চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া বলেছেন, ‘বর্তমান বিশ্বে নির্মাণকাজের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সিমেন্ট। এই সিমেন্ট শিল্পের অগ্রগতির পেছনে বেসরকারি কারিগরদের অবদান অনন্য। এ শিল্পের আরও অগ্রগতির জন্য সুসংগঠিত গবেষণা প্রয়োজন।’
শনিবার চট্টগ্রাম ক্লাবে ‘লাইফ সাইকেল অব সিমেন্ট ইন কনস্ট্রাকশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় ৫০০ প্রকৌশলী অংশ নেন।
এনজিএস সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ‘লাইফ সাইকেল অব সিমেন্ট ইন কনস্ট্রাকশন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে। এ কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল সিমেন্টভিত্তিক নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া, যার মধ্যে রয়েছে কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদন, ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ, ভাঙন এবং পরিবেশগত প্রভাব। নির্মাণ ও পুরকৌশল খাতের পেশাদার, শিক্ষাবিদ ও অংশীজনদের জন্য টেকসই অনুশীলন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং জীবনচক্র মূল্যায়ন সরঞ্জাম অন্বেষণের জন্য এটি একটি মূল্যবান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে। কর্মশালার বিভিন্ন সেশনে সিমেন্ট কনস্ট্রাকশনের লাইফ সাইকেল নিয়ে আলোচনা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে গ্রুপ প্রেজেন্টেশন ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। 
শেষে নির্মাণ খাতের সঙ্গে জড়িত প্রকৌশলীদের নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক এম. এ. মালেক; ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মনজারে খোরশেদ আলম, অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, অধ্যাপক ড. আয়েশা আখতার, অধ্যাপক ড. জি. এম. সাদিকুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক কানু কুমার দাস।
এম এ মালেক বলেন, ‘সিমেন্ট ঘর তৈরির অন্যান্য উপকরণকে একত্রিত করে জোড়া লাগানোর কাজ করে, বন্ধন তৈরি করে। সামাজিকভাবেও আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। যদি আমরা ঐক্য ঠিক রাখতে না পারি, তাহলে দেশ এগোবে না।’
স্বাগত বক্তব্য দেন এনজিএস সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক অভিমন্যু সাহা। কর্মশালা সমন্বয় করেন ড. সুদীপ কুমার পাল, ভাস্কর চৌধুরী, লিটন কুমার শর্মা ও কানু কুমার দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনজিএস সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসিৎ কুমার সাহা। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম ন ট ইন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ