লাখো গাজাবাসীকে লিবিয়ায় সরিয়ে নিতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার খবর সত্য নয়: ত্রিপোলির মার্কিন দূতাবাস
সেকশন: মধ্যপ্রাচ্য-বিশ্ব: যুক্তরাষ্ট্র-বিশ্ব:
ট্যাগ:
ছবি: Palestinians (ইন্টারন্যাশনাল)
ক্যাপশন:
মেটা:
একসার্প্ট:


ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার অধিবাসীদের লিবিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনকে ‘সত্য নয়’ বলে জানিয়েছে ত্রিপোলির মার্কিন দূতাবাস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) আজ রোববার দেওয়া এক পোস্টে ত্রিপোলির মার্কিন দূতাবাস লিখেছে, গাজাবাসীদের লিবিয়ায় স্থানান্তরের কথিত পরিকল্পনা নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয়।

গত শুক্রবার এনবিসি নিউজ এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন গাজার প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

আরও পড়ুনট্রাম্পের গাজা খালি করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসাকে স্বাগত জানাল হামাস১৩ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনগাজা খালি করার ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল মিসর, জর্ডান ও হামাস২৭ জানুয়ারি ২০২৫

পরিকল্পনাটির বিষয়ে জানাশোনা আছে, এমন পাঁচ ব্যক্তির বরাতে খবরটি প্রকাশ করেছে এনবিসি নিউজ। তাঁদের মধ্যে দুজন বিষয়টি সম্পর্কে সরাসরি অবগত।

ত্রিপোলিভিত্তিক লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতীয় ঐক্যের সরকার এখনো প্রতিবেদনটি নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার নেওয়ার পর গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে উপত্যকাটি খালি করার একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ জন্য তিনি গাজার বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে মিসর ও জর্ডানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে দেশ দুটি ট্রাম্পের এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে।

তুমুল বিতর্ক-সমালোচনার মুখে গত মার্চে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘গাজা থেকে কোনো ফিলিস্তিনিকে কেউ সরিয়ে নেবে না।’ এরপর বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছিল গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে পরের মাস এপ্রিলে ট্রাম্প আবার ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে গাজা খালি করার কথা বলেন।

আরও পড়ুনআবারও বাসিন্দাদের সরিয়ে গাজা খালি করার কথা বললেন ট্রাম্প০৭ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্পের গাজা ‘খালি করার প্রস্তাব’ নিয়ে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: নেতানিয়াহু১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ