ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট গাজায় তাঁর দেশের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার অভিযোগ তুলেছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষাপটে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট বলেন, ‘ইসরায়েল গাজায় যা করছে, তা যুদ্ধাপরাধের খুব কাছাকাছি।’ ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘এই যুদ্ধের স্পষ্ট চিত্রটা এমন যে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন, পাশাপাশি বহু ইসরায়েলি সেনাও মারা যাচ্ছেন। সব দিক থেকেই এটা জঘন্য ও ঘৃণিত।’

তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধের স্পষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই এবং এটি এমন কোনো অর্জনের সম্ভাবনাও দেখাচ্ছে না, যা জিম্মিদের জীবন রক্ষা করতে পারে.

.. আমরা হামাসের খুনিদের বিরুদ্ধে লড়ছি, নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নয় এবং এই বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া উচিত।

ওলমার্টের মন্তব্যে ইসরায়েলের একাধিক রাজনীতিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে  ওলমার্টের লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ কিশ।

আরও পড়ুনইসরায়েলি পণ্য বর্জন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান কো-অপ২০ মে ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইয়োয়াভ কিশ লিখেছেন, ‘যখন আইডিএফের [ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সেনাবাহিনী]  সেনারা আমাদের ধ্বংস করে দিতে চাওয়া নৃশংস সন্ত্রাসের সঙ্গে জীবন বাজি রেখে লড়ছেন, তখন তিনি [ওলমার্ট] উসকানি দিচ্ছেন এবং তাঁদের পিঠে ছুরি মারছেন।’

সামাজিক সমতা বিষয়ক মন্ত্রী মাই গোলান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে লিখেছেন, ‘এই যুদ্ধের একমাত্র অপরাধ হলো আপনি (আইডিএফের) যোদ্ধাদের মুখে থুতু ছিটাচ্ছে। অথচ তাঁরা আধুনিক যুগের নাৎসি শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আর হ্যাঁ, গাজায় নিরীহ মানুষ আছে, যার সঠিক সংখ্যা ৫৮।’ ৫৮ দ্বারা তিনি এখনো গাজায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের কথা বুঝিয়েছেন।

ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ওলম র ট মন ত র ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিতে বাড়ল মাছ ও সবজির দাম

দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এর প্রভাব পড়েছে সবজি ও মাছের বাজারে। সরবরাহ কম থাকায় এসব পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। বৃষ্টির স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাজারে ক্রেতার আনাগোনাও কমেছে। 

গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও, তেজকুনিপাড়া ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় সবজি ক্ষেত ডুবে গেছে। এ জন্য সরবরাহ কিছুটা কম। ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে। একই সঙ্গে বাজারে মাছের সরবরাহও কমেছে। তবে বৃষ্টি না কমলে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান তারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। দু’দিন আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। বেগুনের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ধুন্দল ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। টমেটোর কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, বৃষ্টির কারণে মানুষ বাজারে আসতে পারছে না। তাছাড়া পাইকারি বাজারে সবজির দামও বাড়তি।
সবজির সরবরাহ কম থাকায় এর প্রভাব পড়েছে মাছ ও মুরগির বাজারে। বাজারে মাঝারি আকারের প্রতি কেজি রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে। তিন-চার দিন আগে এই দরের চেয়ে অন্তত কেজিতে ২০ টাকা কমে কেনা গেছে এসব মাছ। পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা দরে। 

সোনালি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হবে ২৮০ থেকে ৩১০ টাকা। তিন-চার দিন আগে এই দর ছিল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়েনি। আগের মতোই প্রতি কেজি কেনা যাচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। ডিমের দামও অপরিবর্তিত। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।

তেজকুনিপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্ষার সময় সাধারণত মাছের সরবরাহ কম থাকে। এ সময় মাছ কম ধরা পড়ে। সেজন্য দামও কিছুটা বাড়তি থাকে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ