চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের বিপদগুলোও জেনে রাখুন
Published: 18th, May 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বলতে গেলে আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এটি আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগযোগ, বিনোদন ইত্যাদি সবকিছুতেই কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে।
ইতিমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তিসেবা চ্যাটজিপিটি সারা বিশ্বে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে কোথায় এটির ব্যবহার কতটুকু সমীচীন, সমস্যা সমাধানের জন্য কতটুকু মাত্রায় ব্যবহার গ্রহণযোগ্য, সেটি নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে।
চ্যাটজিপিটি কীচ্যাটজিপিটি মূলত ওপেনএআই নামের একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি ‘প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ’ (ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং) প্রযুক্তি, যেটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারই একটি শাখা। এটিকে কোনো প্রশ্ন করা হলে এমনভাবে আচরণ করে, যেন প্রশ্নটি বুঝতে পেরেছে এবং সেই অনুযায়ী প্রশ্নের উত্তর বা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। অন্যান্য চ্যাটবটগুলো যেখানে নির্দিষ্ট কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং শুধু পূর্বনির্ধারিত প্রম্পট বা কমান্ডের ভিত্তিতে সাড়া দেয়, চ্যাটজিপিটি সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীর সঙ্গে অর্থপূর্ণ ও পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক কথোপকথন পরিচালনা করতে পারে।
কোনো প্রশ্নের উত্তরে বিস্তারিত ব্যাখ্যা যেমন দিতে পারে, তেমনি আবার প্রয়োজন হলে উপস্থাপন করতে পারে বৃহৎ কিছুর সারাংশ। এটি এতটাই বাস্তব পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কাদার মধ্যে গরু-মহিষ আটকা পড়লে কীভাবে উদ্ধার করতে হবে, সেই উত্তর যেমন দিতে পারে, তেমনি রান্না করা মাংসে লবণ বেশি হলে কী করা উচিত, সেই পরামর্শও দিতে পারে। ব্যবহারকারী কোনো বিষয় বর্ণনা করে সেটির ওপর গল্প, কবিতা, নিবন্ধ লিখে দিতে বললে যেমন লিখতে পারে, তেমনি লিখতে পারে প্রোগ্রাম ও ই–মেইল, করতে পারে জটিল অঙ্কের সমাধান, আঁকতে পারে ছবি। চ্যাটজিপিটি ছাড়াও আরও কিছু অ্যাপ বা পরিষেবা আছে, যেগুলো একই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সাধারণত এগুলো লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল নামে পরিচিত। ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিত বা পরিস্থিতিতে প্রতিটি মডেলরই রয়েছে নিজস্ব কিছু সবলতা ও দুর্বলতা।
যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে স্বাভাবিক চিন্তা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন, অপ্রয়োজনীয় কিছুর জন্যও চ্যাটজিপিটির দ্বারস্থ হচ্ছেন, তাহলে সেটি উদ্বেগজনক।আঁকা: আরাফাত করিম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শেষ, আসন ফাঁকা ৩৯১
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে প্রথম ধাপের ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপের ভর্তির প্রক্রিয়া শেষে দেখা গেছে, তিনটি ইউনিটে মোট ৩৯১টি আসন ফাঁকা রয়েছে। প্রথম ধাপে ৬৩৯ শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এ ইউনিটে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) ৩৫০টি আসনের বিপরীতে প্রথম ধাপে ভর্তি হয়েছেন ১৯৯ শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে ফাঁকা আসনের সংখ্যা ১৫১। এর মধ্যে ফার্মেসি বিভাগে খালি আছে ২৯টি, রসায়নে ২১, গণিতে ১১, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, পরিসংখ্যানে ২০, সিএসইতে ২৪ ও আইসিটিতে ২৬টি আসন।
বি ইউনিটে (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) ৪৪০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ২৯৭ শিক্ষার্থী। এখানে ফাঁকা আসনের সংখ্যা ১৪৩। এর মধ্যে আইন বিভাগে ১৩টি, ইংরেজিতে ২০, অর্থনীতিতে ১৫, লোকপ্রশাসনে ২১, বাংলায় ২৪, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় ১৩, নৃবিজ্ঞানে ২৩ ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ১৪টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
এ ছাড়া সি ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) ২৪০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ শিক্ষার্থী। এখানে ফাঁকা আসনের সংখ্যা ৯৭। এর মধ্যে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে ১৬টি, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমসে ২৬, মার্কেটিংয়ে ৩০ ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ২৫টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ৮ মে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এ, বি ও সি ইউনিটের বিভাগসহ প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। পরে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১২ থেকে ১৫ মের মধ্যে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট অনুষদ থেকে অফিস চলাকালে (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা) সশরীর উপস্থিত হয়ে ভর্তির ফরম সংগ্রহ করে বিভাগের মাধ্যমে ভর্তি সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, এ ইউনিটে ১৯৯ জন, বি ইউনিটে ২৯৭ ও সি ইউনিটে ১৪৩ জন ভর্তি হয়েছেন। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে। আর নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে আগামী ১ জুলাই।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে পাঠদানের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা১৭ মে ২০২৫গুচ্ছপদ্ধতি থেকে বের হয়ে চার বছর পর এবার নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১৯ এপ্রিল এ ও সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২২ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ ও সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। সবশেষ ২৫ এপ্রিল বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৭ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এ বছর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএর ওপর ৩০ নম্বর কমিয়ে ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা ১০০ নম্বরের এবং বাকি ২০ নম্বর থাকবে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৩০টি আসনের বিপরীতে এবার এ, বি ও সি—এ তিনটি ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়েছে ৬৬ হাজার ৪০২টি। সে হিসাবে এবার প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৪।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি বিষয়ে ডিপ্লোমা, ভর্তির শেষ সময় ২৪ মে১৭ মে ২০২৫