সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে আটকা অর্ধশত ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক
Published: 24th, May 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। শনিবার সকাল থেকে স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় কাস্টমস ছাড়পত্র না পাওয়ায় আটকে গেছে অর্ধশত ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকায় তীব্র জটের সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে অসহযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনামসজিদ স্থল কাস্টমসের এক কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা। তারই অংশ হিসেবে স্থল কাস্টমসের কর্মকর্তারা সকাল ৯ টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। ৫টার পর আমদানি পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক আসতে চাইলে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
ভারতীয় টাক চালক রাজা রায় জানান, সকাল দশটার দিকে তিনি সোনা মসজিদ বন্দরে ঢোকার চেষ্টা করলে জানতে পারেন যে বাংলাদেশে কর্মবিরতি চলছে আরে কারণে তিনি শূন্যরেখায় চার ঘণ্টা থেকে আটকে রয়েছেন।
ভারতীয় টাকচালক বিশ্বজিত ঘোষ জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রেখা থেকে ভারতের অভ্যন্তরে ৫০ থেকে ৬০টি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রয়েছে।
অন্যদিকে আমদানিকারকের প্রতিনিধি গাজি আলম জানান, আকস্মিক এ কর্মবিরতির কারণে তার সাতটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রয়েছে জিরো পয়েন্টে। বিকেল পাঁচটার পরে ছাড়পত্র দেওয়া হলে বন্দরে এসব ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে।
বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক কর মকর ত র মসজ দ স ক স টমস আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ