জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনা সদস্যরা চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করেন। এ ঘটনায় রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।

এতে বলা হয়, জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আজ (রোববার) কতিপয় বরখাস্ত/অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় প্রেসক্লাবে গমন করেন এবং অত্যন্ত ধৈর্য ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের বক্তব্য শোনেন।

প্রতিনিধি দল সেনাবাহিনীর প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসারে দাবি-দাওয়া যাচাই ও সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে অভিযোগগুলো কোনো তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে না পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি উপস্থাপনের পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় এ ধরনের মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে ১০৬টি আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাকি আবেদনগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে‌ যা সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, তবে দুঃখজনক যে, আজকের কিছু অনভিপ্রেত আচরণ এই সুশৃঙ্খল বাহিনীর ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পরপর দুবার সফল বৈঠক শেষে, প্রতিনিধি দল ফেরত যাওয়ার সময় কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল বরখাস্ত সেনা সদস্যদের উস্কানিতে উক্ত প্রতিনিধি দলের গাড়ির সম্মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয়।

সমগ্র দিন জুড়ে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহমর্মিতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছু সংখ্যক বিশৃঙ্খল সাবেক সদস্যকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।

যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপ, জনস্বার্থবিরোধী আচরণ কিংবা বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে— এমন কর্মকাণ্ড কখনোই কাম্য নয়। সব ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করছে। সাংবিধানিক কাঠামো ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনরায় সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে নিজের দোষে আত্মবিশ্বাস হারাবেন না

মনোবিদরা বলেন, ‘‘সাধারণত সমালোচনা কিংবা নেতিবাচক আলোচনা তারাই করেন যাদের মধ্যে এক ধরণের নেতিবাচক কনফিডেন্স থাকে।’’ সুতরাং কোনো সহকর্মীকে নিয়ে অন্য সহকর্মীর কাছে দিনের পর দিন নেতিবাচক সমালোচনা করছেন মানে আপনি আপনার নেতিবাচক আত্মবিশ্বাসকে আরও বেশি জাগিয়ে তুলছেন। 

ডা. মেখলা সরকার, সাইকিয়াট্রিষ্ট একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীকে খোঁচাখুচি করা, সমালোচনা করা কিংবা পেছনে কথা বলা ইত্যাদি আচরণ থেকে বিরত থাকুন। অন্যের সমালোচনা বা নেতিবাচক কমেন্ট কিন্তু আপনারই পজিশনকে নেতিবাচক করে তুলছে। এবং যার কাছে আপনি অন্য একজনকে নিয়ে সমালোচনা করছেন তার কাছেও আপনার নেতিবাচক একটা অবস্থান তৈরি হচ্ছে।’’ 

‘‘এই নেতিবাচক সমালোচনা বা এই পরষ্পর সমালোচনা বা তার প্রতি যে এক ধরণের নেতিবাচক চর্চা সেটা কিন্তু কর্মক্ষেত্রের পরিবেশটাকে অনেক নেগেটিভ করে থাকে। এর ফলে শুধু যে কর্মপরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তা না, অন্যের চোখে আপনার অবস্থানও নেতিবাচক হয়ে যায়। যাকে নিয়ে আপনি কথা বলছেন, যা বলছেন সেটা কিন্তু ঠিকই তার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। কাজেই আপনি কিন্তু এক ধরণের অপ্রয়োজনীয় শত্রু তৈরি করছেন।’’—যোগ করেন মেখলা সরকার

আরো পড়ুন:

‘ইমোশনালি ম্যাচিউর’ বাবা মায়েরা শিশুর সঙ্গে যে পাঁচ আচরণ করেন

বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ‘রিকশা গাউন’

মেখলা সরকারের পরামর্শ— কর্মক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন একটা বাউন্ডারি সেট করতে। সেই বাউন্ডারির ভেতরে থেকে অন্যকে নিয়ে নেতিবাচক সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকবেন।

এসব পরামর্শ মেনে চলতে পারলে আপনার অবস্থান অন্যদের কাছে নেতিবাচক হবে না, আপনার অপ্রয়োজনীয় শত্রু তৈরি হবে না এবং আপনার ইতিবাচক আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকবে।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালো আইএসপিআর
  • বিএনপিপন্থী চার আইনজীবীকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম
  • কারাগারে লাল থ্লেং কিম বমের মৃত্যুর বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
  • বম নারী ও শিশুদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
  • ‘এমন কর্মসূচি দিতে বাধ্য করবেন না, যাতে শিক্ষক–ছাত্রের সম্পর্ক বজায় থাকে না’
  • সবাই জেনেবুঝে যেভাবে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে
  • আপনাকে যাঁরা পছন্দ করেন না, কীভাবে তাঁদের সামলে চলবেন
  • কর্মক্ষেত্রে নিজের দোষে আত্মবিশ্বাস হারাবেন না
  • ‘ইমোশনালি ম্যাচিউর’ বাবা মায়েরা শিশুর সঙ্গে যে পাঁচ আচরণ করেন