নাটক, টেলিছবি থেকে শুরু করে ওয়েব কনটেন্টে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল তিশার ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এযাত্রায় তার সঙ্গে ছিলেন সংগীত ও অভিনয়শিল্পী প্রীতম হাসান। এই ফিল্ম অভিনয়ের জন্য ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিশা।

শুক্রবার একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গিয়ে তিশা বলেন, আমরা যারা অভিনয়শিল্পী আছি, তারা বছরে অনেক কাজ করি। এর মধ্যে ভালো কাজের স্বীকৃতি পাওয়া একজন শিল্পীর জন্য অবশ্যই বড় বিষয়। আমার অনেক কাজ আছে, যার মধ্যে ‘ঘুমপরী’ অনেকটাই ব্যতিক্রম। এই ফিল্মের জন্য আমি অনেক প্রশংসা পেয়েছি। বলা চলে, ‘ঘুমপরী’ থেকে আমি এখনো বেরিয়ে আসছে পারেননি।

আগের মত এখন আর বেশি কাজ করতে দেখা যায় না তিশাকে। অনেকটা বেছে বেছে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেন। ভালো গল্প না পেলে সে কাজে যুক্ত হন না বলেনও জানালেন এই অভিনেত্রী।

তানজিন তিশা কথায়, ‘বেশি কাজ করার চেয়ে মানসম্মত অল্প কাজ করতে চাই। আমি সেই পথ ধরেই চলছি এবং চলবো। এছাড়া ঈদের আমি পরিকল্পনা করে কাজ করি। যেটা গত ঈদে হয়নি। কারণ, আমি চেষ্টা করি কম কাজ করে ভালো কিছু দর্শককে উপহার দেওয়ার। আগামী ঈদের জন্য বেশ কয়েকটি কাজ করেছি। মানের দিক দিয়ে আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে বলেই সে কাজগুলোতে যুক্ত হয়েছি। আশাকরি দর্শক ঈদে ভালো কিছু পাবে।’

অভিনয়ের পাশাপাশি নাচেও বেশ পারদর্শী তিশা মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচে পারফর্ম করতে দেখা যায় তাকে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে অভিনয় জগতের মানুষ। এটা নিয়েই আমাদের থাকতে হয়। তবে অভিনয় ছাড়াও নিজেদের ব্যকিতক্রমভাবে উপস্থাপন করার জায়গা ‍কিছু সেক্টরে হয়। এর মধ্যে একটি হল নাচ। গতবারের মত এবারও বাইফা অ্যাওয়ার্ড শোতে নাচের মাধ্যমে নিজেকে একটু ব্যতিক্রমভাবে উপস্থাপন করেছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল পাকিস্তান-সৌদি আরব

পাকিস্তানের ওপর কেউ হামলা চালালে সৌদি আরব তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। আবার সৌদি আরবের ওপর কেউ আগ্রাসন চালালে পাকিস্তানও সৌদি আরবকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ঠিক এমনই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান।

জিও নিউজের খবর অনুসারে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সৌদি আরব সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ চুক্তির কথা জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’

চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় যে, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামিক সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের দীর্ঘ অংশীদারত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণেই শরিফ সৌদি আরব সফরে গেছেন বলেও তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া এই প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে এখন ‘এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বিবেচনা করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে। তারা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের জন্যও এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা, ইসরায়েলের হামলা, দোহা সম্মেলন এবং আরব বিশ্বে সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির তাৎপর্য অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্ধিত হুমকির সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করছে। 

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ