দেশে স্টারলিংক চালু, মাসে সর্বোচ্চ খরচ ৬ হাজার টাকা
Published: 20th, May 2025 GMT
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া স্টারলিংক নিজেদের এক্সে (সাবেক টুইটার) এই তথ্য জানিয়েছে।
আজ বুধবার ফয়েজ আহমদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ-সংক্রান্ত এক পোস্টে লিখেছেন, বাংলাদেশে যাত্রা শুরু নিয়ে গতকাল (সোমবার) বিকেলে স্টারলিংক তাঁকে ফোন করে জানিয়েছে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক২৯ এপ্রিল ২০২৫প্যাকেজ সম্পর্কে ফয়েজ আহমদ বলেন, শুরুতে দুটি প্যাকেজ থাকবে—স্টারলিংক রেসিডেন্স ও রেসিডেন্স লাইট। মাসে খরচ একটিতে ৬ হাজার টাকা, অপরটিতে ৪ হাজার ২০০ টাকা। তবে সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশের গ্রাহকেরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনুস ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু করতে বলেছিলেন। তা বাস্তবায়ন হয়েছে বলে উল্লেখ করে তাঁর এই বিশেষ সহকারী।
আরও পড়ুনস্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন দিলেন প্রধান উপদেষ্টা, চালু কবে২৮ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংকের ইন্টারনেট০৯ এপ্রিল ২০২৫ফয়েজ আহমদ আরও বলেছেন, ব্যয়বহুল হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবে। এ ছাড়া এনজিও, ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।
আরও পড়ুনস্টারলিংকের ইন্টারনেট সিস্টেমের ত্রুটি শনাক্ত করলে মিলবে কোটি টাকার বেশি পুরস্কার১৬ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনবাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক০৬ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ আহমদ
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়াদ ও বার এই দুই শব্দ ঘিরে বহু ব্যাখ্যা তৈরি হয়েছে: সালাহউদ্দিন
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও বার গোনার জটিলতা এড়িয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণের পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি। রবিবার (২২ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, “মেয়াদ ও বার এই দুই শব্দ ঘিরে বহু ব্যাখ্যা ও জটিলতা তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন, দুইবার, কেউ বলছেন দুই মেয়াদ। তবে, এমন পরিস্থিতি হতে পারে, যেখানে কেউ অল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন আবার কেউ বারবার অল্প মেয়াদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হবেন। এতে প্রকৃত মেয়াদের চেয়ে বার গোনা অর্থহীন হয়ে পড়ে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা লিখিত প্রস্তাবেও বলেছি, কোনো ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। তবে, মেয়াদ বলতে সংসদ পূর্ণ থাকবে কিনা, সেটা নির্ভর করে সংসদের ওপর। আমাদের সংবিধানে সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর নির্ধারিত আছে, কিন্তু তা রাজনৈতিক বাস্তবতায় পরিবর্তন হতে পারে।”
আরো পড়ুন:
ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার পেল আর্থিক সহযোগিতা
বিএনপির পথসভায় ‘মুজিবীয় শুভেচ্ছা’ জানালেন ছাত্রদল নেতা
তিনি আরো বলেন, “বার গোনার বদলে একজন ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। যদিও আমি নির্দিষ্ট কোনো বছর উল্লেখ করিনি, কারণ সেটি আমার একক সিদ্ধান্তে বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে চূড়ান্ত অবস্থান নিতে হবে।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত অবস্থান নিতে আগ্রহী। মেয়াদ নির্ধারণ হোক কিংবা বছর, মূল কথা হচ্ছে ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।”
ঢাকা/রায়হান/মাসুদ