দেশের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোনের ফোর-জি সেবায় ৪৫ মি‌নিট বিঘ্ন ঘটেছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার পর থেকে গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী গ্রাহকেরা অনেকেই নিজেদের ফোনে ফোর-জি নেটওয়ার্ক পাচ্ছিলেন না। পরে সোয়া পাঁচটার দিকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে আমাদের গ্রাহকরা কিছু সময়ের জন্য নেটওয়ার্ক সেবা পেতে দুর্ভোগে পড়েন। আমাদের কারিগরি দল ইতোমধ্যে দ্রুততার সঙ্গে সমস্যাটির সমাধান করেছে। সাময়িক এই বিঘ্নের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন টওয় র ক

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে পশু হাসপাতালে কম্পউন্ডারই চিকিৎসক

সোনারগাঁ উপজেলা পশু হাসপাতালের কম্পউন্ডার রাজিব চন্দ্র  দাস। যার দায়িত্ব হাসপাতালে ডিউটি করা এবং চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী অসুস্থ পশুকে ওষুধ প্রয়োগ করা। এ ছাড়া প্রাথমিক পরামর্শ দিতে পারবেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, উপজেলা পশু হাসপাতালের  কম্পাউন্ডার রাজিব চন্দ্র দাস তার যে দায়িত্ব তা সঠিক ভাবে পালন না করে টাকার বিনিময়ে পশুর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। হাসপাতালে অফিস চলাকালে কোন ধরণের টাকা নেয়ার নিয়ম না থাকলেও তিনি দীর্ঘদিন যাবত এ কাজ করে যাচ্ছেন।

যে কেউ পশু নিয়ে হাসপাতালে আসলেই তার কাছে ছুটে যান রাজিব চন্দ্র দাস। কন্টাক্ট করে শুরু করেন পশুর চিকিৎসা। অনেক ক্ষেত্রে ইনজেকশন না লাগলেও তিনি টাকা কামানোর ধান্ধায় পশুকে ইনজেকশন দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজেই সরকারী লগো সম্বলিত প্যাডে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। 

এ কাজ করতে গিয়ে  পাশ্ববর্তী উপজেলা মেঘনা নলচরের নিজামের ২টি গরু ও চালিভাংগার  এলাকার জিতুর ৩টি গরু তার অপচিকিৎসায়  মারা যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ।

অভিযোগ রয়েছে, পৌরসভা এলাকার রোকেয়া নামের একজনের ছাগল তার অপচিকিৎসা মারা যায়। তার জন্য তিনি ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, অফিসের বাহিরে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া তো দূরে থাক অফিসের বাহিরে যাওয়ারও তার নিয়ম নেই।

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তিনি যেখান থেকেই খবর পান সেখানেই চিকিৎসা দিতে ছুটে যান। বিনিময়ে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। এসবের পিছনে তার একমাত্র উদ্দেশ্য টাকা ইনকাম করা। 

এ ধরণের অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা কম্পাউন্ডার রাজিব চন্দ্রকে  শোকজ করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে তৎকালীন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ ইউসুফ হাবিব শোকজ দেওয়ার পরও তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করে এখনো বহালে।

অভিযোগে আরো রয়েছে, হাসপাতালে পশুর চিকিৎসা নিতে গিয়ে কম্পাউন্ডার রাজিব চন্দ্র দাসের অপচিকিৎসার শিকার হয়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলার জৈনপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহেদ আলী। তার কাছ থেকে চিকিৎসা দিয়ে ৩৫ হাজার টাকার ওষুধ দেন। তার পরও তার পশুর রোগ ভাল হয়নি। পশু দেখা বাবদ সাহেদ আলীর কাছ থেকে ১৫০০ টাকা ভিজিট নেওয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসা দিয়ে লোক বুঝে কারো থেকে ৫শ, কারো থেকে ৩শ, কারো থেকে ১ হাজার, কারো থেকে দেড় হাজার, দুই হাজার পর্যন্ত টাকা ভিজিট নেন কম্পাউন্ডার রাজিব চন্দ্র দাস।

এ ছাড়া প্রতিদিন তার অফিসে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে হাতিয়ে নেন বিপুল অংকের টাকা। টাকা দিলেই যে কোনো কোম্পানীর ওষুধ লিখেন তিনি। এ ধরণের অনিয়ম দূর্নীতিবাজ কম্পাউন্ডার রাজিব চন্দ্র দাসের বিচার চেয়েছে অনেক ভুক্তভোগী।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজিব চন্দ্র দাস বলেন, আমি প্যাড ব্যবহার করছি এ কথা সত্য তবে আমি কোথাও ডাক্তার উল্লেখ করিনি। ওষুধের টাকা নিয়েছি কোনো ভিজিট নেইনি। 

সোনারগাঁ উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোছাম্মদ নইফা বেগম বলেন, কমপাউন্ডার রাজিব চন্দ্র দাস প্রাথমিক পরামর্শ দিতে পারেন। সরকারী প্যাড ব্যবহার করে চিকিৎসা দেওয়া সম্পূর্ন বেআইনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ