ভারতের হামলার সময় কাশ্মীরে ছিলেন বাবা-মা, ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিলেন মঈন আলী
Published: 19th, May 2025 GMT
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার জেরে এ মাসের শুরুর দিকে ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি আক্রমণে জড়িয়ে পড়েছিল। ওই হামলার সময়ে সবচেয়ে আতঙ্কে ছিলেন দুই দেশের সীমান্তের কাছাকাছি থাকা মানুষ।
ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলী জানিয়েছেন, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে আটকা পড়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। দেশে বসে এক পডকাস্টে ভয়াবহ সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন মঈন।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতের মিসাইল হামলার সময় স্ত্রী-সন্তানসহ ভারতে ছিলেন মঈন। আইপিএল খেলছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলার একপর্যায়ে পরিবারসহ ইংল্যান্ডে ফিরে যান তিনি। যুদ্ধবিরতির পর আবার আইপিএল শুরু হলেও মঈন আর ভারতে ফেরেননি।
বিয়ার্ড বিফোর উইকেট নামে একটি পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঈন জানান, পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরের যে স্থানে ভারতীয় সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছিল, সেখান থেকে মঈনের বাবা-মা খুব বেশি দূরে ছিলেন না, ‘আমার বাবা-মা তখন কাশ্মীরে ছিলেন…পাকিস্তানে, হামলার জায়গা থেকে ঘণ্টাখানেকের পথ হবে। হয়তো একটু বেশি। পুরো ব্যাপারটি অদ্ভুত ছিল। তাঁরা সেদিনই শেষ ফ্লাইটে উঠতে পেরেছিলেন। তাঁরা (কাশ্মীর থেকে) বের হতে পেরেছেন জানার পর স্বস্তিবোধ করেছিলাম। তবে সময়টা ভয়ংকর ছিল।’
আরও পড়ুনএখন তিনি ডক্টর মঈন আলী২০ নভেম্বর ২০২৪মঈনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে হলেও তিনি মূলত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তাঁর দাদা ছিলেন আজাদ কাশ্মীরের মিরপুর এলাকার বাসিন্দা। পরবর্তীতে তিনি ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান এবং এক ব্রিটিশ নারীকে বিয়ে করেন।
স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে মঈন আলী.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাকারিয়া হোটেলে ২ নারীর ওপর হামলাকারীরা শনাক্ত, গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান
রাজধানীর বনানীর জাকারিয়া হোটেলে দুই নারীর ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতা মনিরের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বুধবার (২ জুলাই) রাতে বনানী থানা যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেনের নেতৃত্বে এক দল মানুষ ওই দুই নারীর ওপর হামলা চালান। এই হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা দেশজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে। সমালোচনার মুখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে মনির হোসেনকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আহত ৩০
পাবনায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাইমুমের বাড়িতে আ.লীগ সমর্থকদের হামলা
যুবদল জানিয়েছে, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায় দল নেবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শাড়ি পরা এক নারী সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার চেষ্টা করছেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একজন পথ আটকে তাকে আঘাত করে নিচে ফেলে দেন। সেই নারীর পেছনে আরো এক নারী দৌড়ে নামার চেষ্টা করছিলেন এবং তাকে কয়েকজন ধাওয়া করে ধরে নিচে ফেলে দেন। এরপর হামলাকারীরা মিলে মেঝেতে পড়ে থাকা দুই নারীকে মারধর করেন। এ ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষ বুধবার রাতেই বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
ঢাকা/এমআর/রফিক