বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি হলো বেকারত্ব। বিগত সরকার এই সমস্যা মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং সরকারি চাকরির আবেদন ফি অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে চাকরি প্রত্যাশীদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেয়। ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই আবেদন ফি প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনে, যা প্রশংসনীয়।

বাংলাদেশের জনশক্তি রিপোর্ট ২০২৪ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ২৬ দশমিক ৪ লাখ বেকার রয়েছেন, তবে গবেষকদের মতে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। প্রতিবছর নতুন গ্র্যাজুয়েট ও চাকরি প্রত্যাশীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায়, সীমিতসংখ্যক পদে বিপুলসংখ্যক আবেদন জমা পড়ে, যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আরও সমস্যার সৃষ্টি করছে। এক দিনে ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৩ থেকে ১৪টি বা তারও বেশি গুরুত্বপূর্ণ চাকরির পরীক্ষা আয়োজন করার ফলে চাকরি প্রত্যাশীরা একাধিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শুক্র ও শনিবার (সকাল-বিকেল) একই দিনে একাধিক সময় ভাগ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব হলেও তা যথাযথভাবে পরিকল্পনা না করায় অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিকল্পিত ও সমন্বিতব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। চাকরি প্রত্যাশীদের ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করতে এবং সরকারি নিয়োগ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনার লক্ষ্যে আমরা সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মো.

ওয়াদুদ রহমান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই বিপ্লবের এক বছর: ঝালকাঠিতে মোমবাতি প্রজ্বলন

‎জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তিতে ঝালকাঠিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় জেলা ছাত্রদল, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঝালকাঠি শাখা ও বিভিন্ন মিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

‎২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত আন্দোলনের বার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ‘গণশক্তির জাগরণে’ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন। এর মাধ্যমে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদি শাসনামলের অবসান ঘটে।

মোমবাতি প্রজ্বলনের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, জেলা ছাত্রদলের সদস্য ইমরান, ‎বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রাইয়ান শাইয়ান।

‎বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে। ছাত্র-জনতার এই নবজাগরণ দেশকে দিয়েছে এক নবযুগের সূচনা। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের এক বছর পূর্তিতে আমাদের প্রত্যয়- ১৬ বছরের দুঃশাসনের বিচার, জুলাই গণহত্যার বিচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কার নিশ্চিত করা।

ঢাকা/অলোক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলি সেনারা তাঁর বাবা-ভাইকে মারল, পরিবারের জীবিত সদস্যদের উপহাস করল
  • গত অর্থবছরে রপ্তানি ৯% বেড়েছে
  • সোনারগাঁয়ে কৃষকদের ফলজ চারা ও সার বীজ বিতরণ
  • সাধারণ ছুটিসহ ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা
  • উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ১৫ জীবন বীমা কোম্পানি
  • গণঅভ্যুত্থানে শিশু রিয়া গোপ হত্যা, এক বছর পর মামলা
  • শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ইসলামিক ফাইন্যান্স
  • জুলাই বিপ্লবের এক বছর: ঝালকাঠিতে মোমবাতি প্রজ্বলন
  • জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আরো ১০ জনের নামে গেজেট
  • নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত কুবি