হবিগঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি হয়েছেন দিলীপ কান্ত নাথ
Published: 19th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার পরিদর্শক দিলীপ কান্ত নাথ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন। আলোচিত ব্যবসায়ী মহসিন হত্যা মামলার আসামি ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তার, মাদক, জুয়া বন্ধসহ আইনশৃঙ্খলায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হন।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে জেলা পুলিশের এপ্রিল মাসের মাসিক কল্যাণ সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান।
এ সময় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট সার্কেল এএসপি, সকল থানার পরিদর্শক (অপারেশন), পরিদর্শক (তদন্ত) এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বাসচাপায় শেষ বাবা, পা গেছে মেয়ের, হাত ভেঙেছে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর
মানিকগঞ্জ জেলা আ.
দিলীপ কান্ত নাথ শায়েস্তাগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে যোগ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছেন। যার ফলে শায়েস্তাগঞ্জে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, জুয়া ও মাদকসহ অপরাধ হ্রাস পেয়েছে। এতে শায়েস্তাগঞ্জবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফের অপহরণকারীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি, অপহৃত একজনকে উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ের আস্তানায় ডাকাত ও অপহরণকারীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদক জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী।
আজ রোববার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর। তিনি জানান, অপহরণকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. সোহেল (২০)। তিনি টেকনাফ পৌরসভার নতুন পল্লান পাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
লে. কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর বলেন, গতকাল শনিবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা–সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ অবস্থান করছে এমন সংবাদ পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে কোস্টগার্ড ও পুলিশের একটি যৌথ দল সেখানে অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিতে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। গোলাগুলির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে গহিন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
পরে দুর্বৃত্তদের গোপন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ১টি জি-৩ রাইফেল, ২টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি দেশে তৈরি বন্দুক, ৩ হাজার ১০০টি রাইফেলের গুলি, ১৪টি পিস্তলের গুলি, ১ কেজি আইস মাদক (ক্রিস্টাল মেথ) ও ৪ লিটার দেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুর্বৃত্ত চক্রের হাতে জিম্মি থাকা একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্র ও মাদক টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।