দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সংখ্যায় কম হলেও নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি সবার কাছে পরিচিত হলেও উন্নয়নকর্মী হিসেবে ফুলটাইম চাকরি করেন তিনি। তাই অভিনয় নিয়ে বড় কোনো পরিকল্পনা করতে পাবেন বলে জানালেন মিথিলা।

শুক্রবার রাতে একটি অ্যাওয়ার্ড শো-তে হাজির হয়ে মিথিলা বলেন, ‘অনেকেই জানেন আমি একজন উন্নয়নকর্মী। এটা আমার ফুলটাইম চাকরি। সেখানে আমাকে বেশি সময় দিতে হয়। পাশাপাশি অভিনয় করি। তাই অভিনয় নিয়ে বড় কোনো পরিকল্পনা করতে পারি না।’

নতুন কাজ নিয়ে মিথিলা বলেন, ‘গত ঈদে আমার ‘অ্যালেন স্বপন টু’ মুক্তি পেয়েছে। এটা নিয়ে দর্শকের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া ভালোই পাচ্ছি। এছাড়া সম্প্রতি দ্বীপ্ত টিলিভিশনে একটি ট্যালেন্ট শো-এর কাজ শেষ করেছি। এখানে আমি বিচারক হিসেবে ছিলাম। এই শো-য়ের মাধ্যমে আমরা কিছু নতুন মুখ পেয়েছি। সামনে যদি ভালো কাজ পাই অবশ্যই অভিনয় করবো।’

সমতার দাবিতে শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ কর্মসূচি ছিল। ওই অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন মিথিলা।

নারীদের অধিকার নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ এই কর্মসূচিতে প্রগতিশীল নারী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংস্কৃতিককর্মী, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। সেখানেও আমি উপস্থিত ছিলাম। আমার মনে হয়, নারী সমতার বিষয়টি সবাই চায়। কারণ, নারীরা যদি পিছেয়ে থাকে বা অধিকারগুলো না পায়, তাহলে পৃথিবী তো সামনে এগিয়ে যেতে পারবে না। তাই বলবো, নারীর অধিকার যেন ক্ষুণ্ণ না হয় এবং নারীরা যেন বৈষম্যের শিকার না হয়।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ