হুবহু দেখতে পুতুলের মতো চেহারা। এআই ঠিকঠাক বানিয়ে দিল মিনিয়েচার। নিজের পছন্দের বেশ কিছু অনুষঙ্গ দিয়ে। অনেকেই এআই ডল নামে এমন ট্রেন্ডে মেতেছেন, যা
রাতারাতি জনপ্রিয় হয়।
অনেকেই নতুন ফিচার সম্পর্কে জেনেছেন। সবশেষ এআই ফিচারে চ্যাটজিপিটি বা কপিলটের মতো এআই ইঞ্জিন চোখের নিমেষে কোনো ছবি দেখে বানিয়ে দিচ্ছে হুবহু তার পুতুল অবয়ব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পুতুলের সঙ্গে যদি অন্যকিছু জুড়ে দিতে চান, সে সুযোগ হাতছাড়া হবে না। যদি আপনি ডাক্তার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার পুতুল অবতারের সঙ্গে জুড়ে যাবে অ্যাপ্রোন, পেন আর ট্রেডমিল। ভাবনাকেও হার মানাবে– এমন অবয়ব তৈরি করে দেবে এআই। নিজের খুদে ছবি তৈরি হচ্ছে বার্বি বা বিশেষ কোনো পরিচিত পুতুলের আদলে। অনেকে তার নাম আর প্রিয় বিষয় জুড়ে দিচ্ছেন। মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে নতুন আদলের অবয়ব, যা আগে কখনও ভাবনায় আসেনি। ক্রমে প্রযুক্তি আমাদের অভ্যাস আর চর্চায় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ক্ষমতার অপ্রতিরোধ্য দৃশ্যমান সামনে আনছে। বিচিত্র সবকিছুর সঙ্গে কিন্তু বেড়ে চলেছে রকমারি উত্তেজনা আর উদ্বেগ। উল্লিখিত মিনিয়েচার অবয়বের উদাহরণ যেন সে কথাই
মনে করিয়ে দিচ্ছে।
এ সময়ে এআই জেনারেটেড যে কোনো সৃষ্টির মধ্যে কাজ করছে উন্মাদনা আর উত্তেজনা, যা ভাবনার অবকাশ তৈরি করছে। ভেবে দেখবেন কি, মুহূর্তেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিনা করে ফেলছে। আপনাকে সে নিজের সৃষ্টিতে বুঁদ করে ফেলছে।
যার পেছনে কিন্তু কাজ করছে সুবৃহৎ ডেটা সেন্টার, যা চালাতে যে পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, তা শতাধিক দেশের এক বছরে ব্যবহৃত বিদ্যুতের সমান। কী বিস্ময়কর, তাই না!
প্রতিপাদ্যে যে বিষয়টা এবার সামনে আসে, তা হলো প্রকৃতির সৃষ্টির প্রতি অসম্মান ও কপিরাইট নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
কমান্ড দিলেই এআই যেমন অবয়ব তৈরি করছে, তার ধরন (প্যাটার্ন) অন্য রকমের হলেও কাজটা আদতে মৌলিক নয়। দৃশ্যমান ছবি অন্য কারও সৃষ্টির খণ্ডিতাংশ, যা কপিরাইট নীতির
লঙ্ঘন করছে।
ওয়েবের ওপেন সোর্সে যা কিছু আছে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাচ্ছে এআই প্ল্যাটফর্ম। নিজের মতো করে সেখান থেকে অবিকল কিছু উপস্থাপন করছে। বলতে গেলে, ধার করার কারণে শিল্পীর গুণ বা শিল্পী ক্রমান্বয়ে স্বীকৃতি হারাচ্ছে। ইন্টারনেট দুনিয়ায় ছড়ানো কোটি কোটি শিল্পকর্ম থেকে সূক্ষ্মভাবে ধার করছে এআই টুলস। কিন্তু সামনে দৃশ্যমান হচ্ছে অদ্ভুত ক্রিয়েটিভিটি, যা কোনোভাবেই মৌলিক শর্ত পূরণ করে না। যন্ত্রের কাছে মানবিক চিত্রকর্মের কদর কি তবে ক্রমে কদর্য হয়ে পড়বে– প্রশ্নটা কিন্তু সৃজনশীলতা নিয়ে। তাই শিল্পীর গুরুত্ব যেন কোনোভাবেই
মূল্যহীন হয়ে না পড়ে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যন্ত্রের কাছে পুতুল যেমন
হুবহু দেখতে পুতুলের মতো চেহারা। এআই ঠিকঠাক বানিয়ে দিল মিনিয়েচার। নিজের পছন্দের বেশ কিছু অনুষঙ্গ দিয়ে। অনেকেই এআই ডল নামে এমন ট্রেন্ডে মেতেছেন, যা
রাতারাতি জনপ্রিয় হয়।
অনেকেই নতুন ফিচার সম্পর্কে জেনেছেন। সবশেষ এআই ফিচারে চ্যাটজিপিটি বা কপিলটের মতো এআই ইঞ্জিন চোখের নিমেষে কোনো ছবি দেখে বানিয়ে দিচ্ছে হুবহু তার পুতুল অবয়ব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পুতুলের সঙ্গে যদি অন্যকিছু জুড়ে দিতে চান, সে সুযোগ হাতছাড়া হবে না। যদি আপনি ডাক্তার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার পুতুল অবতারের সঙ্গে জুড়ে যাবে অ্যাপ্রোন, পেন আর ট্রেডমিল। ভাবনাকেও হার মানাবে– এমন অবয়ব তৈরি করে দেবে এআই। নিজের খুদে ছবি তৈরি হচ্ছে বার্বি বা বিশেষ কোনো পরিচিত পুতুলের আদলে। অনেকে তার নাম আর প্রিয় বিষয় জুড়ে দিচ্ছেন। মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে নতুন আদলের অবয়ব, যা আগে কখনও ভাবনায় আসেনি। ক্রমে প্রযুক্তি আমাদের অভ্যাস আর চর্চায় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ক্ষমতার অপ্রতিরোধ্য দৃশ্যমান সামনে আনছে। বিচিত্র সবকিছুর সঙ্গে কিন্তু বেড়ে চলেছে রকমারি উত্তেজনা আর উদ্বেগ। উল্লিখিত মিনিয়েচার অবয়বের উদাহরণ যেন সে কথাই
মনে করিয়ে দিচ্ছে।
এ সময়ে এআই জেনারেটেড যে কোনো সৃষ্টির মধ্যে কাজ করছে উন্মাদনা আর উত্তেজনা, যা ভাবনার অবকাশ তৈরি করছে। ভেবে দেখবেন কি, মুহূর্তেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিনা করে ফেলছে। আপনাকে সে নিজের সৃষ্টিতে বুঁদ করে ফেলছে।
যার পেছনে কিন্তু কাজ করছে সুবৃহৎ ডেটা সেন্টার, যা চালাতে যে পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, তা শতাধিক দেশের এক বছরে ব্যবহৃত বিদ্যুতের সমান। কী বিস্ময়কর, তাই না!
প্রতিপাদ্যে যে বিষয়টা এবার সামনে আসে, তা হলো প্রকৃতির সৃষ্টির প্রতি অসম্মান ও কপিরাইট নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
কমান্ড দিলেই এআই যেমন অবয়ব তৈরি করছে, তার ধরন (প্যাটার্ন) অন্য রকমের হলেও কাজটা আদতে মৌলিক নয়। দৃশ্যমান ছবি অন্য কারও সৃষ্টির খণ্ডিতাংশ, যা কপিরাইট নীতির
লঙ্ঘন করছে।
ওয়েবের ওপেন সোর্সে যা কিছু আছে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাচ্ছে এআই প্ল্যাটফর্ম। নিজের মতো করে সেখান থেকে অবিকল কিছু উপস্থাপন করছে। বলতে গেলে, ধার করার কারণে শিল্পীর গুণ বা শিল্পী ক্রমান্বয়ে স্বীকৃতি হারাচ্ছে। ইন্টারনেট দুনিয়ায় ছড়ানো কোটি কোটি শিল্পকর্ম থেকে সূক্ষ্মভাবে ধার করছে এআই টুলস। কিন্তু সামনে দৃশ্যমান হচ্ছে অদ্ভুত ক্রিয়েটিভিটি, যা কোনোভাবেই মৌলিক শর্ত পূরণ করে না। যন্ত্রের কাছে মানবিক চিত্রকর্মের কদর কি তবে ক্রমে কদর্য হয়ে পড়বে– প্রশ্নটা কিন্তু সৃজনশীলতা নিয়ে। তাই শিল্পীর গুরুত্ব যেন কোনোভাবেই
মূল্যহীন হয়ে না পড়ে।