নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সারুলিয়া এলাকায় রেল লাইনের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের (২০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার সারুলিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল রেললাইনের পাশে ওই যুবকের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন।

জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের সারুলিয়া গ্রামের ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল রেললাইনে পাশ দিয়ে স্থানীয় লোকজন হাঁটার সময় এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে লোহাগড়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত মরদেহটির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল হ গড় য বক র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীসহ বিজিবির সাবেক ডিজির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সোমা ইসলামের নামে আট ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

অন্যদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার এবং তার স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনের নামে থাকা অস্থাবর সম্পদসমূহ (বিও অ্যাকাউন্ট ও শেয়ার) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন গালিব দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

সাফিনুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। তাদের নামে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। অনুসন্ধানকালে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, তাদের নামীয় ব্যাংক স্থিতি নগদায়ন করে অন্যত্র হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন। এসব হিসাবের অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। 

ছিদ্দিকুর রহমানের অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার পরিচালক আবুল হাসনাত। আবেদনে বলা হয়, ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে পাওয়া রেকর্ডপত্র মোতাবেক জানা যায়, ছিদ্দিকুর রহমান ও  রেবেকা রওশনের নামীয় সর্বমোট ১৩টি বিও অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রে বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তাদের নামীয় অস্থাবর সম্পদসমূহ হতে টাকা উত্তোলন করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন মর্মে গোপন সূত্রে জানা গেছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

ঢাকা/এম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ