বেশি কাজ করার চেয়ে মানসম্মত অল্প কাজ করতে চাই: তিশা
Published: 17th, May 2025 GMT
নাটক, টেলিছবি থেকে শুরু করে ওয়েব কনটেন্টে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল তিশার ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এযাত্রায় তার সঙ্গে ছিলেন সংগীত ও অভিনয়শিল্পী প্রীতম হাসান। এই ফিল্ম অভিনয়ের জন্য ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিশা।
শুক্রবার একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গিয়ে তিশা বলেন, আমরা যারা অভিনয়শিল্পী আছি, তারা বছরে অনেক কাজ করি। এর মধ্যে ভালো কাজের স্বীকৃতি পাওয়া একজন শিল্পীর জন্য অবশ্যই বড় বিষয়। আমার অনেক কাজ আছে, যার মধ্যে ‘ঘুমপরী’ অনেকটাই ব্যতিক্রম। এই ফিল্মের জন্য আমি অনেক প্রশংসা পেয়েছি। বলা চলে, ‘ঘুমপরী’ থেকে আমি এখনো বেরিয়ে আসছে পারেননি।
আগের মত এখন আর বেশি কাজ করতে দেখা যায় না তিশাকে। অনেকটা বেছে বেছে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেন। ভালো গল্প না পেলে সে কাজে যুক্ত হন না বলেনও জানালেন এই অভিনেত্রী।
তানজিন তিশা কথায়, ‘বেশি কাজ করার চেয়ে মানসম্মত অল্প কাজ করতে চাই। আমি সেই পথ ধরেই চলছি এবং চলবো। এছাড়া ঈদের আমি পরিকল্পনা করে কাজ করি। যেটা গত ঈদে হয়নি। কারণ, আমি চেষ্টা করি কম কাজ করে ভালো কিছু দর্শককে উপহার দেওয়ার। আগামী ঈদের জন্য বেশ কয়েকটি কাজ করেছি। মানের দিক দিয়ে আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে বলেই সে কাজগুলোতে যুক্ত হয়েছি। আশাকরি দর্শক ঈদে ভালো কিছু পাবে।’
অভিনয়ের পাশাপাশি নাচেও বেশ পারদর্শী তিশা মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচে পারফর্ম করতে দেখা যায় তাকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে অভিনয় জগতের মানুষ। এটা নিয়েই আমাদের থাকতে হয়। তবে অভিনয় ছাড়াও নিজেদের ব্যকিতক্রমভাবে উপস্থাপন করার জায়গা কিছু সেক্টরে হয়। এর মধ্যে একটি হল নাচ। গতবারের মত এবারও বাইফা অ্যাওয়ার্ড শোতে নাচের মাধ্যমে নিজেকে একটু ব্যতিক্রমভাবে উপস্থাপন করেছি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে জবি উপাচার্য
‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন।
জানা গেছে, আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা পোস্টের সাংবাদিক মাহতাব হোসেন লিমন, বাংলা ট্রিবিউনের সুবর্ণ আস-সাইফ ও দৈনিক সংবাদের মেহেদী হাসানসহ ছয়জন। তাদের মধ্যে সুবর্ণ ও মেহেদীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আহত শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মাহতাব লিমন বলেন, টিয়ারশেলের তীব্র গ্যাসে আমার লাঞ্চে ইনফেকশন হয়েছে। মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এ সময় অক্সিজেন সাপ্লাই নিতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের খোঁজ নিচ্ছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের কয়েকজন আহত শিক্ষার্থী এখনও হাসপাতালে ভর্তি। তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো তাজাম্মুল হক, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হোসেন এবং শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন। এছাড়া শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক রায়হান রাব্বীসহ বিভিন্ন ছাত্রনেতারা উপস্থিত ছিলেন।