ব্রাজিল কাপে সান্তোসের স্বপ্নভঙ্গ, নেইমারের ভবিষ্যত অনিশ্চিত
Published: 23rd, May 2025 GMT
দীর্ঘ ইনজুরির ছায়া কাটিয়ে অবশেষে মাঠে নামলেন ব্রাজিলীয় ফুটবল মহাতারকা নেইমার জুনিয়র। তবে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচটি তার জন্য কোনো উৎসবের উপলক্ষ হয়ে ওঠেনি। কোপা দো ব্রাজিলের তৃতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগে সিআরবির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে সান্তোস। আর ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানেও সৌভাগ্য সঙ্গ দেয়নি নেইমারদের—হার মানতে হয় ৫–৪ ব্যবধানে।
বেঞ্চে থেকে শুরু করা এই ম্যাচে ৬৬তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন নেইমার। প্রথম টাইব্রেকিং কিকে বল জালে পাঠালেও বাকি সতীর্থদের ব্যর্থতায় সান্তোসের বিদায় নিশ্চিত হয়। ম্যাচ শেষে হতাশার সুরে তিনি বলেন, “আমি জানি আমার নামাটা কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারে। তবে দলীয় প্রচেষ্টাই শেষ কথা। এখানে আমরা সবাই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।”
নেইমারের সান্তোসে ফেরাটা এখন পর্যন্ত খুব একটা উজ্জ্বল হয়নি। চোট-আঘাতের কারণে তিনি মাঠে সময় দিতে পেরেছেন সীমিত। সব মিলিয়ে মাত্র ১০টি ম্যাচে অংশ নিয়ে করেছেন ৩ গোল ও সমান সংখ্যক অ্যাসিস্ট। সান্তোসও লিগ টেবিলের নীচের দিকে অবস্থান করছে, অবনমনের শঙ্কা এখনও কাটেনি।
আরো পড়ুন:
প্রো লিগে ২৪ ও ক্যারিয়ারের ৯৩৫তম গোল রোনালদোর
১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান, ইউরোপা লিগে টটেনহ্যাম চ্যাম্পিয়ন
এদিকে ক্লাবটির সঙ্গে নেইমারের বর্তমান চুক্তি শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। চুক্তি নবায়ন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, “এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।” ক্লাব কর্তৃপক্ষ আগ্রহ দেখালেও নেইমারের পক্ষ থেকে আসেনি কোনো স্পষ্ট সংকেত।
মাঠের বাইরে নেইমারকে ঘিরে ছিল তীব্র ভক্ত উন্মাদনা। হোটেল ছাড়ার সময় নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ভক্তরা এগিয়ে আসে তার দিকে। তবে সেই মুহূর্তেও শান্তভাবে হাত নাড়িয়ে তাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে ভোলেননি তিনি।
চোট-ফেরা, প্রত্যাবর্তনের চাপ, দলের ব্যর্থতা এবং নিজ ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে নেইমার এক অনিশ্চিত অধ্যায়ে পা রেখেছেন। আগামী দিনে তার সিদ্ধান্ত কেমন হবে, সেটাই এখন কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই খবর জানিয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
অবশ্য ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল চূড়ান্ত করেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন প্রশাসনের ভেতরেও বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে যে—শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল হামলা চালাবে কি না, তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে বলেও জানায় সিএনএন।
এদিকে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে রয়টার্স এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। এছাড়া ইসরায়েলি দূতাবাস এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে এক গোয়েন্দা সূত্র বলেছে, “সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।”
সূত্রটি আরও জানায়, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এমন কোনো চুক্তি হয় যেখানে ইরান তার ইউরেনিয়াম মজুদ পুরোপুরি সরিয়ে না নেয়—তাহলে ইসরায়েলের হামলার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।
দুই মার্কিন সূত্রের বরাতে সিএনএন জানায়, ইসরায়েলের যেসব সামরিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে, তার মধ্যে রয়েছে—বিমান হামলার জন্য গোলাবারুদ সরানো এবং সাম্প্রতিক একটি বিমান মহড়া সম্পন্ন করা, যা ইসরায়েল বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ইঙ্গিত দেয়।
এর আগে মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, “আমেরিকার দাবি—ইরান যেন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করে—তা অতিরিক্ত এবং অযৌক্তিক”। তিনি নতুন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার সফলতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন বলে জানায় ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।