বিএনপিপন্থী চার আইনজীবীকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম
Published: 18th, May 2025 GMT
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে ‘অপেশাদারত্বমূলক’ আচরণ বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বিএনপিপন্থী চার আইনজীবীকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। আজ রোববার চার আইনজীবীর প্রতি পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়।
চার আইনজীবী হলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম, ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক মিলন, ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের প্রাথমিক সদস্য মো.
পৃথক নোটিশে আলাদাভাবে ওই চার আইনজীবীর উদ্দেশে বলা হয়, ১৭ মে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে আপনার (আলাদাভাবে চার আইনজীবী) ‘অপেশাদারত্বমূলক’ আচরণ ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যা দলীয় ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এহেন অযাচিত ও অপেশাদারত্বমূলক আচরণের জন্য আপনার (পৃথকভাবে চার আইনজীবী) বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে সভাপতি ও মহাসচিব বরাবর লিখিতভাবে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য আপনাকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সিদ্ধান্ত অনুসারে ওই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয় বলে ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমানের সই করা পৃথক নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ র আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
রিট খারিজ, জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান বহাল
নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত এমন বিধানের বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
এর আগে নতুন ওই বিধান যুক্ত করে গত ৩ নভেম্বর আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। আগে কোনো রাজনৈতিক দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে জোটের শরিক যেকোনো দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেত। ওই বিধানসংবলিত অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন গত ৩০ নভেম্বর ওই রিটটি করেন।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব প্রথম আলোকে বলেন, শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ অর্থাৎ রিট খারিজ করে দিয়েছেন। এতে করে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশের ৯ অনুচ্ছেদ বহাল থাকল। ফলে নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে।
রিট আবেদনকারীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আলোচনা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশের ওই বিধানসংবলিত ৯ অনুচ্ছেদ সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের (২৮, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদ) সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। আইনসচিবসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে আজ রুল ডিসচার্জ (খারিজ) দেন আদালত।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও রাশনা ইমাম, সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রেশাদ ইমাম ও আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলায় বিবাদী হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পক্ষভুক্ত হয়। এনসিপির পক্ষে আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষে আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, জোট করলেও দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরে। তবে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি এই সংশোধনের পক্ষে। জোট করলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে—শেষ পর্যন্ত এমন বিধান যুক্ত করেই ৩ নভেম্বর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুনজোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান প্রশ্নে রুল০১ ডিসেম্বর ২০২৫