–মার্চে অনুষ্ঠিত ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’ উপলক্ষে প্রথম আলো ডটকম ও টাইম জোনের উদ্যোগে আয়োজিত হয় ‘ক্রিডেন্স ক্রিকেট জিনিয়াস’। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়া আটটি দল থেকে উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় পাঁচজন ক্রিকেটারের উত্থান এবং ক্রিকেটীয়–জীবনের জানা-অজানা চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে নির্মিত হয় পাঁচটি ভিডিও। যেগুলো প্রচারিত হয় credencecricketgenius.

com ওয়েবসাইট, প্রথম আলো ডটকম, প্রথম আলো এবং টাইম জোনের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে। পর্বগুলোর সঞ্চালনায় ছিলেন ক্রিকেটার হাবিবুল বাশার সুমন। আয়োজনটিতে পাঠক–দর্শকদের জন্য প্রতি পর্বের ওপর ছিল পাঁচটি করে কুইজ।

আজ বুধবার (১৪ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাঁচ পর্বের ভাগ্যবান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের হেড অব অপারেশন হাবিবুল বাশার সুমন, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র এবং কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং রিফাত আহমেদ ও ওয়াচ ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দা মরিয়ম বিনতে ফারুক টিনা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শামছুন নাহার বীথি এবং প্রথম আলোর ডিজিটাল মার্কেটিং লিড মেহবুব জাবেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক রুহুল আমিন রনি, উপব্যবস্থাপক ভক্ত সাগর উর্মি নিতু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সিনিয়র কনটেন্ট ম্যানেজার খায়রুল বাবুই।

কুইজের সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে স্কোরের ভিত্তিতে প্রতি পর্বে মেগা বিজয়ীসহ ৬ জন করে মোট ৩০ জন নির্বাচিত হন। মেগা বিজয়ী পাঁচজনের প্রত্যেককে দেওয়া হয় টাইম জোনের পক্ষ থেকে ক্রিডেন্সের আকর্ষণীয় হাতঘড়ি আর বাকি বিজয়ীরা পান বিশেষ গিফট ভাউচার।

ভিডিওগুলো উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা এবং বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এ ধরনের কনটেন্ট উপস্থাপনা করেছি। আনন্দ লেগেছে। পর্বগুলো এত মানুষ দেখেছে জেনে আমি সত্যিই মুগ্ধ। প্রথম আলো ও কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজকে ধন্যবাদ এত সুন্দর আয়োজনের জন্য।’

পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘প্রথম আলোর শক্তি পাঠকেরা। আমাদের কোনো আয়োজনে যখন পাঠকের সম্পৃক্ততা থাকে, সেটি দারুণ কিছুতে রূপান্তরিত হয়। বিজয়ীদের ধন্যবাদ, আপনারা আছেন বলেই আমরা সাহস নিয়ে সত্য কথাটা লিখতে পারি। টাইম জোনকে ধন্যবাদ এত সুন্দর আয়োজনে আমাদের সঙ্গী হওয়ার জন্য।’

কুইজে অংশ নেওয়া সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উৎপল শুভ্র বলেন, ‘খেলাধুলাবিষয়ক কোনো কুইজ আয়োজন দেখলেই আমি নস্টালজিক হয়ে যাই। কারণ, একসময় প্রথম আলোতে নিয়মিত কুইজ আয়োজন হতো, যেখানে সারা দেশের অসংখ্য পাঠক অংশ নিতেন। আজকের এ আয়োজনে এত বিজয়ীকে দেখে আমি আনন্দিত।’

কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং রিফাত আহমেদ বলেন, ‘এ আয়োজনে দর্শক–গ্রাহকদের বিপুল সাড়ায় আমরা অভিভূত। এটি আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। বিশেষ করে হাবিবুল বাশার সুমনের মতো ব্যক্তিত্বের সম্পৃক্ততা আয়োজনটিকে সমৃদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের আয়োজন করতে চাই।’

কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের ওয়াচ ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দা মরিয়ম বিনতে ফারুক টিনা বলেন, ‘দুই যুগ ধরে টাইম জোন সেরা সেবাটি দিয়ে আসছে। আমাদের অনেকগুলো পণ্যর মধ্যে ক্রিডেন্স অন্যতম। বিজয়ীদের অভিনন্দন।’

মেগা পুরস্কার হাতঘড়ি জয়ী পাঁচজন হলেন ঢাকার মো. মাজেদুর রহমান শুভ, অনিক আহমেদ ও নিয়াজ ইসলাম আরিফ, গাজীপুরের মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং মাদারীপুরের মাইনুল হাসান।

গিফট ভাউচার জয়ীরা হলেন ঢাকার রণিত রায়হান রাহী, শাহরিয়ার রিফাত, কামরুল হাসান, শাহ্ মো. আবদুল বারী, মো. তুলিপ হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, হামিদুর রহিম, ফিরোজ আহমেদ, মো. আবদুল বাসেত, মুহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান, আসিফ মুবাশ্বির রাফি, এস এম সায়েম, হামীম খান, ফারজানা শরীফ, তারিকুল ইসলাম, নূর, অনিন্দ্য, মো. ফরহাদ হোসেন, তাসিন রিশাদ, শাহাদাত হোসেইন, মো. আনিসুল ইসলাম অনিক, মাগুরার মো. মাহমুদ কলি রুবেল, মানিকগঞ্জের ফাতেমা আক্তার লুবনা ও চট্টগ্রামের মহিমা।

উল্লেখ্য, যে পাঁচ ক্রিকেটারের ওপর ভিডিও নির্মিত হয়েছিল, তাঁরা হলেন ভারতের শুবমান গিল, নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র, আফগানিস্তানের নাভিন-উল-হক, ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক এবং বাংলাদেশের নাহিদ রানা। পর্বগুলোর প্রযোজনায় ছিলেন সাইফুল করিম শুভ। পাঁচ পর্বের কুইজে অংশ নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার দর্শক। পাঁচ পর্বের মোট ভিউ হয়েছে ৩০ লাখের বেশি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ব ব ল ব শ র স মন প রথম আল র প রস ক র ব জয় দ র আম দ র পর ব র ইসল ম আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

আমি চাইনা বিএনপির কোন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করুক : সাখাওয়াত 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে। তার জন্য আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। আর বিএনপির কোনো নেতাকর্মীরা দ্বারা  জনগণ কষ্ট পায় এমন কিছু করা যাবে না।

 আমাদের ভুলের কারণে যদি আগামী নির্বাচনে দল ক্ষমতা না আসে তাহলে কিন্তু আমাদেরকে সেই একই ভাবে আবারও হামলা মামলা, জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হবে। আমরা চাই বিএনপি নেতাকর্মীদের গুণগত পরিবর্তন। 

গত দশ মাসে অনেকে অনেক কিছু করেছেন তার জন্য দলের অনেক বদনাম হয়েছে। সে সকল নেতাকর্মীদেরকে বলে দেবো আজ থেকে শেষ দিন এরপরে আর কোন দলের বদনাম হয় এমন কিছু করা যাবে না। আপনাদের সবাইকে আগে দেশ ও দলের স্বার্থ দেখতে হবে। 

কারণ আমাদের নেতা তারেক রহমান কিন্তু এখনো আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। তিনি দিনরাত দেশ ও দেশের জনগণের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উনি যে কষ্ট করে আমাদের জন্য যদি নিজেদের কিছু ভুলের কারণে সেগুলোকে নষ্ট করে ফেলি তাহলে উনার কষ্টের কি মূল্য রইল। 

একটি কত পরিষ্কার করে বলতে চাই আমি চাইনা বিএনপির কোন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করুক। যদি বিএনপি'র কোন থেকে নেতা গ্রেপ্তার হয় তাহলে সর্বপ্রথম কষ্ট পাবো আমি। যদি বিএনপির কোন থেকে নেতা অন্যায় করে তা হলো আমি সেটাও কষ্ট পাবো। সুতরাং আমরা এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আগামী দিনে পথ চলব। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল শহরের পাইপাড়া জয়গোবিন্দ স্কুল মাঠে ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, গত ১৭টি বছর এই ১৭নং ওয়ার্ডের কি অবস্থা ছিল তা আপনারা জানেন অনেকেই কিন্তু আমাদের কাছে বিচার দিয়েছেন। বিচার দিয়েছেন যে বাবুর লোকজন এই করেছে সেই করেছে হামলা করেছে মামলা দিয়েছে, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছে নির্যাতন করেছে।

যদি আমরা তার মত আচরণ করি তাহলে কি হবে। আমরা চাই আমাদের ভুলের কারণে নারায়ণগঞ্জ মানুষের শত্রু হলো সন্ত্রাসী শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান, আব্দুল করিম বাবুসহ যারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল ।

তারা জনগণের উপর অন্যায় অত্যাচার করেছে। আমরা যদি তাদের মতন করি তাহলে তাদেরকে যেমন মানুষ ঘৃণা করে আমাদেরকে ঠিক একই ভাবে কিনা করবে। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম যারা বিএনপির নেতাকর্ম ও বিএনপিকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে তাদেরকে সদস্য করতে হবে। সরকারি বেসরকারি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রয়েছে তারা যদি সদস্য হতে চায় তাহলে তাদেরকে সদস্য ফরম দিতে হবে।

আর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদেরকেও সদস্য করতে হবে। নিজের মধ্যে গ্রুপিং থাকতে পারে কিন্তু দলের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গ্রুপিং করে দলের কোনো ত্যাগী নেতাকর্মীরা যেনো বাদ না পড়ে।

কারন আমরা দল করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সুতরাং আমাদেরকে দলীয় সিদ্ধান্তকে মানতে হবে। 

মহানগর ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউল হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক এড. কাজী রুবায়েত হোসেন সায়েম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিত মোস্তাকিন শিপলু, বিএনপি, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ প্রধান, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান রাব্বি, প্রচার সম্পাদক লিয়াকত আলী লিটন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. স্বপন প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ