ঈশ্বরদীতে লিচু উৎপাদনে ধস, অপরিপক্ব লিচু বাজারে
Published: 21st, May 2025 GMT
লিচুর রাজধানী খ্যাত ঈশ্বরদীতে ধস নেমেছে উৎপাদনে। অতীতে ব্যাপক উৎপাদন লক্ষ্য করা গেলেও এবার লিচুর স্বাভাবিক ফলন দেখা যায়নি। এখন যেসব লিচু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো দেশি লিচু (আঁটি লিচু) হিসেবে পরিচিত। এসব লিচুর গুণগত মান খুব বেশি উন্নত নয়, সুস্বাদু বা রসালোও নয়। এছাড়াও লিচুর চাহিদা মেটাতে অপরিপক্ব লিচু বাজারে তোলা হয়েছে। দামও মোটামুটি চড়া।
তবে ফলন বিপর্যয় হলেও উপজেলার পৌর শহরসহ গ্রামের বিভিন্ন হাটবাজারে দেশি লিচুর বেচাকেনা শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই স্থানীয় জাতের আঁটির লিচু বাজারে এসেছে। আর ৩ দিন পর আগামী ২৫ মে আসবে ঈশ্বরদীর রসালো বোম্বাই লিচু। এই লিচুর সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। বোম্বাই ও চায়না থ্রি জাতের লিচু বাজারে না আসা পর্যন্ত লিচুর হাট সরগরম হবে না বলে মনে করছেন লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
মানিকনগর গ্রামের লিচু চাষি আমিরুল ইসলাম সরদার বলেন, এবার ঈশ্বরদীতে শতকরা ২০-৩০ ভাগ গাছে লিচু ধরেছে। অতীতে কখনো লিচুর এমন ফলন বিপর্যয় দেখা যায়নি। এখন যেসব লিচু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, এগুলো দেশি লিচু (আঁটি লিচু) হিসেবে পরিচিত। এসব লিচুর গুণগত মান খুব বেশি উন্নত নয় এবং সুস্বাদু বা রসালোও নয়, তবে নতুন ফলের স্বাদ নিতে অনেকেই কিনছেন।
ঈশ্বরদীর বড় লিচুর বাজার আওতাপাড়া ও জয়নগর শিমুলতালা বাজারের আড়তদার এবং ঈশ্বরদী ফল ভান্ডারের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমাদের বাজারে লিচু ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে। ১০০ লিচুর এক আঁটি মানভেদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোম্বাই লিচু কয়েক দিনের মধ্যেই আসবে।
রূপপুর গ্রামের লিচু চাষি জালাল উদ্দিন বলেন, আমার ৫০ বছরের লিচু চাষের ইতিহাসে এমন ফলন বিপর্যয় দেখিনি। অন্য বছর এসময় দেশি লিচুর বেচাকেনা জমজমাট হয়ে ওঠে, তবে এবার লিচুর ফলন খুব কম, সেজন্য বেচাকেনা খুবই কম। লিচুর চাহিদা মেটাতে অপরিপক্ব লিচু বাজারে তোলা হয়েছে। দামও মোটামুটি চড়া।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবছর ঈশ্বরদীতে ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। লিচুর জাতের মধ্যে রয়েছে মোজাফ্ফর (দেশি), বোম্বাই ও চায়না। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার ফলন একেবারেই কম।
জানা গেছে, এ বছর ঈশ্বরদীতে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। এবার লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরাও। তবে ঈশ্বরদীতে লিচুর উৎপাদনে এবার যে ধস নামবে সে তথ্য কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা আগেই জানিয়েছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার জানান, এ বছর ঈশ্বরদীতে ৩১০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। প্রথম দিকে আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় এবার অর্ধেকেরও বেশি গাছে মুকুল আসেনি। কিন্তু চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে যেভাবে লিচুর গুটি ঝরে পড়েছে তাতে ভালো ফলনের আশা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষকের মনে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে লিচু গাছ থেকে ঝরে পড়ছে। এ জন্য আমরাও উদ্বিগ্ন। আবহাওয়ার এ অবস্থা সপ্তাহজুড়ে চললে গড় হিসেবে লিচুর উৎপাদন আরো ৩০ ভাগ কম হবে। এজন্য সেচ প্রদানসহ লিচু চাষিদের নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ফলন
এছাড়াও পড়ুন:
২৫ রাজনৈতিক দলের যেসব নেতারা অংশ নিলেন
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা যোগ দেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা।
অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দলের নিম্নোক্ত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি
ড. রেদোয়ান আহমেদ, মহাসচিব
ড. নেয়ামূল বশির, প্রেসিডিয়াম সদস্য।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি যেসব দল
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা
২। খেলাফত মজলিস
মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, আমীর, খেলাফত মজলিস
ড. আহমদ আবদুল কাদের, মহাসচিব, খেলাফত মজলিস।
৩। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
হাসনাত কাইয়ুম, প্রধান সমন্বয়ক
সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন, মিডিয়া সমন্বয়ক।
৪। আমার বাংলাদেশ পাটি (এবি পার্টি)
মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, চেয়ারম্যান
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাধারণ সম্পাদক।
৫। নাগরিক ঐক্য
মাহমুদুর রহমান মান্না, সভাপতি
শহীদুল্লাহ কায়সার, সাধারণ সম্পাদক।
৬। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)
ববি হাজ্জাজ, চেয়ারম্যান
মোমিনুল আমিন, মহাসচিব।
৭। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব
সালাহউদ্দিন আহমেদ, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি।
৮। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, সিনিয়র নায়েবে আমীর
মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মহাসচিব।
৯। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির
মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারী জেনারেল।
১০। গণসংহতি আন্দোলন
জোনায়েদ সাকি, প্রধান সমন্বয়কারী
আবুল হাসান রুবেল, নির্বাহী সমন্বয়কারী।
১১। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক
মিসেস তানিয়া রব, সিনিয়র সহ-সভাপতি।
১২। গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)
নুরুল হক নুর, সভাপতি
মো. রাশেদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক।
১৩। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক
বহ্নিশিখা জামালী, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য।
১৪। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট
ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সমন্বয়ক, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও চেয়ারম্যান, এনপিপি
বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সভাপতি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা।
১৫। ১২ দলীয় জোট
শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুখপাত্র, ১২ দলীয় জোট ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এলডিপি।
১৬। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
১৭। গণফোরাম
বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি
ডা. মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক।
১৮। জাকের পাটি
আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান
জহিরুল হাসান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর জেলা ছাত্রফ্রন্ট।
১৯। জাতীয় গণফ্রন্ট
আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক
মঞ্জুরুল আরেফিন লিটু বিশ্বাস, সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি।
২০। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি
মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, সিনিয়র নায়েবে আমির
মাওলানা মুসা বিন ইযহার, মহাসচিব।
২১। বাংলাদেশ লেবার পার্টি
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, চেয়্যারম্যান
খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
২২। ভাসানী জনশক্তি পার্টি
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম (বাবলু), চেয়ারম্যান
ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ (সেলিম), মহাসচিব।
২৩। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি
মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মহাসচিব।
২৪। ইসলামী ঐক্যজোট
মাওলানা আব্দুল কাদের, চেয়ারম্যান
মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মহাসচিব।
২৫। আমজনতার দল
কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, সভাপতি
মো. তারেক রহমান, সাধারণ সম্পাদক।
এছাড়াও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহীদ তাহির জামান প্রিয়র মা শামসী আরা বেগম জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আসাদ/নঈমুদ্দীন/সাইফ