প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ বিকেলে দুই দফায় সাক্ষাৎ করবেন বিভিন্ন দল ও সংগঠনের ২০ জন নেতা।

আজ রোববার বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৬টায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে দুটি ভাগে নামগুলো জানানো হয়।

প্রথম দফায় সাক্ষাৎ করবেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.

) অলি আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির মহাসচিব সভাপতি মুজিবর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

দ্বিতীয় দফায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার ও ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি।

উল্লেখ্য, প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তি ধরে কয়েকটি দল সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের নেতাদের পূর্ণাঙ্গ নাম ও পদবী পাওয়া যায়।

নানা ক্ষোভ ও হতাশা থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন, এমন খবরে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সব মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এমন পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়।

শনিবার বৈঠক হয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় আজও বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ক ষ ৎ করব ন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ডেঙ্গু রোগীর অবস্থা দ্রুত জটিল হচ্ছে

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অনেকের শারীরিক অবস্থা দ্রুত জটিল হয়ে পড়ছে। আগের মতো সহজভাবে মোকাবিলা করার পর্যায়ে নেই এই ভাইরাস। ধরন বদলেছে এর। এতে রোগীর অবস্থা দ্রুত খারাপ হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ)। গতকাল বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।

এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০৬ জন। আর জুলাই মাসের ৯ দিনে মশাবাহিত এ রোগে প্রাণ গেছে ১০ জনের, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ২৯৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এসব তথ্য।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গতকালের সভায় ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় সহায়ক বিভিন্ন চিকিৎসাসামগ্রী অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এসব সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে– আটটি পোর্টেবল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ২১টি বেডসাইড হেমাটোক্রিট মেশিন ও ১ হাজার ৬০০ পিস কিট।

ডা. আবু জাফর বলেন, পোর্টেবল আল্ট্রাসনোগ্রাম ও বেডসাইড হেমাটোক্রিট মেশিনের প্রয়োজনীয়তা এখন অনেক বেশি। এসব যন্ত্র থাকলে দ্রুত রোগ নির্ণয় ও সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়, যা চিকিৎসা কার্যক্রমকে গতিশীল করে এবং জটিলতা কমাতে সাহায্য করে। জ্বর হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সময়মতো চিকিৎসা নিলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে বরিশাল বিভাগে ১৪, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে চারজন করে, রাজশাহী বিভাগে দু’জন এবং ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে ডেঙ্গুতে মৃত একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। পাশাপাশি এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বরিশাল বিভাগে– ৯৮ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮, ঢাকা বিভাগে ৬৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৩, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৬, খুলনা বিভাগে ৩৫, রাজশাহী বিভাগে ৩১, রংপুর বিভাগে ৫, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ এবং সিলেট বিভাগে দু’জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৩১৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৭৪ জন, ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৯৪৩ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ