ক্রিডেন্স ক্রিকেট জিনিয়াস: কুইজ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার হস্তান্তর
Published: 14th, May 2025 GMT
গত ফেব্রুয়ারি–মার্চে অনুষ্ঠিত ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’ উপলক্ষে প্রথম আলো ডটকম ও টাইম জোনের উদ্যোগে আয়োজিত হয় ‘ক্রিডেন্স ক্রিকেট জিনিয়াস’। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়া আটটি দল থেকে উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় পাঁচজন ক্রিকেটারের উত্থান এবং ক্রিকেটীয়–জীবনের জানা-অজানা চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে নির্মিত হয় পাঁচটি ভিডিও। যেগুলো প্রচারিত হয় credencecricketgenius.
আজ বুধবার (১৪ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাঁচ পর্বের ভাগ্যবান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের হেড অব অপারেশন হাবিবুল বাশার সুমন, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র এবং কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং রিফাত আহমেদ ও ওয়াচ ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দা মরিয়ম বিনতে ফারুক টিনা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শামছুন নাহার বীথি এবং প্রথম আলোর ডিজিটাল মার্কেটিং লিড মেহবুব জাবেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক রুহুল আমিন রনি, উপব্যবস্থাপক ভক্ত সাগর উর্মি নিতু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সিনিয়র কনটেন্ট ম্যানেজার খায়রুল বাবুই।
কুইজের সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে স্কোরের ভিত্তিতে প্রতি পর্বে মেগা বিজয়ীসহ ৬ জন করে মোট ৩০ জন নির্বাচিত হন। মেগা বিজয়ী পাঁচজনের প্রত্যেককে দেওয়া হয় টাইম জোনের পক্ষ থেকে ক্রিডেন্সের আকর্ষণীয় হাতঘড়ি আর বাকি বিজয়ীরা পান বিশেষ গিফট ভাউচার।
ভিডিওগুলো উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা এবং বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এ ধরনের কনটেন্ট উপস্থাপনা করেছি। আনন্দ লেগেছে। পর্বগুলো এত মানুষ দেখেছে জেনে আমি সত্যিই মুগ্ধ। প্রথম আলো ও কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজকে ধন্যবাদ এত সুন্দর আয়োজনের জন্য।’
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘প্রথম আলোর শক্তি পাঠকেরা। আমাদের কোনো আয়োজনে যখন পাঠকের সম্পৃক্ততা থাকে, সেটি দারুণ কিছুতে রূপান্তরিত হয়। বিজয়ীদের ধন্যবাদ, আপনারা আছেন বলেই আমরা সাহস নিয়ে সত্য কথাটা লিখতে পারি। টাইম জোনকে ধন্যবাদ এত সুন্দর আয়োজনে আমাদের সঙ্গী হওয়ার জন্য।’
কুইজে অংশ নেওয়া সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উৎপল শুভ্র বলেন, ‘খেলাধুলাবিষয়ক কোনো কুইজ আয়োজন দেখলেই আমি নস্টালজিক হয়ে যাই। কারণ, একসময় প্রথম আলোতে নিয়মিত কুইজ আয়োজন হতো, যেখানে সারা দেশের অসংখ্য পাঠক অংশ নিতেন। আজকের এ আয়োজনে এত বিজয়ীকে দেখে আমি আনন্দিত।’
কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং রিফাত আহমেদ বলেন, ‘এ আয়োজনে দর্শক–গ্রাহকদের বিপুল সাড়ায় আমরা অভিভূত। এটি আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। বিশেষ করে হাবিবুল বাশার সুমনের মতো ব্যক্তিত্বের সম্পৃক্ততা আয়োজনটিকে সমৃদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের আয়োজন করতে চাই।’
কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের ওয়াচ ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দা মরিয়ম বিনতে ফারুক টিনা বলেন, ‘দুই যুগ ধরে টাইম জোন সেরা সেবাটি দিয়ে আসছে। আমাদের অনেকগুলো পণ্যর মধ্যে ক্রিডেন্স অন্যতম। বিজয়ীদের অভিনন্দন।’
মেগা পুরস্কার হাতঘড়ি জয়ী পাঁচজন হলেন ঢাকার মো. মাজেদুর রহমান শুভ, অনিক আহমেদ ও নিয়াজ ইসলাম আরিফ, গাজীপুরের মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং মাদারীপুরের মাইনুল হাসান।
গিফট ভাউচার জয়ীরা হলেন ঢাকার রণিত রায়হান রাহী, শাহরিয়ার রিফাত, কামরুল হাসান, শাহ্ মো. আবদুল বারী, মো. তুলিপ হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, হামিদুর রহিম, ফিরোজ আহমেদ, মো. আবদুল বাসেত, মুহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান, আসিফ মুবাশ্বির রাফি, এস এম সায়েম, হামীম খান, ফারজানা শরীফ, তারিকুল ইসলাম, নূর, অনিন্দ্য, মো. ফরহাদ হোসেন, তাসিন রিশাদ, শাহাদাত হোসেইন, মো. আনিসুল ইসলাম অনিক, মাগুরার মো. মাহমুদ কলি রুবেল, মানিকগঞ্জের ফাতেমা আক্তার লুবনা ও চট্টগ্রামের মহিমা।
উল্লেখ্য, যে পাঁচ ক্রিকেটারের ওপর ভিডিও নির্মিত হয়েছিল, তাঁরা হলেন ভারতের শুবমান গিল, নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র, আফগানিস্তানের নাভিন-উল-হক, ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক এবং বাংলাদেশের নাহিদ রানা। পর্বগুলোর প্রযোজনায় ছিলেন সাইফুল করিম শুভ। পাঁচ পর্বের কুইজে অংশ নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার দর্শক। পাঁচ পর্বের মোট ভিউ হয়েছে ৩০ লাখের বেশি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ব ব ল ব শ র স মন প রথম আল র প রস ক র ব জয় দ র আম দ র পর ব র ইসল ম আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ উপাচার্যের তিনজনেরই অনাকাঙ্ক্ষিত বিদায়
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগ হয় চার বছর মেয়াদের জন্য। সে হিসাবে ১৪ বছর বয়সী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) এ পর্যন্ত চারজন ভিসির দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু ববিতে মঙ্গলবার রাতে ষষ্ঠ ভিসি নিযুক্ত হয়েছেন। আগের পাঁচজনের তিনজনকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বিদায় নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সবার অগোচরে ক্যাম্পাস ছাড়তে হয় তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, তিন ভিসির অনাকাঙ্ক্ষিত বিদায়ের মূল কারণ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি ও তাদের বিশেষ সুযোগ প্রদান। এ ক্ষেত্রে বঞ্চিতরা সুযোগ খুঁজতে থাকেন। তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন উস্কে দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মেয়াদ শেষ করতে না পারা ভিসিরা হলেন– আট মাস দায়িত্ব পালনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শুচিতা শারমিন, ১০ মাস দায়িত্বে থাকা ঢাবির অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং মেয়াদের শেষের দিকে থাকা দ্বিতীয় ভিসি ড. এস এম ইমামুল হক।
জানা গেছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করতে ইমামুল হক দুঃখ প্রকাশ এবং বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ক্ষমা প্রার্থনা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে অব্যাহতি পাওয়া ভিসি শুচিতা শারমিন বিদায়ের আগের দিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ইমামুল হকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বরিশালের রাজনীতিতে প্রভাবশালী বঙ্গবন্ধুর ভাগনে পরিবারের ইন্ধন ছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে। বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হন। ড. শুচিতার সঙ্গে প্রো-ভিসি ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ মামুন অর রশিদের বিরোধ আন্দোলনের সূত্রপাতের অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে। ভিসির সঙ্গে তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চার বছরের পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা দু’জন হলেন– প্রথম ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ এবং চতুর্থ ভিসি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দীন বলেন, যখন ভিসি স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেন, সবাইকে দিয়ে নয়, কোনো একটা গোষ্ঠীকে নিয়ে চলতে থাকেন– তখনই সমস্যা হয়।
এদিকে নবনিযুক্ত উপাচার্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম আজ যোগদান করবেন। তিনি সমকালকে বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সুষ্ঠুভাবে পালনে সচেষ্ট থাকব। আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব।