‎বিশিষ্ট শিল্পপতি, শিক্ষানুরাগী ও আমরা মোহামেডান কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা শিরীন হাবিব বলেছেন জীবনে সুখী হতে সর্বপ্রথম প্রোয়জন সুস্থ ও সবল শরীর। শরীর ও মনকে ভালো রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই।

‎শনিবার (১৭ মে) বিকালে আলি আহামদ চুনকা নগর মিলনায়তনে ‎রেইনবো ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের  বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। 

‎এসময় তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে শিশু থেকে শুরুকরে ছাত্রসমাজ অধিকাংশই খেলা ধুলো বলতে বোঝে অনলাইন ভিডিও গেম। ‎যা স্বাস্থের জন্য যেমন ক্ষতিকর , তেমনই মানসিক বিকাশের পথেও অন্যতম বাঁধার কারণ।

‎অভিভাকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন,  শিশুদের মোবাইল গেম থেকে দূরে রেখে মাঠে খেলাধুলার প্রতি জোর দিবেন যাতে শিশুর মেধা বিকাশ ঘটে। 

‎আজকের শিশু আগামি দিনের ভবিষ্যৎ।  ওরাই একদিন দেশ পরিচালনা করবে। তাই অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তে মেধা বিকাশে ব্যঘাত ঘটে। তাই বলবো বাচ্চাদের মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।

‎রেইনবো ইন্টরন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহিদুল আলম বাপ্পির সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক মজিবুর রহমান,  বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী সিপি কবির হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী পিপি আব্দুল মোতালেব, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী পিপি আব্দুস সালমান বেপারী, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী পিপি মহিউদ্দিন মাহমুদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী  জামাল উদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী পিপি তোফায়েল আহমেদ সরকার, ‎বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী পিপি মো নজরুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড সাইনের স্বত্বাধিকারী পিপি মো মাহবুবুর রহমান, ওমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আল মামুন প্রমূখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

গোমতীর চরে ১১ হাজার হেক্টর সবজিক্ষেত পানির নিচে

হঠাৎ ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে তলিয়ে গেছে নদীর দুই পাশের চরের ফসলি জমি। এর মধ্যে রয়েছে চরের বিস্তীর্ণ এলাকার সবজির ক্ষেত। কৃষকরা বলছেন, গত বছরের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই এবার হঠাৎ বন্যায় ডুবছে তাদের ফসল। কষ্টের ফসল হারিয়ে যাওয়ায় কাঁদছেন চরের কৃষকরা। অনেককেই ডুবন্ত জমি থেকে নানা জাতের সবজি তুলে নিতে দেখা গেছে। 

কৃষি বিভাগ বলছে, হঠাৎ গোমতীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমতলী ও কাচিয়াতলীসহ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, চরের যেসব জমিতে করলা, মুলা, লাউসহ বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছিল, তা এখন পানিতে ডুবে আছে। কৃষকের অনেকেই মাথায় হাত দিয়ে নদীর কিনারায় বসে আছেন। কৃষকরা বলছেন, আর মাত্র দুই দিন সময় পেলেই এসব সবজি বাজারে তোলা যেত।

আমতলী এলাকার কৃষক সুজন মিয়া জানান, গোমতী নদীর এ চরে প্রায় ৩ একর জমিতে নানা জাতের সবজি চাষ করেছেন। আর দুই দিন পরই এসব ফসল বাজারে বিক্রি করা যেত। কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে সব ফসল তলিয়ে গেছে। তার ভাষ্য, তিনি ব্যাংক ঋণ ও কিস্তি নিয়ে দুই বছর আগে কৃষিকাজ শুরু করেছেন। তার প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাঁর। 

কাচিয়াতলী এলাকার কৃষক মনির হোসেন বলেন, ‘গত বছরের বন্যায় আমরা কোনো ক্ষতিপূরণ পাইনি। এবারের বন্যায় আমাদের সব ফসল পানিতে ডুবে গেল। পানিতে নেমে কিছু করলা সংগ্রহ করেছি, বাকি সব নষ্ট হয়ে গেছে।’ বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবীদ্বারের বেশ কিছু এলাকার চিত্র একই।

পাঁচথুবী এলাকার কৃষক আবদুল কাদের ও আবদুস সালাম জানান, ৩-৪ দিন সময় পেলেই সবজি বিক্রি করতে পারতেন তারা। কিন্তু পানিতে সব ফসল ডুবে গেছে। মাচায় কিছু করলা আছে, সেগুলো নৌকায় করে গিয়ে সংগ্রহ করছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, গোমতী নদীর চরে চলতি বন্যায় প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। সব উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরকার যদি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বরাদ্দ দেয় তাহলে তারা পাবেন।

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জানান, গোমতী নদীর বিপৎসীমার সর্বোচ্চ পরিমাপ ১১ দশমিক ৩০ মিটার হলেও পানির উচ্চতা ৬ থেকে ৮ মিটার হলেই চরের অনেক কৃষিজমি ডুবে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এই নদীর পানি ৯ দশমিক ৪৮ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ