বাড্ডায় বিস্ফোরণ: মা-মেয়ের পর চলে গেলেন বাবা
Published: 21st, May 2025 GMT
ঢাকার বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ শিশু তানজিলা ও তার মায়ের মৃত্যুর পর এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তানজিলার বাবা তোফাজ্জল হোসাইন।
বুধবার (২১ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল হোসাইনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জন মারা গেলেন। এ ঘটনায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরো দুজন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান রাইজিংবিডিকে জানান, তোফাজ্জল হোসাইনের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন তাদের মেয়ে তানিশার ৩০ শতাংশ ও মিথিলার ৬০ শতাংশ দগ্ধ আছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে গত ১৮ মে বিকেল ৩টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছোট্ট তানজিলা (৪)। এর ৭ ঘণ্টা পর মারা যান তার মা মানসুরা (২৪)।
গত ১৬ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আফতাব নগরের দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকার আনসার ক্যাম্প বাজারসংলগ্ন একটি তিন তলা ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। এতে একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হন।
তোফাজ্জল হোসাইনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং গ্রামে। তিনি পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক এবং পরিবারসহ আফতাব নগরে বসবাস করেন।
ওই দিন তোফাজ্জল হোসাইনে প্রতিবেশী মোহাম্মদ হোসেন শরীফ জানান, রান্না করার জন্য রাতে চুলায় আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ হয়। এতেই সবাই দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা/বুলবুল/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুবির ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আল্টিমেটাম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ফার্মেসি বিভাগে অতিদ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের রোড ম্যাপ দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন তারা।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষক সংকট নিরসন চাই’, ‘শিক্ষক সংকট নয়, চাই শিক্ষার অগ্রগতি’, ‘শিক্ষক ছাড়া শিক্ষা অচল’, ‘জটমুক্ত বিভাগ চাই’, ‘শিক্ষক চাই, এখনই চাই’, ‘অনলাইনে নয়, অফলাইনে সব কোর্স চাই’, ‘শিক্ষক বাড়াও, বিভাগ বাঁচাও’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
আরো পড়ুন:
চাকসু নীতিমালা প্রকাশ হবে বৃহস্পতিবার
যবিপ্রবিতে প্রযুক্তি খাতে নারীদের উন্নয়ন-বিষয়ক সেমিনার
মানববন্ধনে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিয়া ইসলাম তারিন বলেন, “বিভাগের শিক্ষক সংকট নিয়ে আমরা ডিন স্যারের সঙ্গে কয়েকবার কথা বলেছি। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তাদের বলতে চাই, আপনারা আমাদের মা বাবা তুল্য, আপনারা এভাবে আমাদের সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না। আমরা দ্রুত আমাদের বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ চাই।”
ফার্মেসি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত বলেন, “আমাদের বিভাগে কাগজে কলমে ১২ জন শিক্ষক থাকলেও আছেন মাত্র পাঁচজন। তার মধ্যে একজন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন। সবমিলিয়ে বলা যায় মাত্র চারজন শিক্ষক ক্লাস নেন। যাদের ভাগে প্রত্যেকটা ব্যাচের দুইটা করে কোর্স থাকে। এজন্য আমরা সেশনজটে পড়ছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, আমাদের বিভাগে যেন অতিদ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।”
কুবির ফার্মেসি বিভাগে মোট ১২ জন শিক্ষকের মধ্যে সাতজন শিক্ষা ছুটিতে আছেন। ফলে মাত্র পাঁচজন শিক্ষক নিয়ে চলছে বিভাগটি।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী