রোনালদোর সঙ্গে দ্বৈরথ নিয়ে নতুন করে যা বললেন মেসি
Published: 18th, May 2025 GMT
লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথ ফুটবল ইতিহাসে মহাকাব্যিক এক আখ্যান। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে ফুটবলের মঞ্চে একে-অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাঁরা। শ্রেষ্ঠত্বে কখনো মেসি এগিয়ে গেছেন, আবার কখনো রোনালদো। তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে ভক্তদের মধ্যেও চলেছে নানামুখী লড়াই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো দুজনের ভক্তদের লড়াই করতে দেখা যায়। নিজেদের এই দ্বৈরথ নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা বলেছেন মেসি-রোনালদো দুজনই। এবার নতুন করে বিষয়টি নিয়ে নিজের মত জানিয়েছেন মেসি।
ব্যালন ডি’অরের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে মেসি বলেন, ‘খেলার মাঠের ভাষায় বললে, এটা ছিল একটা লড়াই। সুন্দর একটি লড়াই। আমরা একে অপরকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছি, কারণ আমরা দুজনেই খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মানসিকতার। সে সব সময় সবকিছু জিততে চেয়েছে।’
আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ: মেসি-রোনালদো-নেইমার, কে থাকবেন কে থাকবেন না২৩ এপ্রিল ২০২৫রোনালদোকে কৃতিত্ব দিয়ে মেসি আরও বলেন, ‘সময়টা আমাদের জন্য খুব সুন্দর ছিল এবং যাঁরা ফুটবল ভালোবাসেন, তাঁদের জন্যও। আমার ধারণা, ক্রিস্টিয়ানোর (রোনালদো) অনেক কৃতিত্ব প্রাপ্য। যেমনটা বলা হয়, চূড়ায় ওঠাটা কঠিন নয়, কঠিন হচ্ছে সেখানে অবস্থান করা। এটা অসাধারণ ছিল, আর সবার জন্যই এক দারুণ স্মৃতি।’
২০২৩ সালে রিয়াদে মুখোমুখি হয়েছিলেন মেসি–রোনালদো.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।
রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।